আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকতার ব্যবসা

ইদানীং ফেসবুকে ব্লগে পত্র-পত্রিকায় নাস্তিক ও মুক্তমনাদের ইসলাম-বিদ্বেষী জোয়ার চোখে পড়ার মত। বাংলাদেশে হঠাৎ করে এত নাস্তিকের আনাগোনা দেখে মনে হয় এত নাস্তিক আগে কোথায় ছিল??হঠাৎ করে বন্যার পানির মত এত নাস্তিক এসে হাজির। আরো যেসব প্রশ্ন মনে উদয় হয় তা হলঃ নাস্তিকতা বলতে কি শুধু ইসলাম-বিদ্বেষ বুঝায়? শুধুমাত্র ইসলামের বিরুদ্ধেই এদের এত মাথাব্যাথা কেন??যেন দেশ থেকে ইসলামের নাম গন্ধ মুছে ফেললেই এদের পেটের ভাত হজম হবে?? এমন সময়ে চোখে পড়লো এই নোট *। পড়ে দেখলাম আমেরিকার নাকি বেশ কিছু সংগঠন গত ১০ বছর যাবত ৪০ বিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার-ভ্রান্ত প্রচারে লাগিয়েছে। নব্য নাস্তিকতা বা new atheism এরই অংশ।

এদের প্রধান কাজ বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিরুদ্ধে একটা বিরূপ ধারণা গড়ে তোলা। যেমনঃ ইসলাম মানেই জংগি, তালেবান-দাড়ি-টুপি-বোরকা মানেই তারা কোন জংগি দলের লোক বা চরম্পন্থি। ইসলাম হল অশান্তির ধর্ম...ব্লা ব্লা আরো কত কি। তবে তাদের প্রচেষ্টা বেশ কিছু ক্ষেত্রে সফল বলা যায়। বিশ্বে অনেক মানুষই মুসলমানদের প্রতি এমন ধারনা পোষন করে।

বাংলাদেশের অনেক শখের নাস্তিকরাও এদেরই অর্থের বিনিময়ে চলা কিছু দালাল-বিশেষ। বেশ কিছু নাস্তিক দাবী করা পেজ ও ফেসবুকে এদের হয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছে এত টাকা পয়সা খরচ করে কেন এসব সংগঠন চলে? কিসে এদের এত লাভ? এই উত্তর জানার জন্য আইনস্টাইন হতে হয় না। ঠান্ডা মাথায় ভাবলেই চলে; ১। তৃতীয় বিশ্বের মুসলিম দেশগুলতে ইসলামিক নৈতিক চেতনা-ইসলামি মূল্যবোধ ধংস করে দিলেই কর্পোরেট জগতের ব্যাপক লাভ। ইসলামে নারীর মর্যাদা সর্বোচ্চ।

ইসলামে ছেলে-মেয়ে উভয়কে পর্দা করতে বলা হয়েছে। আর মেয়েদের হিজাব নিয়ে নাস্তিকদের আপত্তি চোখে পড়ার মত। আমি এক নাস্তিক মেয়ের বক্তব্য সরাসরি তুলে দিচ্ছিঃ “ মেয়েরা যা খুশি তাই পড়বে। বোরকার মত একটা বস্তা কোনভাবেই মেয়েদের রক্ষা করতে পারে না, এটা মেয়েদের নারী স্বাধীনতার বিরোধী” তাইতো মেয়েরা যদি বস্তার মত নিজেদের শরীরের সমস্ত সৌন্দর্য ঢেকেই রাখে তাহলে পর্ন ভিডিও শুটিং হবে কেমনে??, এডভার্টাইজে মডেলকন্যা হয়ে কাপড় খুলে মেয়েদের শরীর দেখিয়ে সাবান-জুতা-টয়লেট পেপার এর বিক্রি বাড়াবে কে??? চিন্তার বিষয়!! ২। মাদক ব্যবসা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত প্রসারিত ব্যাবসা।

