বুঝলাম না। এতোবড় আয়োজন, এত লোকের সমাবেশ, এত গর্জন, প্রতিরোধ তারপর কেবল হরতাল? বিরোধী দলের এই সমাবেশ নিয়ে মানুষের চিন্তার কোনো অন্ত ছিল না। সাধারণের যত চিন্তা ছিল সরকারের দুশ্চিন্তা তার চেয়েও বেশি ছিল। তাই তো হলো-- অঘোষিত কারফিউ বা হরতাল, জনস্রোত ইত্যাদি। কেউ কেউ বলছিলেন এটা হবে একটি টার্ণিং পয়েন্ট।
কিন্তু কি যে টার্ণ নিলো তা বুঝলাম না।
সরকারের আচরণে মানুষ ক্ষুব্ধ তাতে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু এই ক্ষোভকে ক্যাপিটালাইজ না করে আবার একটা বিরক্তিকর হরতাল (যেটা অধিকাংশ মানুষই মানে না এবং রাস্তাঘাটে কর্মীদেরও দেখা যায় না) কি খুব প্রয়োজন ছিল?
সরকারকে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সময়সীমা বেধেই দেওয়া হলো তখন আর সময় শেষ হওয়ার আগেই এই হরতাল কার্যত কোনো ভূমিকা রাখবে না।
তার চেয়ে গণস্বাক্ষর, জনসংযোগ ইত্যাদির সাথে সাথে বিকল্প কর্মসূচি প্রণয়ন করা যেতো।
আমার মনে হয় বিরোধীদলের অধিকাংশ নেতা কর্মী এই কর্মষূচিতে হতাশ হবেন।
ইস্যুটা ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কিন্তু সমাবেশের একটা বড় অংশ নিজামী আর সাইদিদের ছবি নিয়ে মিছিল করছে।
কোন ইস্যু কার কাছে প্রধান তা এখান থেকেই বোঝা যায়। অলি সাহেব বললেন দ্রুততার সাথে সরকার পতনের কথা, অতি উৎসাহীরা আরব বসন্তকে বরণ করতেও চাইলেন কিন্তু গর্জনের সাথে বর্ষণ তেমন হলো না।
তারপরও শান্তি এটাই যে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলো না।
প্রকৃতপক্ষে জনদাবির প্রতি মানুষের সমর্থন থাকবেই, সেটা সমাবেশ হোক বা না হোক কিন্তু সেই দাবির সমর্থনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে না পারলে সেই দাবি তো মুখ থুবড়ে পড়বে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
এজন্যে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে এবং সৃষ্টি করতে হবে জাতীয় ঐকমত্য।
মূলদাবীর আড়ালে যুদ্ধঅপরাধীদের রক্ষার আয়োজন যেমন কাম্য নয় তেমনি রাজপথে পিকনিক এর মতো আন্দোলনও চাই না।
রাজপথে একবার নামলে দাবি আদায় না করে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবা যাবে না। ১৪ মার্চ মহা সমাবেশ, ২৯ মার্চ হরতাল, ১০ জুন আলটিমেটাম, ১১ জুন মহাসমাবেশ, এই বিশাল গ্যাপগুলোতে আন্দোলনের পথ হারিয়ে যাবে না তো????? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।