কুম্ভকর্ণ একটি পোষ্ট লিখেছে " নাস্তিক হইবার চাই"
বিষয়টা নেহায়েত ফাজলামি, অনান্তরিক বক্তব্য, নাস্তিক হয়ে উঠবার কোনো আগ্রহই তার নেই, বরং এই লেখা পড়ে অনেকেই তাকে বাহবা দিতে ছুটে আসতে পারে, আস্তিকতার চর্চাকারী মানুষদের সমর্থন এবং নাস্তিকদের হেয় করতে চাওয়া সামাজিক ক্ষেত্রগুলো থেকে সমর্থন পেয়ে নিজের মানসিক প্রশান্তি লাভ করবার এই চাহিদাটুকুও ব্যক্তিমানুষের নিজস্ব প্রয়োজনীয়তার লক্ষ্য হতে পারে কোনো কোনো সময়।
নাস্তিক হয়ে উঠতে হলে কি করতে হবে এটার উত্তরে আমি বলতে পারি
একদিন ঘুম থেকে উঠে অনেকটা সাহস সঞ্চয় করে বলতে হবে ইশ্বর প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবর্তনগুলোকে ব্যখ্যা করবার একটি বাগবিধি। প্রতিটা সমাজই এই বাগবিধিকে স্বীকার করে নিয়েছে তাদের অনগ্রসরতার কারণে।
ইশ্বর যে অপরিহার্য একটা শব্দ না বাগবিধিতে এটা নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারলেই হয়ে যাবে। ইশ্বরের প্রয়োজনীয়তা সমাজে কেনো অনুভুত হলো, কেনো প্রাকৃতিক শক্তিগুলোই ইশ্বরের প্রতিরূপ হয়ে উঠেছিলো সভ্যতার ধারাবাহিকতায়?
কেনো সমাজ নিরপেক্ষ ভাবেই প্রতিটা সমাজেই প্রতিটা ভাষার ব্যকরণেই এই বোধসম্বলিত শব্দ এবং ভাষ্যের উৎপত্তি?
প্রতিটা সমাজ ও সভ্যতাই একই পর্যায় পার হয়ে এখানে এসেছে।
সুতরাং তার আশেপাশের জগতকে বিশ্লেষণ করবার ক্ষমতা যখন তার ছিলো না, তখন তাকে মেনে নিতে হয়েছে আমার সীমাবদ্ধ ক্ষমতায় এটার ব্যখ্যা সম্ভব নয়, অন্য কোনো বিশেষায়িত পরিস্থিতি বিদ্যমান যা এই পরিবর্তনগুলো ঘটাচ্ছে।
বিশ্বাসের উৎপাদন ও বন্টনের সাথে সামাজিক অগ্রসরতা যুক্ত। তবে সব সময়ই মনে রাখতে হবে
ইশ্বরের অস্তিত্বের জন্য মানুষের প্রয়োজনীয়তা কম তবে বিশ্বাসী মানুষের নিজস্ব অস্তিত্বের বিকৃতিরোধ করবার জন্য ইশ্বরের অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা আছে।
উপদেশমূলক শোনালেও বক্তব্যের সারসংক্ষেপ হতে পারে
তোমার অস্তিত্বের জন্য ইশ্বরের প্রয়োজনীতা যতটুকু, ইশ্বরের অস্তিত্বের জন্য তোমার তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
ইশ্বর তোমাকে ছাড়াই নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম, যদি তার অস্তিত্ব থাকে, তবে ইশ্বরের অস্তিত্ব ছাড়া আস্তিকেরা অস্তিত্বহীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।