আমার আগের নিকে নামের মধ্যে ভুল হয়েছিল, শুদ্ধ করে আসলাম নুতুন নিকে
পাঠ্য ১ঃ নাস্তিকতা কি
স্রষ্টার অস্থিত্বে অবিশ্বাস কেই নাস্তিকতা বলা হয়, এটি একটি বিশ্বাস কারন স্রষ্টা নেই এ ধরনের কোন প্রমানও নেই, তাই শুধু মাত্র অজ্ঞায়বাদ কে কোন বিশ্বাস বলা যায় না তথাপি নাস্তিকরা যুক্তিদেখান আস্তিকতার বর্জন কেই নাস্তিকতা বলা যায়, নাস্তিকতা বিশ্বাস নয় বরং বিশ্বাসের অনুপস্থিতি। কিন্তু অক্সফোর্ড ডিকশনারী সহ বিভিন্ন ডিকশনারীতে নাস্তিকতাকে একটি বিশ্বাস ই বলা হয়েছে। দেখা যায়, ইংরেজি এথিজম শব্দটি গ্রিক এথাস শব্দ থেকে আগতা যারা স্রষ্ঠাকে অস্বীকার করত, অথবা ঐ সকল ব্যাক্তি যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই বলে মনে করে। এ হিসাবে থেকেও নাস্তিকতা কে একটি বিশ্বাস বলা যায়। যাইহোক, বিশ্বাস বা বিশ্বাসের অনুপস্থিতি একটি হলেই হল।
পাঠ্য ২ঃ কারা নাস্তিক এবং কেন
প্রশ্ন হল মানুষ নাস্তিক কেন হয় বা কারা নাস্তিক । এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে প্রতিটি সমাজ ব্যাবস্থা দেখতে হবে। আপনি জার্মানিতে যান, জার্মানিতে এমন কোন মানুষ পেতে পারেন যে জার্মান মানুষ যতই সভ্য হোক, তার দৃষ্টিতে জার্মান খারাপ। এ ধরনের মানুষের সংখ্যা তাদের মোট জনসংখ্যার ৫% নিচে হবে। (কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়, যেমন যে কোন প্রকার রিভুলোশনের আগ মুহূর্ত্বে)
ঠিক তেমনি আপনি চীনে যান, এখানেও একই চিত্র পাবেন, কিছু লোক কিছুতেই চীনকে পছন্দ করে না।
এবং আবারো এদের সংখ্যা খুব বেশী আকারে পাবেন না। রাশিয়া, আমেরিকা কেউ এর থেকে বাদ নয়। ভারতেও এ ধরনের ব্যাক্তিদের পাবেন যেমন মাওবাদী। আসলা তারা ঐ সকল ব্যাক্তি যারা ঐ সমাজ ব্যাবস্থার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনি, তাই তারা ঐ সমাজের সর্বদা বিরোধীতা করে। তারা ভাল না খারাপ সে প্রশ্ন আপাত আমি করছি না, কারন সময় আর পরিবেশ অনুষারে তা ভিন্ন হয়।
বাংলাদেশের নাস্তিকরাও ঐ প্রকারের। তারা সমাজের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনি, তাই সর্বদা সমাজের বিশ্বাসকে অস্বীকার করেই সমাজের প্রতি তার প্রতিবাদ। ভাল করে লক্ষ্য করে দেখবেন, প্রতি ২০ জনে একজন ব্যাক্তি ও এ রকম না। তাই তাদের জনসংখ্যা ৫% এর নিচে। কিন্তু বাংলাভাষী বাকি জনগুস্টির "ভারতীয় ফিলসফীতে" নাস্তিকতাও গ্রহন যোগ্য হওয়ায়(আগ্রুমেন্টেটিভ, কেউ দ্বাবী করেন, আবার কেউ অস্বীকার করেন), বাংলা ব্লগ গুলিতে এই মতবাদ আলাদা ভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত।
পাঠ্য ৩ঃ বাংলাদেশী নাস্তিক
বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে চলে আসি, পৃথিবীর অধিকাংশ নাস্তিকরা যেমন যুক্তি ব্যাবহারে ইব্রাহিমের ধর্মেকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে নেয়, তেমনি বাংলাদেশের মানুষ অধিকাংশ মুসলিম এবং ইব্রাহীমি হওয়ায়, নাস্তিকরা মুসলিমদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে ইসলাম বর্নিত স্রষ্টাকে ভুল প্রমানেই ব্যাস্ত থাকতে দেখা যায়। (ভারতীয় ফিলসফির কারনে যারা নাস্তিক, আপাত তাদেরকে আমরা হিসাবের বাহিরে রাখবো)
