একদিন জন্মের চিৎকারে পৃথিবীতে এসেছিলাম। আবার একদিন কিছু চিৎকারের মাঝ দিয়েই চলে যাব। হরতাল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকারি অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানোর একটি মাধ্যম। বিরোধী দলই হরতাল দিয়ে থাকে সাধারণত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কথাটির সত্যতা একশত ভাগ।
এখানে বিরোধী দল হরতাল দেয়, সরকার তা প্রতিহত করে। কিন্তু কি অবাক কান্ড! বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটে যাচ্ছে ব্যতিক্রম কিছু। আমরা পরিবর্তন আনতে চাই। পরিবর্তন তো এসেই গেল। বিরোধী দলের পরিবর্তে এখন হরতাল ডাকে সরকারি দল!!
বিএনপির ১২ মার্চ কর্মসূচীকে ঘিরে সরকার খুবই উৎকণ্ঠায়।
সম্ভবত এ কারণেই ইতিহাস ব্রেক করে নিজেরাই হরতাল ডেকে বসল। ঠিক হরতাল নয়, কিন্তু তার চেয়েও কম কিছু নয়। দূর পাল্লার বাস তো চলতেই পারছে না। ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকেও সিটির ভিতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। দূর থেকে যারা এসেছেন, তারাও বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
কিন্তু রাজনীতি না হয় বাদই দিলাম। সাধারণ মানুষের কি হবে! ক্রিকেট পাগল মানুষগুলোর কি হবে? আজ দুপুরে বাংলাদেশ দল খেলতে নামছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই যদি এ অবস্থা হয়, তবে বাকিগুলো শেষ হবে কি করে! ক্রিকেট দর্শকরা যদি স্টেডিয়ামেই যেতে না পারেন, তবে ম্যাচ হয়েই বা লাভ কি! দর্শকহীন ম্যাচ কি মাঠে গড়াবে! অনেক প্রশ্ন অপেক্ষায় আছে উত্তরের। কিন্তু আমরা তো বাংলাদেশের মানুষ। এখানে প্রশ্ন করাই অধিকার নেই।
উত্তর পাওয়ার অধিকার কোথায়! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।