মানুষের সাধ্যেরে বাইরে কিছুই নেই, যদি তার নির্ভেজাল বোধগম্যতা থেকে থাকে। বাংলাদেশে গরম কাল শুরু না হতেই ঢাকাবাসীসহ দেশের বিভিন্ন স্হানে লোড শেডিং এর যন্ত্রণা জনগণকে সহ্য করতে হচ্ছে। এদিকে আজ (সোমবার) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন(বিইআরসি), বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের ওপর গণশুনানির পর বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) দাম গড়ে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ হারে বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি। এই বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত হতে পারে। পাইকারির পাশাপাশি বিশেষ আদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য খুচরা বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হতে পারে।
গণশুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন, সদস্য সেলিম মাহমুদ ও মো. ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পিডিবি গত ১৩ মার্চ প্রতি ইউনিট পাইকারি বিদ্যুতের দাম গড়ে ১১ শতাংশ বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসির কাছে প্রস্তাব দেয়। পিডিবি তাদের প্রস্তাবে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে নতুন দাম কার্যকরের সুপারিশ করে।
শুনানিতে পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় উৎপাদন ব্যয় সামগ্রিকভাবে পাইকারি পর্যায়ে ২১ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ টাকা ২৯ পয়সার স্থলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে।
একই কারণে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৫৬৪ কোটি টাকা। অতিরিক্ত এই ব্যয়ের ঘাটতি মেটাতে পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম দুই ধাপে বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিইআরসি। ওই ঘোষণা অনুযায়ী গত বছরেই তিন দফা পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এক দফা দাম বাড়ানো হয়েছে
তথ্যসূত্র:তেহরান রেডিও/এমআরডি/এএইচ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।