ভালবাসি আমার বাজেট পর্যালোচনা ২০১২-১৩
রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রণীত বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন : ড. দেবপ্রিয়
পুঁজিবাজার থেকে বিমুখ ছিল দেশি বিদেশী আর্থিক প্রতিষ্ঠান
রেমিট্যান্সের উর্দ্ধমুখীতায় বেড়েছে রিজার্ভ, ভারসাম্যহীন অর্থনীতি
সঞ্চয় ও বিনিয়োগ ঘাটতি, রাজস্ব আদায়ে পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া, আর্থিক খাতে অব্যবস্থাপনাসহ সামষ্টিক অর্থনীতিতে নানা সঙ্কট নিয়ে শেষ হচ্ছে ২০১২-১৩ অর্থ বছর। যদিও অনেক সঙ্কটের মাঝে আশা দেখিয়েছে রেমিটেন্স। এর কারণে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কিন্তু এই বাড়তি রিজার্ভ অর্থনীতির স্থবিরতাকেই নির্দেশ করে। যা অর্থনীতির জন্য বিপরীত পীঠের সঙ্কটইে বারবার তুঙ্গে তুলে দেয়।
বাড়িয়ে দেয় মূল্যস্ফীতি।
অর্থনীতিবিদদের মতে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই ৬ শতাংশের বেশি হবে না। আর সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এরই মধ্যে ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করেছে। তবে মার্চ মাস পর্যন্ত অর্জন নিয়ে সারা বছরের জন্য এ হিসাব করেছে বিবিএস।
বিভিন্ন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের হার আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে।
২০১১-১২ অর্থবছরে দেশের মোট জিডিপি’র ১৯ শতাংশ অর্থ বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হয়েছিল। চলতি অর্থবছরে তা ১৯ শতাংশ থেকেও নেমে এসেছে। সরকারের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বিনিয়োগের এ হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কম। এর ফলে ২০০৬-০৭ অর্থবছরের চেয়েও কমে এসেছে বেসরকারি বিনিয়োগ।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
এপ্রিল মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রার ৭৪ শতাংশ অর্জন হয়েছে। অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে মে ও জুন মাসে ২৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। আমদানি কমে যাওয়ায় এ খাতে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায় হয়নি। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আদায় কম হতে পারে। এরই মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এ ঘাটতি অর্থায়ন করা হচ্ছে।
ফলে নতুন করে অর্থনীতি অস্থিরতায় পড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় প্রবৃদ্ধি ছিল ২৭ শতাংশ- যা কমে চলতি অর্থবছরে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের অর্থনীতির ১৯ সূচকের মধ্যে রেমিটেন্স ছাড়া বাকি সূচকগুলোর অবস্থা তেমন ভালো নয়। তিনি বলেছেন, রেমিট্যান্স ছাড়া সব সূচক নিম্নমুখী। গত অর্থবছরে রাজস্ব আয় বেশি হলেও চলতি অর্থবছরে কমেছে।
এটা আমাদের জন্য খারাপ সংবাদ।
২০১২ সালের প্রথম দিকে ভীষণ তারল্য সঙ্কট ছিল। ২০১২ সালের শেষে সব ব্যাংকে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে। আমানতের সঙ্কট কিছুটা কাটে। ডলারের সঙ্কটও দূর হয়।
বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সব রেকর্ড ভাঙ্গতে শুরু করে ২০১২ সালের শেষ সময় থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছর শেষ সময় গত ২৪ জুন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ১৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আর ২১ জুন পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ১৪ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেলেও আমদানির পরিমাণ আগের গতিতে বাড়েনি। রফতানির প্রবৃদ্ধি মোটামুটি সন্তোষজনক।
বড় বড় ঋণপত্র খোলার ঘটনা কম হওয়ায় ডলারের ওপর চাপ হ্রাস পায়। এসব কারণে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ব্যয় হয়নি। ফলে রিজার্ভ শুধুই বেড়েছে। যা মোটেই ভাল লক্ষণ নয়, কারণ অতিরিক্ত রিজার্ভে লুক্কায়িত থাকে মূল্যস্ফীতির উপাদান। রিজার্ভের একটা বড় উপাদান রেমিটেন্স।
