"" It is a difficult thing to tell the story of a life;and yet more difficult when that life is one's own. "" দেশ যখন আইএসআই এর কাছে থেকে টাকা নিয়ে বিএনপির ক্ষমতায় আসার খবরে মাঠ গরম তখন এরকম একটি বিষয় নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করাটা আসলেই জরুরি। কেননা হয়তো এই ব্যাপারটি ঢাল বানিয়ে এর আড়ালে আবডালে অন্য কোন কারসাজি চলছে কিনা সেটাই প্রশ্ন !!যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে আসি।
আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারি হিসাব সংক্রন্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেড, সাংসদ ফজলে নূর তাপসের মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড, সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান ও নসরুল হামিদের প্রস্তাবিত মেঘনা ব্যাংক, মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রস্তাবিত ইউনিয়ন ব্যাংক সহ ৫ টি নতুন ব্যাংক লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবরে প্রকাশ। কিন্তু এই ব্যাংকগুলোর উদ্যেক্তাদের আয়ের উৎস নিয়ে আজকে সংসদ অধিবেশনে প্রশ তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। মহাজোট সরকারকে ব্যাংকারদের সরকার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম, আওয়ামী লীগ গরীব মানুষের সরকার।
এখন দেখছি ব্যাংকারদের সরকার। ’
"তিনি বলেন, ‘একটি ব্যাংক চালু করতে ৪ শ’ কোটি টাকার প্রয়োজন হয়। একজন পরিচালককে দিতে হয় ৩২ কোটি টাকা। কিন্ত সরকারি দলের যে লোকদের ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তাদের নির্বাচনী হলফনামায় লাখ টাকার হিসাব দেওয়া ছিল। তারা ৩ বছরে কীভাবে ৪ শ’ কোটির টাকার মালিক হলেন?"
তিনি বলেন, ‘মানুষ দুর্নীতি করে লুকিয়ে লুকিয়ে।
এখন দেখছি এ সরকারের দুর্নীতি খুললাম খুললাম অবস্থা। ’
আমাদেরও পার্থের মত একি প্রশ্ন, নির্বাচনী হলফনামায় যাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে দেয়া হিসেবে ৩০-৪০ লাখ টাকার বেশী ছিলনা তারা এই তিন বছরে এমন কি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন যে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাংক খোলার আবেদন করেছেন??
আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘সরকারের পছন্দের লোককে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়ায় মাত্র দু’টি পরিবারের কাছে আমাদের বিদ্যুৎ খাত বন্দি আছে। সরকার ৪হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ হাতে নিলেও ওরিয়ন গ্রুপকে ১২ শ’ মেগাওয়াট ও সামিট গ্রুপকে ১২ শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৪হাজার মেগাওয়াট বিদুতের মধ্যে ২৪ শ’ মেগাওয়াট-ই কেবল দু’টি গ্রুপকে দেওয়া হয়েছে। এ দু’টি গ্রুপ এখন বিদ্যুতের মাঠে ম্যারাডোনা-মেসি।
৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিলে বিদ্যুতের এই দৈন্যদশা হতো না দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ পাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, কুইকরেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের পর চায়নায় আর কোনো ভাঙা মেশিন নেই। সব ভাঙা মেশিন বাংলাদেশে এক্সপোর্ট করেছে তারা ।
শুনে হয়তো আরো আশ্চর্য হবেন যে এই মহিউদ্দীন আলমগীরের একটা প্রাইভেট ভার্সিটি ও চালু হতে যাচ্ছে। প্রশ্নটা তো এখানেই, এতো টাকা কোত্থেকে আসে, এই ব্যক্তি ই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দূর্নীতির মামলার আসামি ছিলেন যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি তা থেকে অব্যহতি পান ।
গত আওয়ামীলীগ আমলেই আওয়ামীলীগ নেতাদের এইরকম ব্যাংক খোলার মহোৎসব ছিল। আব্দুল জলিলের মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এইচ এম ইকবালের প্রিমিয়ার ব্যাংক, এছাড়া সরকার সমর্থক ব্যাবসায়ীদের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, নাসা গ্রুপের এক্সিম ব্যাংক, আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ব্যায়ের একটা বড় অংশের দাতা আজম যে চৌধুরীর প্রাইম ব্যাংক খোলা হইছিল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের প্রশ্নটা ও সেখানেই, দেশের বিদ্যুত নিয়ে গেছেন আপনার ২ মন্ত্রী তাদের ঘরের কোষাগারে, জ্বালানি নিয়ে গেছেন আপনারই জ্বালানি উপদেষ্টা, রাস্তার সব কাজ, সন সরকারি পরিবহন চীন থেকে আমদানির ভিসা নিয়েছেন আপনারই সাবেক বিখ্যাত যোগাযোগ মন্ত্রী , শেয়ার বাজারের কারসাজি তো লোটাস কামালের পকেটে, অথচ এই আপনি মালয়শিয়া,সিঙ্গাপুর আর সুইডেনে টাকা পাচার হয়ে যায় বলে জোর গলায় বলে যাচ্ছেন। আর কত????
হায়রে,
সায়ানের গানের কয়েক লাইন স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিদায় নিচ্ছি,
"যদিও তোমার চোখের চশমাটা রঙ্গিন
চোরেদের দশ দিন,আর গৃহস্তের একদিন
নেতাদের দশ দিন আর আমাদের একদিন,
আমার মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার দিন তো শেষ
নাম আমার জনগণ, আমি বাংলাদেশ "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।