নিজের ব্যাগগুলোতে জামা-
কাপড়গুলো ভালো করে গুছিয়ে নিচ্ছে রাজ্।
কালকে সে হোস্টেল ছেড়ে চলে যাবে। অনেক কষ্ট
লাগছে তার ব্যাগগুলো গুছাতে। বারবার নিজের
রোমের চারিদিকে তাকাচ্ছে আর চোখ
দিয়ে পানি জরছে তার্। প্রায় ২ বছর আগে এই
কলেজে-এ এডমিশন নিয়েছে সে।
কলেজে এডমিশন
নেওয়ার আরো এক মাস পরে সে এই হোস্টেলে উঠে।
প্রথম অবস্থায় অনেক খারাপ লাগলেও
আস্তে আস্তে সবটাই স্বাভাবিক করে নিয়েছে সে।
হোস্টেলের বড় ভাইদের্,ইয়ারমেটদের
সাথে অনেকটা মানিয়ে নিয়েছে এই ২টা বছরে।
সবাইকে ছেড়ে এখন চলে যেতে হবে। প্রায় ২বছর
আগের কথা নিজের শহরে নিজের বাসায়
থেকে পড়াশুনা করেছে।
কোন
ঘাটতি ছিলো না মনে কোন ক্ষভ
ছিলো না,পড়াশুনা করত স্কুলে যেত বন্ধুদের
সাথে আড্ডা এই ছিলো তার নিত্যদিনের কাজ্।
ছিলো বাবা-মায়ের ক্ষরা শাসনের মাঝে। সেই
পরিপেক্ষিতে-এ এস্,এস্,সি-তে ভালো-ই রেজাল্ট
করেছে। খুব ভালো একটা কলেজে এডমিশনো নিয়েছে।
কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এত
ভালো একটা ছেলে কত স্বপ্ন নিয়ে এসেছে এই
ভালো একটা কলেজে ভর্তি হয়ে আরো ভালো রেজাল্ট
করবে বলে।
কিন্তু সেই তার নাকি কিছুই হলোনা।
এইসেই অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে বাইরে গেলো সে।
বাইরে যেতেই চোখে পড়ল পানির সেই একটা বিশাল
বড় ট্যাংক্। হোস্টেলে আসার পরেই এই বিশাল বড়
ট্যাংকটা নজর কাড়ে তার্। প্রায় ১০
তলা একটা বিল্ডিং-এর সমান হবে ট্যাংকটা।
মনে মনে সেদিন্-এ শপথ নিয়েছিলো সে যে,যেভাবেই
হোক একদিন সে এটার উপরে উঠবেই।
বাইরে দাড়িয়ে মনে মনে ভাবতে লাগল তার
নেওয়া শপথটা কি সফল হবেনা।
ভাবতে ভাব্তে সে এগিয়ে গেল এটির দিকে।
কাছে যেতেই অনেকটা ভয় লাগল তার্। কিন্তু
আজকে সে নির্ভয়্,কোন ভয় আজকে তার মাঝে কাজ
করবে না।
মনে মনে আরো একবার বাবা-মায়ের
কথা চিন্তা করল সে। ভাবতে লাগল
যদি পড়ে মারা যায় তাহলে কে কি করবেন্। একবার
ফিস ফিস করে বলেই ফেলল আর কেউ কিছু করুক না করুক
মা অবশ্যই খুব কাদবেন হয়্তো। এই ভেবে সে উঠতে শুরু
করল। প্রথম স্টেপটা খুব সহজেই উঠে গেল।
দ্বিথীয়
স্টেপটাও উঠল। এভাবে অনেক ভয় লাগা সত্ত্বেঅ
সে উঠে গেলো একেবারে ট্যাংকটির চুড়ায়্।
উঠে এদিক্-অদিক তাকালো সে। এতো বড় শহরটাকে খুব্-
ই ছোট মনে হচ্ছে তার কাছে। দু-হাত
দুদিকে বাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালো সে।
কেনো জানি আকাশটাকেও আজ তার কাছে অনেক ছোট
মনে হচ্ছে। বারবার চারিদিকে তাকাচ্ছে সে।
নিচে কোলাহলময় ব্যাস্ত শহর উপড়ে বিশাল সূচ্চ
আকাশ্। খুব্-ই
ভালো লাগছিলো নেমে আস্তে চাইলো না সে।
আরো কিছুক্ষন থাকার ইচ্ছে জাগলো।
থাকতে থাকতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। নামার জন্য
প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম উপর থেকে প্রথম
স্টেপে পা বাড়ালো । ভাল মতো-ই এগচ্ছিলো। কিন্তু
হঠাত কি জানি চিন্তা তার মাথায় কাজ করছিলো।
অনেক্ষন একটা জায়্গায় স্থির বসে রইলো সে।
তার পর কি জানি কি চিন্তা করতে করতে চোখ
দুটো বন্ধ করে উপড়ে ধরে রাখা হাত
দুটি ছেড়ে দিলো। । ।
তারপর,,,,,,,,!!!!!!!?????? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।