প্রিয় বন্ধুরা গত কিছুদিন যাবত আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার মাঝে কিছু পরিবর্তন এসেছে কিন্তু সেইটা কি তা আমি ধরতে পারছিলাম না। এর জন্য নিজে খুব চিন্তিত ছিলাম এবং মনটা খুব খারাপ ছিল। আমার আশেপাশের মানুষগুলোর কাছেও বেশ লজ্জা পাচ্ছিলাম। কিন্তু কিছুতেই ধরতে পারছিলাম না যে কি হয়েছে!!!! অবশেষে আজ আমার এক ডাক্তার বন্ধুর এর শরণাপন্ন হলাম। ডাক্তার বন্ধুটি সব শুনে উনা রোগটা ধরতে পেরেছেন এবং আমাকে বেশ আশার কথা শুনিয়েছেন।
আজ অনেকটা শান্তি পাচ্ছি মনে।
আজ সকাল ১১ টায় আমার ছোটবেলার বন্ধু যে বর্তমানে শহরের সেরা কয়েকজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের একজন তাঁর সাথে একটু আড্ডা ও নিজের অসুখের কথা বলার জন্য গেলাম।
সে তাঁর ব্যস্ত সময়ের মধ্য আমাকে প্রায় ঘণ্টাখানিক সময় দিলো। হাজার হোক ছোটবেলার বন্ধু বলে কথা ! আমাকে দেখেই সে উৎফুল্ল হয়ে স্বাগতম জানালো এই বলে '' কিরে পাগলা! তোর আমার চেম্বারে এসে আমাকে দেখার সময় হলো তাহলে!!! কোন খুশির খবর আছে নিশ্চয়!!! আরে তুই দেখি আবার দাঁড়ি রেখে দিচ্ছিস! এবারও কি ফ্রেঞ্চ কাট নাকি হুজুর কাট? আমি তাঁর এতগুলো প্রশ্ন শুনে একটুও অবাক হইনি, কারন এমন প্রশ্নের সম্মুখীন আমার ছোট বেলার বন্ধুদের কাজ থেকে প্রায় শুনি। যাই হোক তাঁর চেম্বারে বসে আমি বললাম '' দোস্ত, কোন খুশির সংবাদ কিনা জানিনা, তবে একটা সংবাদ দেয়ার জন্য আসছি"
কথা শেষ না হতেই আবারো তাঁর কৌতুক পূর্ণ কথা " যাক ,তাহলে এতদিনে আমাদের পাগলুর মত পালটালো! বিয়ে করে সংসারী হবি???? বহুদিন পর তোর বিয়েতে সবাই কে একসাথে পাওয়া যাবে "! এবার আমি একটু উত্তেজিত হয়ে বললাম "ধেৎ , তোদের সাথে কিছু বলতে আসাটাই বোকামি! আমি কি তোকে বলেছি যে বিয়ে করবো? আমার কথা না শুনেই তুই আমাকে বিয়ে দিয়ে সংসারী করে ফেললি?
এবার আমার বন্ধুটি খুব সিরিয়াস মুডে চলে এসে বললো " হুম, যা ভেবেছিলাম তা না, ঠিক আছে চা বিড়ি খেতে খেতে শুনবো তোর কথা'' বলেই সে তাঁর কম্পাউনডার কে ডেকে ১ টা রং চা ১ টা দুধ চা (আমার জন্য) আর সাথে গরম সিঙ্গারা পাঠাতে বললো।
এবার সে আমাকে আমার জরুরি কথা বলার অনুমতি দিয়ে পুরো মনোযোগ আমার দিকে দিলো ।
আমি তাকে বললাম ''বন্ধু গত কিছুদিন যাবত আমি লক্ষ্য করলাম যে আমি যা বলি পরক্ষণে তা ভুলে যাই এতে করে আমার চারপাশের মানুষের সাথে প্রায় ভুল বুঝাবুঝি হয়। " আমার কথা শুনে বন্ধুটির পাল্টা প্রশ্ন "যেমন? খুলে বল"!
