সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার এক দিন পর মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর চাপ বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে মিসরীয় কর্তৃপক্ষ। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সংগঠনটির বহু সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই দিন কায়রোয় একটি বাসে বোমা বিস্ফোরণে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলের কাছে আরেকটি বোমা পাওয়া গেলে সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
দেশটির সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন, সন্ত্রাসের মুখে থাকা মিসরের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ওদিকে, ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা এবং এর নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও কারাগারে আটক করে রাখায় 'উদ্বেগ' প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি। সাম্প্রতিক ধারাবাহিক হামলার মধ্যে কায়রোর বাসে চালানো বোমা হামলাটি বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো প্রথম হামলা। মঙ্গলবার কায়রোর উত্তরের মানসৌরা শহরে পুলিশের একটি থানা লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় ১৬ জন নিহত হন। এর পর দিন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে মিসর সরকার।
মুসলিম ব্রাদারহুড থানায় হামলার ঘটনার নিন্দা জানালেও সরকার এ হামলার জন্য ব্রাদারহুডকেই দায়ী করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার ফলে ব্রাদারহুডের ওপর সরকারি দমন-পীড়ন চালানোর ক্ষেত্রটি আরও প্রশস্ত হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলজাজিরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।