শুরুর কথাঃ
সাইবার বাংলাদেশ বলি কিংবা ডিজিটাল বাংলাদেশ, প্রযুক্তির দিকে আমরা কতটুকু এগোতে পেরেছি? প্রত্যেকের ঘরে ঘরে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার আর সারাক্ষন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকলেই কি ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে যাবে? বিশ্বাস করুন আর নাই করুন অনেক শিক্ষিত বাংলাদেশীর মনেই এই ধারণাটা আছে। আসলে আমরা নিজেরা কতটুকু প্রযুক্তির সাথে মিশতে পেরেছি? আমাদের এই অঞ্চলে যে প্রযুক্তি দুটির জয় হয়েছে দুটোই সম্পূর্ন বিনোদন নির্ভর প্রথমটা টেলিভিশন আর দ্বিতীয়টা মোবাইল ফোন। পকেটে টাকা থাক বা না থাক মোবাইল ফোনে সবসময় একটা নির্দিষ্ট পরিমান ব্যালেন্স মজুদ থাকবেই। আর টেলিভিশনের কথায় নাই বা বললাম। আসলে একবার চিন্তা করুন তো এই দুটো দিয়ে আমাদের ভবিষ্যতটা কি? আমরা এই দুটো প্রযুক্তির সত্যিকার ব্যবহার করতে পারছি? অপ্রিয় হলে সত্যটা হল এই দুটো প্রযুক্তি দিয়েই বছরে কোটি কোটি টাকার মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে বিদেশী কোম্পানী গুলো।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশের লেখক সম্প্রদায়ের অন্যতম একজন লেখক আনিসুল হক প্রথম আলোতে তার একটি প্রবন্ধে এই টেলিভিশন আর স্যাটেলাইট নিয়েই লিখেছেন। আপনাদের সবাইকে আমি সেই লিখাটি পড়তে অনুরোধ করব। সত্য কথা বলতে এখানে ভারতকে বাহবা দেওয়া উচিত। কারন তারা ব্যবসায়িক লাভটা কোথায় তা ধরতে পেরেছে। আমাদের দূর্বলতা কোথায় তাও জানে।
যেখানে আমাদের দেশের টিভি পরিচালকেরা কিভাবে অনুষ্ঠানমালা সাজাবে তাই নিয়ে রাতদিন চিন্তা করে মাথার চুল ছিড়ছে, সেখানে নিদ্বিধায় ভারতের পরিচালকেরা আমাদের দর্শকদের নিয়ন্ত্রন করছে। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপারটা হল, আমাদের স্বভাব অনেকটা কুকুরের মত হয়ে গেছে। তাঁদের বানানো যে খাবার আমাদের খাওয়ার মত নয়, আমরা তা চুরি করে খেয়ে নিচ্ছি, আবার সে খাওয়ার জন্য মারও খাচ্ছি। কতটা নির্লজ্জ হলে আমরা এমনটা করতে পারি। টেলিভিশন আর মোবাইল এখন দুটোতেই ভারত আমাদের ব্যবসা দখল করে বসে আছে।
এই কথাগুলো পড়ার পর অনেকেই ভারতকে গালাগালি শুরু করবে, হয়ত দেখা যাবে এই গালাগালির মাঝেই তার এয়ারটেল মোবাইলে কোন একটা হিন্দি গানের সুর বেজে উঠেছে। এইখানে ভারতের দোষের কিছু নাই। দোষ আমাদের, কিন্তু কোথায়? আমরা এয়ারটেল মোবাইল ব্যবহার করছি সেইখানে? আমরা হিন্দি চ্যানেল দেখছি সেইখানে? আমার তো তা মনে হয় না, এত কম(!) কল রেট দিলে আমরা এয়ারটেল ব্যবহার করব না কেন? এত সুন্দর সুন্দর(!) অনুষ্ঠান দিলে আমরা হিন্দি দেখব না কেন? এত অসাধারন(!) গান আমাদের মুখে মুখে থাকবে না কেন? আমাদের দোষটা হচ্ছে আমরা না বুঝেই ওদের সব এই সংস্কৃতি গ্রহন করে নিচ্ছি। যারা বুঝছি তারাও অন্যদের বুঝানোর চেষ্টা করছি না। হিন্দি কার্টুন চ্যানেল দেখে আমাদের একটা হিন্দিতে আসক্ত প্রজন্ম বেড়ে উঠছে।
আমরা খেয়ালই করছি না, অথচ কার্টুনগুলো তারাও বানাচ্ছে না। তারা শুধু অনুবাদ করছে, তাও আমাদের জন্য না। তাঁদের সন্তানদের জন্য, আমরা যদি না বুঝে তাঁদের সন্তানের সেই খাবার কুকুরের মত চুরি করে আমাদের সন্তানদের মুখে তুলে দেয় তাহলে দোষ কার? আমাদের টিভি পরিচালকেরা এই সহজ কথাটাও কি বুঝতে পারে না। হিন্দিতে জনপ্রিয় প্রায় সব গানই কোরিয়ান কিংবা স্প্যানিশ গানের নকল। আমাদের গীতিকারদের কি সেগুলো চোখে পড়ে না।
তাহলে দোষ কার?
