আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকতার হালচিত্র এবং কিছু প্রশ্ন

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

বিশ্বে নাস্তিকদের সংখ্যা মাত্র ২ থেকে ৩%এর মত। মানুষ উন্নত আর শিক্ষিত হলেই যে নাস্তিক হয়ে পড়ে এটি ভ্রান্ত ধারনা। পৃথিবীর যে পাচটি দেশে নাস্তিকদের সংখ্যা সবচাইতে বেশি তার তিনটিই অনুন্নত। (চীন, ভিয়েতনাম, রাশিয়া) ভিয়েতনামে প্রায় ৮০% এর মত। পক্ষান্তরে আমেরিকায় নাস্তিকদের সংখ্যা ৮% এর মত।

হাতে গোনা কয়টি দেশ ছাড়া পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই এরা ১% বা তারও চাইতে কম। বুদ্ধিমান হলেই যে আপনি খোদায় অবিশ্বাস করবেন তাও অসত্য। নিউটন তার লেখায় সরাসরি খোদার অস্তিত্ব শুধু যে স্বীকার করেছিলেন তাই নয়, তার মতে মহাজাগতিক সিস্টেমটি (মধ্যাকর্ষন শক্তিসহ) খোদারই কৃতি। আইনস্টাইন খোদায় বিশ্বাস করতেন। তার বিখ্যাত উক্তি "ধর্ম ছাড়া বিগ্গান খোড়া আর বিগ্গান ছাড়া ধর্ম অন্ধ।

" যে গ্যালিলিউকে চার্চ শাষ্তি দিয়েছিল, তিনিও খোদায় বিশ্বাসী ছিলেন। আমাদের এখানে কিছু ব্লগার আছেন যারা মনে করেন ধর্ম জাতির অগ্রযাত্রায় একটি প্রধান অন্তরায়, সব নষ্টের মুলে ধর্ম, এটিও একটি ডাহা মিথ্যে। সবদিক দিয়েই যে দেশটি সবচাইতে অগ্রগামী এবং যে দেশটি আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীর অর্থনীতি থেকে শুরু করেই অনেক কিছুই নিয়ন্তরন করে সেই আমেরিকায় ধর্মের হালচিত্র দেখুন। ২০০০ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে বুশ ঘোষনা দিয়েছিলেন জেসাস (ঈসা আ তার পছন্দের পলিটিকা ফিলোসোফার। আর বুশ অফিসে যোগ দিয়েছিলেন একরাশ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে,ধর্মীয় মোল্লাদের আশির্বাদ নিয়ে আর ধর্মীয় উপদেশাবলী গ্রহন করে।

অন্যদিকে আল গোরেও ধর্মীয় ভাবাবেগ কাজে লাগানোর জন্য চার্চে আনাগোনা বাড়িয়ে দেন। দিতে থাকেন বিভিন্ন ধর্মীয় বত্তব্য। রিপাবলিকান দলে নাস্তিকদের অংশগ্রহন৫ এরও কম, ডেমোক্রেটিক পার্টিতে একটু বেশি। নির্বাচনে ধর্মের রোলটা থাকে একটু বেশিই, দৃষ্টিকটু পর্যায়ের। ৮০% আমেরিকান মনে করেন বিশ্বে ধর্মের ইনফ্লুয়েন্স পজিটিভ, ১৩% মনে করেন নেগেটিভ।

৫৮% মনে করেন আমেরিকা মুল শক্তি তার ধর্ম, ৩৬% মনে করেন ধর্ম ছাড়াই আমেরিকা শক্তিশালী। ৬৭% আমেরিকান মনে করে তারা একটি খ্রীশ্চিয়ান নেশন, ২৫% তা মনে করেনা। নীতিবান হওয়ার জন্য ধর্মের প্রয়োজন আছে বলে ৪৭% জন আমেরিকান মনে করে আর ৫০% করেনা। ১৯২৮ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে আলফ্রেড স্মিথ (নিউইয়র্কের গভর্নর) হেরে গিয়েছিলেন শুধুমাত্র তিনি রোমান ক্যাথলিক বলে, প্রসংগ আমেরিকানরা মুলত প্রোটেষ্টন্ট। একমাত্র রোমান ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে এই অভিযুক্ত করা হয়েছিল এই বলে তিনি দেশ পরিচালনা করবেন পোপের নির্দেশ মোতাবেক।

একই ধরনের অভিযোগে রোমান ক্যাথলিকরা সমালোচিত হলেও প্রোটেষ্টন্টরা সমালোচিত হন না। আমরিকায় খ্রিষ্টানরা ৮০%, ইহুদি, মুসলমান,হিন্দু ও অন্যান্য ধর্ম মিলিয়ে ১২% আর নাস্তিকেরা ৮% মত। ১৯৫৬ সালে কংগ্রেস কর্তৃক "ইন গড উই ট্রাষ্ট" আমরিকার ন্যাশনাল মটো হিসাবে গৃহিত হয় এবং এখনও তা আমরিকার ন্যাশনাল মটো। ২০০৬ সালের সিবিএসএর এক জরিপে দেখা গেছে ৮২% খোদায় বিস্বাস করে ৮% অন্য কোন মহাশক্তিতে আর ৮% খোদায় বিশ্বাস করেনা। আমেরিকান নেতারা নিয়মিত চার্চে প্রার্থনায় অংশগ্রহন করেন।

এই যখন হালচিত্র তখন কিছু তথাকথিত মহাবুদ্ধিমান ব্লগার আমাদেরকে নাস্তিকতার মহান আদর্শে মহীয়ান করার ব্রত নিয়েছেন কোন উদ্দেশ্যে। এটা আমার সামহ্যোয়ার ইনের সকল ব্লগারের বিবেকের কাছে প্রশ্ন। রিপোষ্ট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.