আমি সেই আলো খুঁজে বেড়াই যেই আলোতে আমার দু চোখ প্রশান্তি পাবে। মৌনতার অবসান ঘটবে। আজকে দেশে এমন কোন অবস্থা হয় নি যে দেশ থেকে ধর্ম উঠে যাচ্ছে। কাউকে মসজিদে যেতে মানা করা হচ্ছে না,নামাজ পড়তেও বাধা দেয়া হচ্ছে না। কোন নারীকে পর্দা করতেও নিষেধ করা হচ্ছে না।
কোন মাজার শরীফ, কোন পীর,মাওলানা দের কেও ধরে নিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না,তাদের কে মেরে ফেলা হচ্ছে না। কিংবা দেশ থেকে ইসলাম ধর্ম নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। তো আজকে হেফাজতে ইসলামের কেন এরকম আন্দলন চলছে। দেশ কে কেন তারা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে? এত দাবি-দফা নিয়ে কেন তারা মাঠে নেমে আসছে? রাজাকার গুলো তাদের ঘৃণ্য অপরাধের শাস্তি পাবেই। সে যত বড় পীর-মাওলানা হোক না কেন অন্যায়ের শাস্তি তাকে পেতে হবে।
স্বীকার করি যে কিছু বিকৃত মস্তিকের মানুষ আমাদের মহান আল্লাহ্ তাআলা ও মহানবী (সাঃ) কে নিয়ে অনেক বাজে মন্তব্য করেছে। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত এনেছে চলমান আন্দলনকে পুঁজি করে। এর বাজে ব্যবহার অনেকে করছে। তাদের শাস্তি হোক। কিন্তু আরেকটা ব্যাপার হল যে নাস্তিক আগেও ছিল,এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
বিশ্বাস অবিশ্বাস যার যার বাক্তিগত ব্যাপার। নাস্তিকতা ধর্মের দিক দিয়ে অনেক বড় অপরাধ কিন্তু আইনে এখনও এর কোন বিচার নেই বটে। কিন্তু সরকারের উচিৎ এমন এক ব্যবস্থা করা যাতে করে কোন মানুষই আর ধর্মের নামে বাজে কথা না লিখতে পারে। নিজের বিশ্বাস অবিশ্বাস গুলো নিজের কাছেই রাখা উচিৎ। জন সমকক্ষে বের করার কি প্রয়োজন।
আপনি নাস্তিক ভালো কথা, কিন্তু যারা আস্তিক ,আপনারা কেন তাদের বিশ্বাস কে নিয়ে ঠাট্টা তামাসা করবেন?এই অধিকার আপনাকে কেউ দেয় নাই। করার মত জীবনে অনেক ভালো কাজ আছে। সেগুলো করুন। অসহায় দের সাহায্য করুন। যদি আপনারা কোন ধর্মেই বিশ্বাস না করেন তাহলে মানবতায় বিশ্বাস করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।