পাগলা শান্তু যারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা তাদেরকে জারজ বলেছেন আল্লামা শফি। 'নাস্তিক' শব্দটাকে তিনি যেভাবে নেতীবাচক অর্থে ব্যাবহার করছেন তাতে এদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মানুভুতি আহত হয়েছে। আজকে ফেসবুকে একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে নাস্তিকদের 'জারজ' বলায় আহত হতে দেখলাম। এছারাও হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিগুলোর একটিতে খ্রীষ্ঠান মিশনারীদের ধর্ম প্রচার বন্ধ করার দাবি করা হয়েছে, যা খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মানুভুতিকে আহত করে। আরেকটি দাবিতে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, যা কাদিয়ানীদের ধর্মানুভুতিকে আহত করে।

ইমাম শফি একজন হাম্বলিবাদী এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে কেউ নামাজ না পড়লে তাকে খুন করা জায়েজ আছে এবং এটা তিনি ঘোষনাও দিয়েছেন। তার এই ঘোষনার সাথে হানাফি সুন্নি, সুফিপন্থী এবং সিয়া মুসলমান ও মডারেট মুসলমানরা একমত নয় এবং এতে তাদের ধর্মানুভুতি আহত হয়েছে। - আর এভাবেই বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি শুরু হল, যার প্রচলন পাকিস্তান থেকে এসেছে। কয়দিন পর বাংলাদেশেই মুসলমানদের মধ্যে খুনাখুনি হবে কে সুন্নি, কে শিয়া, কে ভিন্ন ভিন্ন মাজহাব অনুসরন করে এসব নিয়ে। শক্ত হাতে আমাদের অর্থাৎ সচেতন জনগণকে এই সব অন্ধকার যুগের প্রেতাত্মাদের নির্মূল করতে হবে,সরকার কিছু করতে পারবে না তাদের ভোটের রাজনীতির কথা ভেবে- তা সে আওয়ামীলীগ অথবা বি এন পি যারাই ক্ষমতাসীন হোক না কেন।

আর তা না হলে বাংলাদেশ,আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হবে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র - যেখানে প্রতিদিন সহিংসতায় শত শত নিরপরাধ মানুষ মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে মারা যাচ্ছে । আমি আমার স্কুল জীবনে ইসলাম শিক্ষা বইতে প্রথম পড়েছি - দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। আমার দেশকে আমি সোনার বাংলাও বানাতে চাইনা- আরেক পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানও না । আমার বাংলাদেশ হবে খাঁটি মানুষের বাংলাদেশ,প্রত্যেকে অন্তত খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা পাবে,শিক্ষা হবে মৌলিক নিশ্চয়তা , দেশের সম্পদ নষ্ট করার কথা কেউ ভাবতেই পারবেনা, মুক্তিযুদ্ধ হবে প্রতিটি বাংলাদেশের গর্ব - প্রতিটি বাংলাদেশীর একটাই লক্ষ্য হবে জীবনের - দেশের উন্নতিসাধন। হয়তো অনেকে আমার কথা শুনে হাসছেন- কিন্তু দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখায় আমার কোন সীমারেখা নেই।

ইনশাল্লাহ আমার জিবদ্দশায় না হোক - একদিন এই স্বপ্ন সত্যি হবেই । আর আসিফ মহিউদ্দিন ও তার সমগোত্রীয় ইসলাম ধর্ম নিয়ে কুৎসা রটনাকারিদের মুক্তির দাবিতে যারা আন্দোলন করছে তাদের জন্য আমার আসলে করুনা হয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি জিনিস- সেটা তারা নিজেরাও জানেনা এতো শিক্ষিত হয়েও- সেখানে ব্লগার কি জিনিস সেটা এই স্বল্পশিক্ষিত "হেফাজতের দল " না জানাটাই স্বাভাবিক। " ফ্রি সেক্স" আর "সেক্স ফ্রি কান্ট্রি " দুইটা যেমন এক কথা না, তেমনি "মতপ্রকাশের স্বাধীনতা" আর "উন্মাদের মতো যা মন চায় তাই বললাম" একি ব্যাপার না । দ্বিতীয় শ্রেনির জায়গা হওয়া উচিত অবশ্যই জেলে অথবা পাগলাগারদে । ।