এই যেমন ধর ''গত সপ্তাহে আমার এক পাওনাদার এসে বললো ''বস, আপনি আমাকে বলেছিলেন ২৮ তারিখে টাকাটা দিয়ে দিবেন। আজ ১ তারিখ, আপনার তো কোনদিন কথার বরখেলাপ হয়না, কিন্তু এবারই প্রথম দেখলাম, তাই আপনাকে একটু স্মরণ করিয়ে দিলাম বলে কিছু মনে করবেন না। আপনার অসুবিধা থাকলে পরে সময় করে দিয়েন এতে কোন সমস্যা নাই''।
আমি তাঁর কথা শুনে নিজের কাছেই খুব ছোট হয়ে গেলাম এবং সাথে সাথে তাকে বললাম '' সরি রফিক ভাই, কাজের চাপে একটু ভুলে গিয়েছিলাম, আপনি কাউকে এখন আমার অফিসে পাঠিয়ে দিন,আমি তাঁর কাছে টাকাটা দিয়ে দিবো'।
এরপর দেখ আবার '' আমার এক সহকর্মীর বিয়ে বার্ষিকীর দাওয়াত ছিল। সেদিন সে ছুটিও নিয়েছিল আমার কাছ থেকে। ওর আত্মীয় স্বজন ও অফিসের সবাইকে সে সন্ধ্যার পর নিমন্ত্রণও দিয়েছিল। কিন্তু আমি সেদিন অফিস থেকে বের হয়ে যাবো, এমন সময় সে আমাকে মোবাইলে ফোন করে জিজ্ঞেস করলো " বস, কি এখনও অফিসে ? আমার এখানে আসছেন তো ? আমরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছি "! আমি তাঁর কথা শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লাম যে তাঁর বাসায় যাওয়ার কথা আমি কখন বললাম? কেন যাবো? তাই তাকে জিজ্ঞেস করলাম " আমার জন্য অপেক্ষা করছেন বুঝতে পারছিনা ,কেন? আমার কি আপনার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল? " সে সাথে সাথে হো হো করে হেসে বললো "বস আপনি ভুলে গেছেন, আজ আমার বিবাহবার্ষিকী র অনুষ্ঠানে আপনি সহ অফিসের সবাইকে দাওয়াত করেছিলাম।
প্লিজ বস, মিস করবেন না। আপনি না আসলে খুব কষ্ট পাবো। আমার পরিচিত অনেক কে আপনার কথা বলেছিলাম''। আমি ওরে আর কথা না বাড়িয়ে বলে দিলাম "আচ্ছা , মনে পড়েছে ,সরি জামান। আসছি আসছি"।
ফোন টা রেখেই আমি আমার এক সহকর্মী পিংকি কে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম "পিংকি আজ জামান সাহেবের বিবাহ বার্ষিকীর নিমন্ত্রণ ছিল আপনারা কি জানতেন?" পিংকি বললো ''স্যার , উনি তো গত সপ্তাহে আপনাকে সহ অফিসের সবাই কে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। নিমন্ত্রণ কার্ড ও আপনার হাতে দিয়েছিলেন। আমরা তো সবাই অফিস থেকে আপনাকে সহ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছি। কেন স্যার? আপনি যাবেন না? " আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরে নিজেকে সামলে বললাম ঠিক আছে ,সবাইকে বের হতে বলুন। "
আমার কথা শেষ হতেই ৪ টা সিঙ্গারা, ২কাপ চা ও ২গ্লাস পানি নিয়ে কম্পাউনডার সাহেব চেম্বারে প্রবেশ করলেন।
এবার আমার বন্ধুটি আমাকে সিঙ্গারা বাড়িয়ে দিয়ে নিজের হাতে আরেকটা সিঙ্গারা নিয়ে খেতে খেতে বললো " হুম ,বুঝলাম। তোর মনভোলা রোগ হয়েছে। এটা এমন কোন অসুখ না, খুব বেশী চিন্তাগ্রস্থ ও বিশাদ্গ্রস্থ থেকে এই সমস্যা হয়। এমন সমস্যা বহু মানুষের আছে। এটার জন্য কোন ওষুধ এর দরকার নেই।
শুধু দরকার দুশ্চিন্তা না করা । তুই হয়তো কোন কারনে কোন বিষয় নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করছিস, তাই তোর মনের ভেতর সারাক্ষণ সেইটা তোরে ভোগায়। যার কারনে তোর বাকী কাজকর্মে সেটার নেগেটিভ প্রভাব পরে। তুই অন্যসব বিষয় ভুলে যাস। "
আমি তার কথা শুনে বললাম ''তোর কথা ঠিক, আমি আসলে প্রায় দুশ্চিন্তা করি।
'' তাহলে আমার কোন ওষুধ লাগবে না ?