বলতে চেয়েছিলাম সাইবার বাংলাদেশ নিয়ে বলছি, মোবাইল আর টেলিভিশন নিয়ে। আসলে ভয় হয় বড্ড বেশি ভয় হয়, তরুণ প্রজম্নের হাতে এখন তৃতীয় যে প্রযুক্তি আছে তাতে যেন অন্য কেউ দখল করে না নেয়। আমরা খালি উপভোগ করতে শিখছি, ব্যবহার করতে না। এমনটা হলে শুধু ভারত কেন বিশ্বের য কোন দেশেই আমাদের শোষন করতে চাইবে। এবং সেটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের তরুনদের হাতে এই তৃতীয় প্রযুক্তি ইন্টারনেট কেমন আছে? চলুন কয়েকটা ঘটনা কল্পনা করে নেই,
ঘটনা একঃ এক ওয়েব ডেভেলপার এর কাছে এক তরুন গেছে একটা সাইট বানিয়ে দেয়ার প্রস্থাব নিয়ে। তার চাহিদাগুলো তার মুখেই শুনুন,
" আমি একটা সাইট বানাতে চাই, যেখানে ইউটিউবের মত ভিডিও দেখা যাবে। গুগলের মত যে কোন তথ্য খোজা যাব। ফেসবুকের মত বন্ধু বানানো যাবে। ইয়াহু মেসেঞ্জারের মত চ্যাট করা যাবে।
এমাজানের মত যে কোন কিছু কেনা-বেচা করা যাবে। আর এফবি আইয়ের সাইটের মত সুরক্ষিত হবে। সর্বোপরি, মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করা যাবে। এই জন্য আমি আপনাকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি আছি"
আছেন নাকি, কেউ যে এমন সাইট বানাতে পারবেন?
ঘটনা দুইঃ এক প্রযুক্তি আসক্ত(!) ছেলে তার বন্ধুকে বলছে,
"দোস্ত আমি শেষ। আমি নিজের হাতে আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছি।
আব্বু যখন প্রথম কম্পিউটার কিনে দিয়েছিল। তখন থেকেই এর প্রতি আমার ভালবাসা(!) জন্মে গিয়েছিল। রাত-দিন সেটার পিছনে লেগে থাকতে লাগলাম। এক সময় দেখি সেখানে আর তেমন কিছুই নাই, এরপর ইন্টারনেট নিলাম। লিমিটেড ইন্টারনেট ছেড়ে আনলিমিটেড নিলাম।
ব্যন্ডইয়ুথ বাড়ালাম। পিসি পাল্টিয়ে ল্যাপটপ নিলাম। আর আজ পাচ-ছয় বছর পড়ে এসে মনে হচ্ছে আমি আমার জীবনের এতগুলো সময় নিজ হাতে ধ্বংস করেছি। অথচ, আমার বাবা-মা জানে তাঁদের ছেলে বিশেষ কিছু একটা হয়ে গেছে। দোস্ত আমি এখন কি করব?"
