আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদীচী ট্রাজেডি দিবস: মামলার অগ্রগতি নেই

হরিষে বিষাদ ৬ মার্চ, মঙ্গলবার। ১৯৯৯ সালের এই দিনে যশোরে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১০জন সাংস্কৃতিক কর্মী। দিনটি উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে সকালে শহীদদের স্মারকে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা ও প্রতিবাদী সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একযুগ অতিবাহিত হলেও উদীচী হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি। ঘাতকদের বিচার করতে সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করলেও কোন অগ্রগতি হয়নি।

খালাস প্রাপ্তদের আত্মসমর্পন করিয়ে জামিন দেয়া ছাড়া মামলার বিচারিক কোন অগ্রগতি হয়নি। এ ঘটনার ১৩তম বার্ষিকী উপলে উদীচী হত্যা মামলা পুনঃতদন্ত ও বিচার আন্দোলন কমিটি দিনব্যাপি কর্মসূচি গ্রহণ করে। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর উদীচী মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করে। ২০১১ সালের ৪ মে সরকারের দায়ের করা আপিলটি গ্রহণ করেন বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া ও কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এর ফলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়।

উচ্চ আদালত এ মামলার খালাসপ্রাপ্তদের পুনরায় আত্মসমর্পনের জন্য সমন জারির নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত একটি পত্র ২০১১ সালের ২০ জুন যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসে পৌছায়। এরপর ২১ জুন খালাসপ্রাপ্ত ২৩ আসামির বিরুদ্ধে জমন জারি করে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সমনে উল্লেখ করা হয়, এক মাসের মধ্যে সকলকে আত্মসমর্পন করে জামিন গ্রহণ করতে হবে। এরপর ১৭জন বিভিন্ন সময়ে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেন।

আসামি শফিকুল ইসলাম মিন্টা, শরিকুল ইসলাম লিটু ও সোহরাব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পন না করায় তাদের বিরুদ্ধে ২৪ জুলাই গ্রেফতারি পরয়োনা জারির নির্দেশ দেয় আদালত। সর্বশেষ গত ফেব্র“য়ারি মাসে আটক হন এ মামলার অন্যতম আসামি মিন্টা। পরবর্তীতে তাকেও এ মামলায় জামিন দেয় আদালত। বর্তমানে তিনি অন্য একটি মামলায় কারান্তরীণ রয়েছেন। আদালত সূত্র জানিয়েছে, এ মামলায় মোট ২৩ আসামি খালাস পান।

পরবর্তীতে মহিউদ্দিন আলমগীর, আহসান কবীর হাসান ও মিজানুর রহমান মিজান মারা যান। আদালতের কাছে তাদের মৃত্যুর কাগজপত্র দাখিল হওয়ায় তাদের বাদে বাকী ২০জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছিলো। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, লিটু বর্তমানে ভারত ও সোহরাব মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছে। উল্লেখ্য, উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিন ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ গভীর রাতে যশোর টাউন হল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে দু’টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হন।

এঘটনায় হত্যা ও বিষ্ফোরণের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়। তদন্ত শেষে এ মামলায় ২৪ জনের জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। চার্জশিটভুক্ত ২৪ জনের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ অব্যাহতি দেয়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৬ সালের ২৮ জুন যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক বাকি ২৩ জনকে খালাস দেন। সূত্র: ফোকাস বাংলা নিউজ  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.