আমার বন্ধুটি হাসিমাখা মুখে বললো - ''নারে তোর কোন ঔষুধ লাগবে না। তুই তো আর ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন করছিস না। যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন করে আগে তাদের চিকিৎসা দরকার। " আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম মানে? তোর কথা তো বুঝিনি। সে বললো '' দেখ পাপ্পু, সমাজের দেশের সব বড় বড় মাথারা হাজার হাজার মানুষের সামনে কথা দিয়েও পরক্ষণে তা ভুলে যায়।
শুধু ভুলেই যায় না সরাসরি অস্বীকার করে যে এমন কথা তিনি কখনও বলেননি। উনার আশাপাশের মানুষেরাও উনার পক্ষ নিয়ে সেটাকে সত্য প্রমান করেন। " বন্ধুটির কথা শুনে নিজের মনে খটকা লাগলো যে এমন মানুষও কি আছে দুনিয়াতে? যিনি হাজার হাজার মানুষের কাছে ওয়াদা দিয়ে সেটাকে অস্বীকার করে !!!! তাই বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম ''খুলে বল, তোর কথা বুঝিনি"।
বন্ধু বললো ''দেখ তুই তো একজন ২ দুজনের কাছে কথা দিয়ে ভুলে যাওয়াতে নিজেকে লজ্জিত বোধ করছিস, যার জন্য আমার কাছে পরামর্শ নিতে এসেছিস। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণকারীরা অনবরত দেশের কোটি কোটি মানুষের সাথে কথা ভঙ্গের রাজনীতি করে যাচ্ছে সেটার পরামর্শ কি উনারা কারো সাথে করেছেন? গত নির্বাচনের জনসভায় আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় প্রকাশ্য বললেন " ধানের শীষে ভোট দিয়ে দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় আনবেন ? নাকি নৌকায় ভোট দিয়ে ১০ টাকায় চাল কিনে তিনবেলা খাবেন সেটা আপনারাই ভেবে দেখুন"।
কিন্তু এই ব্যক্তিই ক্ষমতায় এসে বললো কি " ১০ টাকায় চাল কেনার কথা আমি কোনদিন বলিনি",! উনার সাথে সাথে উনার চামচারাও বললেন " জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনদিন ১০ টাকায় চাল দিবেন এমন কথা বলেননি। সব ষড়যন্ত্র"। এখন তুই বল সেময় পত্র -পত্রিকা, টিভি চ্যানেল সহ জনসভার হাজার হাজার লোক তাহলে যা দেখেছে সব ভুল দেখেছে? যা শুনেছে সব ভুল শুনেছে ? উনার কথাই যদি সত্যি হয় তাহলে দেখ দেশে কি পরিমাণ হারে চোখের ও কানের সমস্যা নিয়ে মানুষ বসবাস করছে। ১জন ২জন নয় লক্ষ কোটি মানুষের চোখে সমস্যা , কানে কথা না শুনার সমস্যা মানে বয়রা, আর উনারা সব হয়েছেন সুস্থ।
বন্ধুটির এই কথা শুনে নিজের মনে নিজেকেই সান্ত্বনা দিলাম এই যে " যাক, আমার তাহলে তেমন কিছু হয় নাই।
হলেও ক্ষতি নাই, এটা দেখি সব নেতা নেত্রীর গুন!"
এবার বন্ধুটির কথায় সায় দিলাম ''আসলে তুই ঠিক বলেছিস। "
আমার সায় পেয়ে বন্ধুটির যেন মুখ দিয়ে খৈ ফোটা শুর হলো ! সে আবার বলা শুরু করলো " দেখ , কয়দিন আগে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এসে বললেন ভারত কথা দিয়েছে "সীমান্তে আর গুলি হবে না" ! কিন্তু আজকের পত্রিকাতেও আছে সীমান্তে বিএসএফ একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে । তাঁর কথা শুনে আমি বললাম " তো কি হয়েছে? ভাত্রত তো কথা রেখেছে। বলেছিল গুলি করবে না। তারা তো গুলি করে মারে নাই।
পিটিয়ে মেরেছে"। আমার কথা শুনে বন্ধুটি হো হো করে হেসে উঠলো । হাসতে হাসতে বললো " তুই তো ভালো কথাই বললিরে পাগলু! দেখ এই কথাটাই আমাদের (হীন)পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় বলে কিনা"?