ঘটনা তিনঃ এক মেয়ে বলছে তার বন্ধুকে (কেদে কেদে),
জানিস, জাহিদ আমাকে ধোকা দিয়েছে, সে আমাকে এখন ব্ল্যাকমেইল করছে।
আমি যদি থাকে দুই লাখ টাকা না দেই, সেই নাকি আমার সবকিছু ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে। দোস্ত এমন কেন হল, আমি এখন কোথায় পাব এত টাকা। আমি তো ওকে ভালবেসেছিলাম, আজীবন কাছে পেতে চেয়েছিলাম। ও কেন এমন করল। এখন আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কিইবা করার আছে তুই বল? আইনের কাছে যাই, আর মা-বাবার কাছেই যাই।
আমি তো এই সমাজে আর কখনো স্বাভাবিকভাবে বাচতে পারব না। এই সমাজ আমাকে বাচতে দিবে না। আমার আর কিছুই করার নাই, দোস্ত আমার মা-বাবাকে বুঝিয়ে বলিস। আমি যাচ্ছি, ভাল থাকিস"
উপরের একটি ঘটনাও মিথ্যা না, প্রতিদিন এই রকম শত শত ঘটনা তৈরি হচ্ছে। বাস্তবতা যদি এমনই হয় তাহলে কি দরকার আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের?
বাংলাদেশ সাইবার আর্মিঃ
কি এই বাংলাদেশ সাইবার আর্মি? এই পোস্টের সাথে কিইবা এর সম্পর্ক? চলুন কিছুটা জানার চেষ্টা করি।
বাংলাদেশ সাইবার আর্মি বেশ কিছু তরুণের একটা দল ছাড়া আর কিছুই নয়, যারা প্রতিনিয়ত লড়াই করছে উপরের গল্পগুলোর চক্র থেকে নিজেকে বাচাতে দেশকে বাচাতে। যারা আপাতত ইথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে। হ্যাকার শব্দটা শুনেই অনেক বিশিষ্ট জন নাক কুচকে উঠেন। যেন কোন চোরের কথা বলা হচ্ছে। অথচ তারে কি জানে, বাংলাদেশ সাইবার আর্মি নামের এই গ্রুপের ছেলেরা রাতদিন কষ্ট করে যাচ্ছে কিছু একটা শিখার জন্য।
কিছু একটা করার জন্য। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগবে তারা কি শিখতে চায়, কি এমন করতে চায়। কি পাওয়ার নেশায় তারা এতটা উন্মাতাল। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার আগে চলুন গ্রুপটার সাথে কিছুটা পরিচিত হয়।
শাহী মির্জাঃ এই নামটিকে নতুন করে পরিচিত করার কিছু নাই।
২০০৮ সালে র্যাবের সাইট হ্যাক করে সবার সামনে আসেন তিনি। সেই থেকে আজও লেগে আছেন ওয়েভ সিকিউরিটি নিয়ে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হোন তিনি। ঝুড়িতে জমিয়েছেন বেশ কিছু আন্ত্ররজাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশ সাইবার আর্মির ফোরামের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন নিজের কাধে।
নিজের হাতেই তৈরি করেছেন ফোরামের Firewall. যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। গ্রুপের জন্য অনন্য কিছু সিন্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকটা পর্ন সাইট পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। যা গ্রুপের সবার জন্য অনেকটা অনুপ্রেরনাদায়ক ছিল। আর তার মাধ্যমেই বিদেশী কিছু হ্যাকার মিডিয়া বাংলাদেশ সাইবার আর্মির কথা জানতে পারে।
সেই মিডিয়াগুলো নিয়মিত এই গ্রুপের আপডেট প্রকাশও করে। যেমনঃ voiceofgrayhat,thehackernews ইত্যাদি।
