আমি সরকারি দল বাংলাদেশ সাইবার আর্মির ঘোষণা তারা যুদ্ধ শেষ করে নি কারন তাদের দাবি দাওয়া পুরন হয় নি । তাই এই যুদ্ধ চলবে যতক্ষণ তাদের দাবি দাওয়া পুরন না হয় ।
সাইবার আর্মি বলেছে.। .। .।
। ।
সকল বাংলাদেশীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা
আমরা বাংলাদেশ সাইবার আর্মি, প্রথম এবং সবচেয়ে বৃহৎ বাংলাদেশী হ্যাকিং গ্রুপ। সাম্প্রতিক সময়ে, আমরা দেখছি যে কিছু লোক বাংলাদেশ-ভারত সাইবার যুদ্বের ইতি টানার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারস এবং এক্সপায়ার সাইবার আর্মি ইতিমধ্যেই যুদ্ব থেকে সরে আসার বার্তা প্রকাশ করেছে।
কিন্তু এটাই কি তা, যা বাংলাদেশীরা চেয়েছিল? এখনই যুদ্ব থামিয়ে দেয়াটা কোন সমস্যার সমাধান নয়। আমরা আমাদের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ব চালিয়ে যাব। আমাদের দাবী এবং ফলাফল একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা এই যুদ্ব চালিয়ে যাওয়ার পিছনে আমাদের উদ্দেশ্যগুলোকে স্বচ্ছ করবে।
১. বাংলাদেশী ওয়েবসাইট সমূহ হ্যাক করা এবং বাংলাদেশের সাইবার স্পেসে যেকোন অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
=> এটা করা হয়নি।
যদিও এটা ধারণা করা হচ্ছে যে ভারতীয় হ্যাকাররা আক্রমন বন্ধ করেছে, কিন্তু এটা সত্য নয়। বাংলাদেশী সাইটগুলো এখনো প্রতিদিন তাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে, যদিও মানুষ সেগুলো সম্পর্কে এখনো অজ্ঞ।
২. বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী নিরাপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে।
=> ভারতীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী এই হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও বিএসএফ প্রধান প্রকাশ্যে বলেছেন যে এই হত্যা বন্ধ হবে না। তাছাড়াও কয়েকদিন আগে তারা আরো দুজন বাংলাদেশীকে তাদের কাস্টোডিতে ধরে নিয়ে গেছে।
৩. টিপাইমুখ বাধ নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
৪. তিস্তা পানিবন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে।
=> এই দুটো দাবীও তাদের বিবেচনাধীন রয়েছে। সত্যিকারভাবে এই দাবীগুলো তাদের বিবেচনায় আছে আরো অনেক বেশী সময় ধরে। আমাদের উদ্দেশ্য এই দাবীগুলো মেনে কাজ শুরু করানো, তাদের বিবেচনাধীনে পাঠানো নয়।
৫. হয় বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল-মিডিয়ার অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে নয়ত ভারতে বাংলাদেশী মিডিয়ার প্রবেশাধিকার দিতে হবে।
=> এটাও ঘটেনি। ভারতীয় চ্যানেলগুলো এখনো প্রচারিত হচ্ছে যেখানে ভারতে এখনো বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো নিষিদ্ব।
৬. বিএসএফ এর বাংলাদেশ বিরোধী যেকোন কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে এবং ইতিমধ্যে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে যেসব অন্যায় করেছে সেগুলোর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৭. শেষ কিন্তু পরিশেষ নয়, ভারতকে যেভাবেই হোক বাংলাদেশের বিরুদ্বে যায় এমন যেকোন কাজ বন্ধ করতে হবে।
=> এই দুটো দাবীও এখনো পূরন হয়নি।
এই যুদ্বটি মূলত ভারত সরকারের কাছে একটি বার্তা পাঠানোর জন্য শুরু হয়েছিল যাতে আমাদের জাতির জন্য বৃহত্তর সুবিধার্থে কিছু পরিবর্তন আসে। কিন্তু আমাদের বার্তা এখনো পৌছায় নিম তাই এই মূহুর্তে যুদ্ব শেষ করে দেয়াটা অর্থহীন আমরা জানি যুক্তিযুক্ত দৃষ্টিতে যুদ্ব চালিয়ে যাওয়াটা ঝুকিপুর্ণ, কিন্তু আমরা ভীত নয়। আমরা যুদ্ব করতে পারব এবং করে যাব অন্যদের মত ভীষন প্রয়োজনের সময় পালিয়ে যাব না। আমাদের সঙ্গেই থাকুন, সমর্থন দিন, আমাদের দাবীগুলোকে জোড়ালো করুন।
আমরা আশা করি, আমরা গণমাধ্যম, ব্লগার এবং আমাদের দেশের সমস্ত নাগরিকদের সহায়ত পাব ...
আমরা সন্ত্রাসী নয়, আমরা একটি বার্তার সঙ্গে কিছু মানুষ
আমরা একের মত অবিচ্ছিন্ন
শুন্যে বিভক্ত
কাজ করছি দেশের জন্য
কাজ করছি ন্যায়ের জন্য
আমরা বাংলাদেশ সাইবার আর্মি
হে ভারত
আমরা আসছি...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।