রেমিটেন্স মানেই গ্রামের মানুষের হাতে টাকা। এই টাকার বেশিরভাগ যায় বাজারে যা মূল্যস্ফীতির বীজ বহন করে চাহিদার হিসাবে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থ বছরের অসমাপ্ত হিসার অনুযায়ি মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে ১০ শতাংশেরও বেশি।
কুইক রেন্টালের ব্যবস্থার ফলে বিদ্যুতের অবস্থার দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি। তবে অর্থনীতিকে করেছে বেশামাল।
এখনও লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে যায়নি। কৃষিতেও কৃষকরা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পায়নি। সবসময় বিদ্যুতের জন্য তাদের মধ্যে ছিল হাহাকার, তারপরও ফলন ভাল হয়েছে। এর উপর চেপে বসেছে বাড়তি মূল্য। সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়েছে।
সরকার বলছে, এতো ভর্তুকির ভার বহন করার ক্ষমতা সরকারের নেই। তাই বধ্য হয়েই মূল্য বাড়াতে হচ্ছে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কুইক রেন্টাল, রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে অর্থনীতিকে নাজুক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অথচ এ সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ প্লান্ট করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা বার বার সরকারকে বলেছিল।
কুইক রেন্টালের ফলে এই ব্যয়বহুল বিদ্যুতের কুফল পড়েছে সর্বত্র।
বিদ্যুতের মূল্য বাড়ার ফলে অর্থনীতির পুরোটাই হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। শিল্পের খরচ বাড়ছে, যা নি¤œ ও মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণীর মানুষের জীবনমানের উপর প্রভাব পড়ছে। তাই দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা ছাড়া ত্বড়িত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কোন কাজে আসবে না।
এদিকে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের মাধ্যমে ৩ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে তা উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
ফলে ভর্তুকির চাপ বেড়ে গেছে।
চলতি অর্থ বছরে অর্থনীতিতে আরেকটি বড় সমস্যা ছিল গ্যাসের। সম্প্রতি গ্যাসের নতুন সংযোগ দেয়া শুরু হলেও, অর্থ বছরের পুরো সময় জুড়েই গ্যাসের নতুন সংযোগ দেয়া বন্ধ ছিল। বস্তুত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নতুন সংযোগের অভাবে নতুন শিল্প চালু হয়নি, যেসব কারখানা নির্মাণ সম্পন্ন ছিল, ওই সব প্রতিষ্ঠান গ্যাস, বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদনে যেতে পারেনি। আর রিয়েল এস্টেটের বাজার ছিল পুরোটাই মন্দা।
হাজার হাজার ফ্ল্যাট হয়ে রয়েছে অবিক্রীত। রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে দিন মজুর, কাঠমিস্ত্রি, ওস্তাগার থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রমিকের। বস্তুুত রিয়েল এস্টেট অর্থনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এখন তা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
গত অর্থ বছর থেকে শুরু করে চলতি অর্থ বছর পর্যন্ত শেয়ারবাজার ছিল আশঙ্কাজনক।
২০১২ সালে ঢাকা শেয়ারবাজারের সূচক কার্যত ১০০০ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে এ বাজারে নতুন শেয়ার এসেছে মাত্র ১৪টি। এর মধ্যে চারটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ১০টি কোম্পনির শেয়ার। এরা বাজার থেকে মাত্র ২০০০ কোটি টাকা তুলেছে। পুরো ২০১২ সালে শেয়ারবাজারে কোন নতুন তারল্য সরবরাহ ছিল না।
বাজারে ছিল না ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বড় বড় বিনিয়োগকারীরাও চিল বিমুখ। এছাড়া বিদেশী বিনিয়োগও ছিল না বাজারে। এর ফলে চরম হতাশাজনক অবস্থা বিরাজ করে শেয়ারবাজারে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, লুটপাটের বৈধতা দিতে সম্প্রতি শেয়ার বাজারে ৯০০ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই তহবিলের উদ্যোগ আরও আগেই নেয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা না করে এ ধরনের উদ্যোগ হতাশাজনক। সুশাসনের বদলে এ খাতে লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
শেয়ারবাজার ছাড়া আরেকটা মাধ্যম ছিল সঞ্চয়পত্র। সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে মানুষের কাছ থেকে ঋণ নেয়।