মুসলিম বাংলা সমাজে নাস্তিকতা বাড়ার অন্যতম কারন হতাশা। বিভিন্ন প্রকার হতাশ্ বিভিন্ন প্রকার মানুষকে আচ্চায়িত করে। এই হতশা মানুষের মনে ক্ষোভ জন্ম দেয়। এই ক্ষোভ বাড়তে বাড়তে প্রথমে অস্বীকার, পরে স্রষ্টাকে গালি গালাজ সহ, বিশ্বাসী বাক্তিদের প্রতি তীব্র আক্রোশে পরিনিত হয়।
আমাদের সমাজে শিখানো হয়, নামাজ পড়, তাহলে আল্লাহ পাক এই দিবেন সেই দিবেন, অথবা এই কাজ কর, তাহলে আল্লাহ পাক এই জিনিস দিবেন সেই জিনিস দিবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। যখন ই কোন মানুষ কোন কিছু পেতে ব্যার্থ হয়, তখনি তার মনে প্রথম ভাব আসে, আল্লাহ পাক আমাকে দেননি। একবার দেন নি, দুই বার দেন নি, তিনবার দেন নি, আমি আল্লাহ পাকের জন্য এই করলাম সেই করলাম, তবুও তিনি এই বিপদ দেন, সেই বিপদ দেন ইত্যাদি। এভাবেই হতাশা বাড়তে থাকে। তাছাড়া, নদীর ঐ পারের মানুষের সর্বদা ভাল থাকে এই ধারনার বশবর্তি হয়ে, অনেকেই ভিন্ন ব্যাক্তির সাথে নিজেকে তুলনা দেয়।
ঐ ছেলে নামাজ পড়ে না কিংবা ঐ কাজ করে কিন্তু আল্লাহ পাক তাকে এই দিয়েছেন সেই দিয়েছেন ইত্যাদি। এক সময় সে বলে, আল্লাহ পাক কে ডাকাই উচিত না, তারপরেই নিজেকে নাস্তিক বানিয়ে নেয়। এটি আস্তে আস্তে আক্রোশে পরিনত হয়।
পাঠ্য ৪ঃ নাস্তিকরা কেমন জ্ঞানী
কিছু কিছু ব্যাক্তি যারা সমাজের সাথে মানাতে পারে না, তারাও সমাজ বিরুধীতার অংশ হিসাবে নাস্তিক হয়ে উঠে। এই নাস্তিক ব্যাক্তিরা তাদের দর্শন থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পাবার চেষ্টা করে, এবং এর থেকেই তারা যুক্তিবাদের দারস্থ হয়।
অনেক সময় ধরে, আস্তিক দের সাথে তর্কের প্রয়োজনে কিংবা নিজেদের টিকে থাকার প্রয়োজনে সব সময় নুতুন যুক্তি সৃষ্টিতে তারা ব্যাস্ত হয়। সে হিসাবে যখন কোন ইমোশনাল আস্তিক তাদের সাথে কথা বলতে যায়, তখন নাস্তিক বাক্তি পাকা খেলোয়ারের মত তাকে যুক্তিতে কাপোকাত করতে পারে। এর থেকেই কিছু কিছু সাধারন মানুষের মনে এই ধারনা জন্ম হয় যে নাস্তিকরা বেশ জ্ঞানী। আসলে যুক্তির দক্ষতায়, সাধারন আস্তিকগন নাস্তিকদের নিকট প্রায় শিশুর মত।
পাঠ্য ৫ঃ নাস্তিকদের হতাশার তীব্রকরন
নাস্তিক ব্যাক্তিদের আশা বলে কিছু নেই, থাকলেও তা বস্তুবাদী যা কি না অধিকাংশ সময় অধিকতর যোগ্য বা প্রাকৃতিকভাবে নির্বাচিত ব্যাক্তি কর্তৃক হারানোর ভয় থাকে।
এ জন্য টিকে থাকার সংগ্রামে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। জীবনে চাওয়া না পাওয়ার বেদনা গুলি নাস্তিকদের অন্তরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়। কাওরো কর্তৃক লিখিত ভাগ্যে বিশ্বাস না থাকায়, জীবন নদীর জোয়ার ভাটা এদের মারাত্বক রূপে প্রভাবিত করে।
(চলবে.......)
রেফারেন্সঃ
ওয়েকিপিডিয়া আর্টিক্যাল নাস্তিক্যবাদ, ইংরেজি আর্টিক্যাল Atheism http://en.wikipedia.org/wiki/Atheism
Internet Encyclopedia of Philosophy: আর্টিক্যাল Atheism http://www.iep.utm.edu/atheism/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।