সাদমান তানজিমঃ বাংলাদেশ সাইবার আর্মি শুরু করার পিছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তাঁদের মধ্যে অন্যতম এই ছেলেটি। নিজের নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাত দিন সময় দিয়েছে এই গ্রুপে। সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছে।
সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছে। নিজের শিক্ষার পাশাপাশি অন্যদেরকেও শিখানোর জন্য, অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সর্বদা সচেষ্ট ছিল এই তরুণ। নিজের ঝুলিতে হাজারো সাইট হ্যাকের রেকর্ড আছে। সম্প্রতি গুগলের একটি দূর্বলতা (vulnerability) বের করে। বাইরের বিশ্বের সবার কাছে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি নামটা পৌছে দিয়েছে।
চমকিয়ে দিয়েছে পুরো হ্যাকার বিশ্বকে। তার সেই কৃত্বি নিজের চোখেই দেখতে পারেন এইখান থেকে।
সায়েম ইসলামঃ এবার যার কথা বলব, বাংলাদেশে সাইবার আর্মির পিছনে তার পুরো অবদান এমনকি গ্রুপের সদস্যরাও জানে না। এই দলটি তৈরি করার প্রথম পদক্ষেপে যারা ছিল তাঁদের একজন সায়েম ইসলাম। গ্রুপে যখন নতুন নতুন সদস্যরা প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
তখন এই তরুণটিই নিত্যনতুন ডিফেসমেন্ট দেখিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। সবার মধ্যে হ্যাকার হওয়ার নেশা ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে প্রায় দুই হাজার সাইট হ্যাক করেছে সে একাই। প্রথমে গ্রুপের সদস্যরা তাঁকে Script Kiddie নামেই চিনে। তবে নিজের ডিফেসে Rexo-Man নামটি ব্যবহার করে সে।
তার কয়েকটা ডিফেস দেখে আসতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন জোন-এইচ থেকে। ভয়ানক এই হ্যাকারের আক্রমন থেকে রক্ষা পাই নি অন্যান্য হ্যাকিং ফোরামগুলোও
১. সাইটঃ 3xp1r3.com মিররঃ ( http://www.zone-m.co.cc/defacements/?id=1924 )
২. সাইটঃ indian-crackers.com মিররঃ (http://www.zonehmirrors.org/mirror/id/14240210 )
৩. সাইটঃ hackcommunity.com মিররঃ (http://www.zone-h.org/mirror/id/14782482 )
লাকিএফএমঃ সব সময়ই পর্দার আড়ালে থাকে আমাদের সবার প্রিয় লাকি ভাই। প্রথম প্রথম যখন গ্রুপের সবার মাঝে সন্দেহ, চিন্তা, ভয় ছিল নানা রকমের ঝগড়া-বিবাদ শক্ত হাতে দমন করেছিলেন তিনি। একটা গ্রুপের সবার মধ্যে একতা ধরে রাখতে যেই নেতৃত্বের দরকার হয়, তা ভালো ভাবেই পালন করেছেন তিনি। তার কথা, আসলেই বলে শেষ করা যাবে না।
তার অবদান, সত্যিই অসাধারণ।
পুদিনা পাতাঃ সবাই চিনেন আমাদের প্রিয় ব্লগার পুদিনা পাতাকে। প্রথম প্রথম যখন বিসিএ আত্মপ্রকাশ করে তখন স্বাভাবিকভাবেই কিছু শক্ত হাতের দরকার হয় প্রতিরক্ষার জন্য। পুদিনা পাতা ভাই সেই বলিষ্ট হাত গুলোর একজন। তার প্রতিটা কথা, সবার মধ্যে অন্যরকম অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করত এখনো করে।
ফরহাদুল ইসলামঃ নতুন যে সদস্যগুলো এসেছে গ্রুপে তাঁদের মধ্যে অন্যতম এই তরুণ। যখন প্রথম বাংলাদেশ সাইবার আর্মি গ্রুপে প্রবেশ করে তখন হ্যাকিং জগতটা একেবারেই নতুন ছিল তার কাছে। ধীরে ধীরে নিজেকে সে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। প্রথম থেকেই গ্রুপের জন্য অন্তপ্রান এই ছেলে গ্রুপের একতা রক্ষায় যা করেছে তা সত্যিই অসাধারণ।
