মানুষ মানুষের জন্য জি.এম সৈকত http://www.abnews24.net : সাংবাদিক দৃম্পতি সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবাদে গণঅনশনে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়ে আদালতের প্রতি বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, আপনাদের গন্ডির মধ্যে থাকুন, গণমাধ্যমের কাজে নাক গলাবেন না। সাংবাদিক হত্যাকান্ডর সুষ্ঠু তদন্ত, হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দাবিতে সাংবাদিকদের গণঅনশনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতীকী অনশনে বসেছেন সাংবাদিকরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশে সাংবাদিকরা একই কর্মসূচি পালন করছেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক ঘণ্টা কর্মবিরতির পর ১৯ দিনেও সাগর-রুনি হত্যাকারীদের চিহ্নিত কিংবা গ্রেফতারের কোনো তথ্য না পাওয়ায় প্রতীকী অনশনে বসেছেন সাংবাদিকরা। এই অনশন শেষে আরো কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে।
বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, পৃথিবীর কোথাও গণমাধ্যমের কাজে আদালতের এরকম হস্তক্ষেপের নজির নেই। তিনি বলেন, আদালত কেন, কারও নির্দেশনা মেনে গণমাধ্যম দায়িত্ব পালন করবে না। এটা অগ্রহণযোগ্য, অগ্রহণযোগ্য, অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, এর আগে সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দাদের গণমাধ্যমে হস্তক্ষেপ করার সময় আমরা যেমন বলেছিলাম, ক্যান্টনমেন্টের ভেতর থেকেই প্যারেড করুন, হাতপা ছোড়াছুড়ি করুন, গণমাধ্যমের দিকে বন্দুক ধরবেন না। তেমনি আদালতকেও বলছি গন্ডিপেরুবেন না, নিজ গন্ডি বুঝে ভেতরেই থাকবেন। তিনি গণমাধ্যমের প্রতি বলেন, সাংবাদিকদের দায়ত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আব্দুস শহীদ, অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুসহ সাংবাদিক নেতারা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি।
হত্যাকারীদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো দিতে পারেনি পুলিশ। শুধু কয়েকদিন আগে বলেছে, তারা হত্যাকান্ডের কারণ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন। এদিকে, একটি রিট আবেদনে মঙ্গলবার হাই কোর্ট এই হত্যাকান্ডের তদন্ত নিয়ে মনগড়া কোনো প্রতিবেদন না প্রকাশের কথা বলেছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে তথ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি ছাড়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশকে কোনো বক্তব্য না দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের এই নির্দেশনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। বুধবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, হাই কোর্ট তথ্য সচিবকে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা প্রকারান্তরে গণমাধ্যমের ওপর সেন্সরশিপ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। http://www.abnews24.net
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।