যে দেশের জনগণ কে কেউ মেরে ফেললে সরকার বলতে পারে '' সীমান্তে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। সব দেশের সীমান্তেই এমন হয়। আমেরিকা -মেক্সিকো র সীমান্তেও এমন হয়।
" আরে ছাগু, তুই যে আমেরিকা -মেক্সিকোর সীমান্তের কথা বলছিস, তুই কি তোর দেশের ভিতরের মানুষদের কি আমেরিকার জনগণ এর মতো শান্তিতে ,নিরাপদে রেখেছিস? এই বলে সে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় আমি প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট নিজের জন্য বের করলাম আরেকটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিলাম। সে সিগারেট মুখে নিয়ে ধরাতে ধরাতেই বলতে লাগলো ''জানিস, গত মাসে মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম । সেখানে একটি শপিংমলের একটা সুপার স্টোরে বেশ কিছু কেনাকাটা করলাম। ক্যাশ কাউনটারে বিল দিতে দিতে মালয়েশিয়ান লোকটি আমাকে জিজ্ঞেস করলো "স্যার কি বেড়াতে এসেছেন এখানে"? আমি বললাম 'জী বেড়াতে এসেছি।
" সে আমাকে জিজ্ঞেস করলো ''স্যার কোন দেশ থেকে এসেছেন''? আমি উত্তরে বললাম ''বাংলাদেশ"! ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে আবার জিজ্ঞেস করলেন " সরি স্যার- ওয়াট ড্যাশ " আমি আবারো বললাম " বাংলাদেশ" সে আমাকে আবার জিজ্ঞেস করলো "ইস ইট এন ষ্টেট অব ইনডিয়া'?????? ভদ্র লোকের কথা শুনে আমার মাথা গরম হয়ে গেলো আমিও উত্তর দিলাম " ওয়াট ইনডিয়া!? ফাকিং ইনডিয়া! বাংলাদেশ ইস এন ইন্ডিপেন্ডেন্ট কান্ট্রি লাইক মালয়েশিয়া "। এবার ভদ্রলোক মুচকি হেসে বললেন "ওহ ইয়া ! সরি সরি! বাট আই থিঙ্কদ বাংলাড্যাশ ইস এন ষ্টেট অব ইনডিয়া, বিকজ সো মেনী নিউস হেভ ওয়াচড ইন টিভি ওয়ার ইনডিয়ান আর্মি হেভ কিলড বাংলাড্যাশি পিপল"। ভদ্র লোকের কথায় তখন আমি এতো বেশী লজ্জিত বোধ করছিলাম যে তখন মনে হয়েছিল ''বাংলাদেশের ' নাগরিক বলাটাই আমার ভুল হয়েছে। আমি উনাকে কোনরকমে বুঝালাম যে এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে কিছু মানুষের কারনে, অন্য কিছু না। এই বলে আমি তাড়াতাড়ি সেখান থেকে তোর ভাবী ও বাচ্চাকে নিয়ে চলে আসলাম।
হোটেলে ফেরার পথে সারাটা সময় আমার মনটা খারাপ হয়েগিয়েছিল। তোর ভাবী সেটা বুঝতে পেরেছে।
আমার বন্ধুটির কথার জবাবে কি বলবো আমি ভেবে পাচ্ছিলাম না। তাঁরে বললাম '' আসলে দেখ আমরা আজ এতো বেশী নির্লজ্জ হয়ে গেছি যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে আমাদের মেরুদণ্ডহীন এক জাতি হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছি। ''
তোরে কাছ থেকে পরামর্শ নিতে এসে বুঝলাম আমার রোগ নাহয় এতো জটিল কোন সমস্যা নয়।
কিন্তু উনাদের রোগটা যে আজ পুরো জাতির জন্য একটা বিরাট লজ্জা আর অপমান এর কারন হয়ে দাঁড়িয়েছেন উনারা কি একবারও তা ভেবে দেখছেন? উনারা যদি উনাদের ভুলো মনের সমস্যাকে গুরুত্বই দিলেন না তাহলে আমি গরীবের ছেলে "গোলাপ ফুল" কেন আমার ভুলো মন নিয়ে চিন্তিত হবো।
আমার বন্ধু আমাকে আরও আশ্বস্ত করলো যে 'তোর এই সমস্যা টা অভ্যাসে পরিণত করে ফেল। তোর বিরাট লাভ হবে। আমাদেরও লাভ হবে। " আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে ? আমার বন্ধু বললো ''শোন, এই ওয়াদা না রাখার অভ্যাসটা যারা করতে পারবে তারা ভবিষ্যতে ভালো নেতা পারবে।
ভালো নেতা মানেই ক্ষমতা । তার ক্ষমতা দিয়ে তখন তুই আমাদেরও কিছু সাহায্য করবি। আমরা বলতে পারবো "উমুক মন্ত্রী আমার ছোট বেলার বন্ধু। আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু"।
আমি বন্ধুটির কথা শুনে হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বিদায় নেয়ার জন্য হাত টা বাড়িয়ে দিলাম।
বন্ধুটি আমাকে বললো "অনেকদিন পর একটু ভালো সময় কাটলো। মাঝে মাঝে এই হাতুড়ে ডাক্তার কে একটু দেশে যাস। "
আমিও বন্ধুটিকে বললাম "অবশ্যই আসবো। ভারতের মতো কথা! দিলাম,! আমাদের সরকার এর প্রধান এর মতো কথা দিলাম,মন্ত্রিদের মতো কথা দিলাম ! আসবো মাঝে মাঝে ,যদি না আসতে পারি তাহলে বুঝে নিস এমন কথা আমি তোকে কোনদিন বলিনি যেমনটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখনও ১০ টাকার চাল খাওয়ানোর কথা জনগনকে বলেনি"!!!!!! বাই !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।