মারুফ আলমঃ বাংলাদেশ সাইবার আর্মিতে অনেক ছোট ছোট ছেলে অনেক বড় কিছু করে দেখিয়েছে।
কিন্তু এই ছেলে যা করেছে তা হয়ত অনেক বড় বড় হ্যাকাররাও কল্পনা করতে পারবে না কখনো। নিজের কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার পর নিজের মোবাইল থেকেই হ্যাক করা শুরু করে সে। ডিফেস বানায় মোবাইলে কোড লিখে লিখে। যা যাদের হ্যাকিং সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা আছে তারাও বুঝতে পারবেন বাস্তবে এই কাজটা কতটা অসাধ্য।
আলমাস জামানঃ বাংলাদেশ সাইবার আর্মিকে আপনাদের সাথে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেয় আপনাদের সবার প্রিয় আলমাস।
এই গ্রুপের ঊষালগ্ন থেকেই আছে সে গ্রুপের সাথে। নিয়মিত বিভিন্ন হ্যাকিং রিলেটেড সফটওয়্যার নিজেই ক্র্যাক করে শেয়ার করে সবার সাথে। যা সত্যিই অনেক অনুপ্রেরণার ছিল। এছাড়াও নিজে নিজে বানিয়ে ফেলে এন্টি-পর্ন সহ আরো নানারকমের সফটওয়্যার আর ভাইরাস।
রোহিতঃ অসম্ভব মেধাবী এই হ্যাকার।
অনেকটা নীরব আর নিশ্চুপ সবসময়ই। তবে প্রায় সবসময়ই তার নিত্যনতুন ডিফেসমেন্ট দেখিয়ে চমকে দেয় সবাইকে। ইয়াহু মেসেঞ্জার হ্যাকিং নিয়ে বেশ দক্ষ এই কিশোর।
ইসতিয়াকঃ সফটওয়্যার থেকে হার্ডওয়্যার এ বেশী আগ্রহ তার। বেশ কয়েকটা প্রোগ্রামিং ভাষা রয়েছে তার নখদর্পনে।
কিছু ডিফেসমেন্টের মিররঃ http://www.zone-h.org/archive/notifier=BANGLADESH CYBER ARMY
আজকে আমি বাংলাদেশ আর্মির পরিচিত-অপরিচিত কিছু নাম বললাম শুধু। এরা ছাড়াও আরো অনেক অনেক সোনার ছেলে রয়েছে এই গ্রুপটিতে যাদের সবাইকে নিয়ে লিখতে গেলে ধারাবাহিক পোস্ট করতে হবে।
আরো জানতে কিংবা ওদের সাথে যোগ দিতে চাইলে ঘুরে আসুনঃ বাংলাদেশ সাইবার আর্মির ফেসবুক গ্রুপ থেকে।
শেষ কথাঃ
অনেকেই বলতে পারেন এত হাজার হাজার সাইট নষ্ট করে এরা কি শিখছে। তাঁদের বলছি এরা কোন সাইটই নষ্ট করছে না।
এদের ডিফেসমেন্ট গুলোর দিকে নজর দিলেই বুঝবেন যে এরা সাইটের অন্য কোন ক্ষতি করছে না। শুধু এমন একটা জায়গাত একটা পেজ জোড়া লাগিয়ে দিচ্ছে যা ঐ সাইটের এডমিন ছাড়া আর কেউ জানতেও পারবে না। এই তরুণেরা আর কোন কিছুর জন্য নয়, আমাদের বাংলাদেশের জন্য লড়ছে। সামনের সাইবার বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য লড়ছে। এখন সময় এসেছে আপনাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার, এদেরকে অনুপ্রানিত করার।
বাংলাদেশ সাইবার আর্মির সদস্যরা যে শুধু বিদেশের সাইট হ্যাক করেই বসে আছে তা নয়। দেশের সাইটগুলোর দূর্বলতাগুলো বেরে করে সংশ্লিষ্ট এডমিনকে মেইলও করছে। কিন্তু বিনিময়ে কিছু এডমিন উল্টো ভয়ানকভাবে এই ছেলেগুলোকে গালি-গালাজ করে। আপনাদের প্রতি এই একটাই অনুরোধ, এইরকম করবেন না। এদেরকে সাহস দিন, এদেরকে এগিয়ে চলার জন্য অনুপ্রাণিত করুন।
আজ এই পর্যন্তই।
সংগৃহীতঃ টেকটিউনস। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।