প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মাদক কেনাবেচায় যত লাভ হয় সারা দুনিয়ায় বই এর বিক্রি তার ধারে কাছেও নাই। মাদকের এই শক্তিশালী চক্রের সহজ শিকার তরুণ সমাজ। তাদের হাতে একবার কোকেন, ইয়াবা আর হেরোইন তুলে দিতে পারলেই হল-লাভই লাভ। কিন্তু এই তরুন সমাজ যদি ইসলামের আদর্শ জীবন ব্যবস্থায় আকৃষ্ট হয়ে যায় তাহলে মাদক তো দূরে থাক-সিগারেট বিক্রিই বন্ধ হয়ে যাবে!!! ৩। মিস-ওয়ার্ল্ড, মিস-ইউনিভার্স, লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার, ভিট মডেল হান্ট এর মত কন্টেস্টের মাধ্যমে সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে যে কর্পোরেট জগতে কি খেলাটা খেলা হয় তা আজকাল ক্লাস 3-4 এর বাচ্চারাও জানে।

কিন্তু ইসলামে তো মেয়েদেরকে সম্ভ্রম রক্ষা করে চলতে বলা হয়েছে। পন্যের মত নিজেকে বাজারে বিক্রি করার বিরোধীতাও করা হয়েছে তাহলে এইসব কন্টেস্টে মেয়েরা অংশ নিবে কিভাবে?? চালাও হিজাব/বোরকার অপপ্রচার-কাপড় খোলাও মেয়েদের। । ৪। ডিস্কো ক্লাবে কি সুন্দর উদ্দাম নাচানাচি হয়।

wine, drug তো নরমাল ব্যাপার man…“it’s your life so color it”. “সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি-সারাদিন আমি যেন ফূর্তি করে চলি” “life is one so don’t worry let’s have some fun””-ব্যাস আর কি লাগে। বাপের টাকা তো উড়ানোর জন্যই। গুলশান, বনানী, ফ্যান্টাসি কিংডম, বারিধারা সহ অভিজাত এলাকায় ডিস্কো ক্লাব-ডিজে নাইটে যেসব গর্ধব গুলো ফূর্তি করতে যায় তাদের বাপের কালো টাকা কাদের পকেটে যায় সেই হিসাবটা জানা আছে তো?? সমাজের অভিজাত ব্যবসায়ীদের পকেটে। ইসলামের যে আদর্শ জীবন গঠনের চেতনা। ধর্মীয় মূল্যবোধ সব কিছুই এসব কর্পোরেট ব্যাবসায়ীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।

তাই সোজা উপায় ইসলামের আদর্শ মানুষের জীবন থেকে মুছে ফেলা। সুচতুর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের মনে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারনা ঢুকিয়ে দেওয়া। এ জন্যই এত অর্থ ব্যয়। এত প্রচারনা। একদিকে সুন্দর ঈদের অনুষ্ঠান-কৃষকের ঈদ আনন্দের স্পন্সর এইসব “লিভার” মার্কা কোম্পানি।

অপরদিকে ইসলামের অপপ্রচারের স্পন্সর। বাহ কি সুন্দর!!! এদের জন্যই ১৪০০ বছর আগেই কোরআন এ লেখা আছেঃ আর যখন তাদেরকে বলা হয়, অন্যান্যরা যেভাবে ঈমান এনেছে তোমরাও সেভাবে ঈমান আন, তখন তারা বলে, আমরাও কি ঈমান আনব বোকাদেরই মত! মনে রেখো, প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা, কিন্তু তারা তা বোঝে না। তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করে, তখন বলে, আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) উপহাস করি মাত্রা।

সুরা বাকারা ১৩,১৪ আর এইসব তথাকথিত নাস্তিক খোলসে আবৃত ইসলাম-বিরোধী দের সম্পর্কেও কোরানে বলা আছেঃ যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোন দরজাও খুলে দেই আর তাতে ওরা দিনভর আরোহণ ও করতে থাকে। তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়েছি- সুরা আল হিজর ১৪,১৫ Collected ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.