এটা দীর্ঘকাল ধরে ছিল সরকারের একটা নির্ভরযোগ্য ঋণ মাধ্যম। কিন্তু সরকারের নানাবিধ সঞ্চয়বিরোধী পদক্ষেপের ফলে বাজারটি নষ্ট হয়ে গেছে। ২০১২ সালে মানুষ সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে বেশি, ক্রয় করেছে কম। এর কারণ অবশ্য মানুষের হাতে টাকা না থাকা। মানুষের সঞ্চয় আগের মতো বাড়ছে না।
আয় যে হারে বাড়ছে তার চেয়ে বেশি হারে বাড়ছে খরচ। এর কারণে ব্যাংক আমানত ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় কমে গেছে।
অভ্যন্তরীণ সঞ্চয়ের পরিমাণ ১০ বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে চলে এসেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় মিটিয়ে কারো পক্ষে সঞ্চয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের হার ছয় বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ অবস্থানে চলে এসেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ কমে এলেও এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুদের হার কমছে না। ব্যাংকিং খাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে এরই মধ্যে বিপুল পরিমাণ ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। আর এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাংক ব্যবসায়ীরা সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
সিপিডির ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো ব্যাংকিং খাতের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা এবং অতি সতর্কতার প্রবণতা। ব্যাংকের মূল সূচকগুলোর কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তবে কিছু চাপও রয়েছে। গত ৫ বছরের মধ্যে বর্তমানে ব্যাংকের ঋণ খেলাপির হার সবচেয়ে বেশি। এদিকে ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য থাকা সত্ত্বেও ঋণের সুদ হার কমছে না, বাড়ছে স্প্রেড (ঋণ ও আমানতের সুদের পার্থক্য)। একটি দুষ্ট চক্রের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় ঋণের সুদ হার কমছে না।
এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি, গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের অবনতি, ব্যাংকিং খাতে হলমার্ক ও বিসমিল্লা গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি, ডেসটিনি কেলেঙ্কারি, ট্রানজিটের মূল্য নির্ধারণে ব্যর্থতা, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের সথে সরকারের বিরোধও লক্ষ্য করা গেছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় বাজেট প্রণয়ন করা হলে আকার যা-ই হোক না কেন, তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়। আর বাজেট বাস্তবায়ন না হলে দেশের অর্থনীতি ভাল হয় না। অবকাঠামো সংস্কার বা নির্মাণ হয় না। ফলে অর্থনীতির চাকাও শ্লথ হয়ে যায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, অর্থনীতি বড় একটি পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করছে।
এখন সব সূচক ভালোভাবে কাজ করছে না। সব সূচক ভাল ভাবে কাজ করলেই অর্থনীতি একটি ট্র্যাকে উঠবে। অর্থনীতির স্বার্থে অর্থবছর পরিবর্তনের প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন। তার মতে বৃটিশ ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রাখার কারণে জুলাই-জুন থেকে অর্থবছর হিসাব শুরু হয়েছে। কিন্তু অর্থবছর এপ্রিল-মার্চ করা হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন বেড়ে যাবে; এতে কোনো সন্দেহ নেই।
অর্থনীতিবিদ ড. আর এম দেবনাথ বলেন, সার্বিকভাবে বিচার করলে বলা যায়, চলতি অর্থবছরটি ছিল একটা মিশ্র বছর। সাধারণ মানুষের খেয়ে পরে ছিল এ কথা সত্যি। রফতানি বাড়ছে, রেমিটেন্স বাড়ছে, আমদানি কম হারে হলেও বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এসেছে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্ক থেকে এক অঙ্কে।
বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ অনেক বেড়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগও কিছুটা হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।