দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক
ব্রিটেনে টানা ৪০ বছর ধরে বিয়ে করার হার ব্যাপকভাবে কমতে থাকলেও গত কয়েক বছরের হিসাবে দেখা যায় হঠাত্ করেই প্রায় তা ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। গবেষকরা বলেছেন, পরিবার প্রথার প্রতি তরুণদের আস্থা ও আকর্ষণ বাড়ার কারণেই সম্ভবত বিয়ে করার হার বাড়ছে। ব্রিটেনের জাতীয় পর্যায়ে কর্মরত গবেষকরা এ তথ্য দিয়েছেন। সূত্র ডেইলি মেইল।
ব্রিটেনের অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস প্রকাশিত তথ্য উপাত্তে দেখা যায়, ২০১০ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ২ লাখ ৪১ হাজার ১শ’টি বিয়ে হয়েছে।
গত কয়েক বছরের হিসাব দেখলে এটাকে অনেকের কাছেই অস্বাভাবিক বেশি মনে হতে পারে। এর এক বছর আগের হিসাবে দেখা যায়, মাত্র ৮ হাজার ৬৫৭টি বিয়ে হয়েছে। রানী ভিক্টোরিয়ার আমল থেকে এ পর্যন্ত এক বছরে এটাই সবচেয়ে কম বিয়ে। এর আগের বছরগুলোতে বিয়ের সংখ্যা এর থেকে কিছু বেশি হলেও তা আশাপ্রদ নয়।
বয়সের হিসাব দেখিয়ে প্রতিবেদনের পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, ২৫ থেকে ২৯ বছরের তরুণদের মধ্যে বিয়ের হার সবচেয়ে বেশি।
তবে ছেলেদের মধ্যে ৪০ বছরের কাছাকাছি ও মেয়েদের মধ্যে ৩০ বছরের মধ্যে বিয়ের করা হারও উল্লেখ করার মতো। এর মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করার প্রবণতা যথেষ্ট দেখা গেলেও প্রথমবার বিয়ে করছেন এমন দম্পতির সংখ্যই বেশি।
মূলত দেশটিতে ১৯৭২ সালের পর থেকে বিয়ে করার হার কমতে থাকে। তবে প্রটেস্ট্যান্ট ছাড়াও অন্যান্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ আরও কয়েকটি ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিয়ের প্রবণতা কমেছে। এর মধ্যে ক্যাথলিকদের কমেছে এক দশমিক এক শতাংশ এবং শিখ, মুসলমান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের বিয়ের হার কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।
এজন্য ধর্মীয় বিশ্বাসকেই বেশি দায়ী করছে গবেষকরা।
এ হার বৃদ্ধির জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বিয়ের ওপর কর কমিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। দেশে তরুণদের সুখী দাম্পত্য জীবনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত এ নীতি কার্যকরী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া দেশটির ৬ লাখ অভিবাসীর বিয়ে করার কারণেও এই বিয়ের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে গবেষকরা জানান।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।