মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থক ও তাঁর বিরোধীদের মধ্যে গতকাল শুক্রবারের ভয়াবহ সংঘর্ষে একজন মার্কিন নাগরিকসহ তিনজন নিহত হয়েছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, আগামীকাল রোববার বিরোধীদের পূর্বঘোষিত গণবিক্ষোভ কর্মসূচির আগে উভয় পক্ষ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় মুরসির সমর্থক ও তাঁর বিরোধীদের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সহিংসতা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, আলেকজান্দ্রিয়ার সহিংসতায় একজন মার্কিন নাগরিক ও একজন মিসরীয় নিহত হয়েছে। আর একজন মিসরীয় নিহত হয়েছে পোর্ট সাইদে।
সেখানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
মিসরে তাদের নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মিসর সফরের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে জরুরি কর্মী ছাড়া সব মার্কিন কূটনৈতিক কর্মকর্তা মিসর ছাড়তে পারেন বলেও বলা হয়েছে।
আলেকজান্দ্রিয়া বাদে আরও অনেক জায়গায় গতকাল মুরসির সমর্থক ও তাঁর বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, কেবল আলেকজান্দ্রিয়ার সহিংসতায় ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
বিক্ষোভ ও সহিংসতা সামলাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এতে অনেকে আহত হয়।
ক্ষমতাসীন ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির (এফজেপি) আদর্শিক আন্দোলনের সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড দাবি করেছে, আলেকজান্দ্রিয়াসহ তাদের আটটি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
বিরোধীদের আগামীকালের পরিকল্পিত গণবিক্ষোভের দুই দিন আগেই ইসলামপন্থী দলগুলো তাদের সমর্থকদের ঐতিহ্যবাহী কায়রো স্কয়ারে তাঁবু ফেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরে মোহাম্মদ মুরসির নিজ প্রদেশ নিল বদ্বীপ অঞ্চলের পূর্বাংশে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়।
মিসরের প্রভাবশালী ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ আল-আজহার দেশে ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরুর ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।