কত ক্ষয়!
ব্রিটেন খুব সহজে রিসেশন ধাক্কা সামলাতে পারবেনা। নীতি নির্ধারকরা নিয়ত চেষ্টা করছেন এ সংকট উত্তরণ কিভাবে ঘটানো যায়। কিন্তু কোন চেষ্টাই হালে পানি পাচ্ছে না। ক্রমান্বয়ে বন্ধ হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ছে বেকারত্ব। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও বাড়ছে।
অথচ বাড়ছে না আয়ের ক্ষেত্র। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অন্তত আরো দু’বছর এ সংকট বিরাজ করবে। ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সা¤প্রতিক হিসাব মতে, ব্রিটেনে বেকারের সংখ্যা ১৩১,০০০ থেকে বেড়ে ১.৯২ মিলিয়ন-এ দাঁড়িয়েছে। গত বছরের শেষ থেকে মূলতঃ সুচনা হয় ব্রিটেনের এই অর্থনৈতিক সংকট। ২০০৭ সালের প্রথম দিকে বেকারত্বের হার ছিলো ৫.২ শতাংশ যা ২০০৮ সালের শেষ দিকে এসে দাঁড়ায় ৬.১ শতাংশে।
ব্রিটিশ কর্মসংস্থান মন্ত্রী ম্যাকনল্টি এ পরিস্থিতিকে অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন সংকট উত্তরন করা পর্যন্ত পরিস্থিতি এ রকম হতাশাজনক হবে। ব্রিটেনের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও রিসেশন কে ঘিরে বিরাজ করছে চরম হতাশা। গ্র্যাজুয়েশন করার পর আদৌ চাকুরী মিলবে কিনা এ নিয়ে বাড়ছে শংকা। এ রকমই হতাশা ব্যক্ত করেছেন ছাত্র মাইকেল এপলিয়েটন।
ব্রিটেনের রিসেশন আক্রান্ত হয়ে কর্মসংস্থান হারানোসহ অর্থনৈতিক ক্ষতির কোপানলে পড়েছেন ক্ষুদ্র থেকে বড় মাপের ব্যবসায়ীরা। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ কারীরা হতাশ। বিরিয়োগ কৃত অর্থ আদৌ ফিরে আসবে কিনা তাও অনিশ্চিত। বাঙালী কমিউনিটিতে ধীরে ধীরে রিসেশন প্রভাব বিস্তার করছে। চাকুরী হারানো, ব্যবসায় লোকসান-এর ফলে আয় কমেছে অনেকের।
ব্রিটেনের দরিদ্র কমিউনিটি পর্যন্ত গ্রাস করা রিসেশন আঘাত করছে প্রতিটি ক্ষেত্র এবং কমিউনিটিতে। এ নেগেটিভ গ্রোথ আগামী দু’বছর পর্যন্ত বিরাজমান থাকলে ব্রিটেনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে নেমে আসবে স্থবিরতা। আর এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারকে অনেক বেশী মূল্য দিতে হবে। এখন থেকে এ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জোরালো উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। অনেক সময় নীতি নির্ধারকদের চিন্তা ভুল ও হতে পারে।
এখন থেকে উদ্যোগী হলে দ’বছরের আগে বিরাজমান সংকট নিরসন করা সম্ভব হতেও পারে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।