পত্র পত্রিকায় আমাদের দেশ আর দেশের মানুষ নিয়ে গর্ব করার মত তেমন কোন
খবর দেখি না । পত্রিকার পাতায় খুন, ধর্ষণ, লুটপাট ,বিদেশে শিরশ্চেদ আর প্রধান
মন্ত্রির অর্বাচীন কথা বার্তা পড়তে পড়তে যখন হাঁপিয়ে উঠেছি ঠিক তখনি এক পশলা
বৃষ্টির মত এই সংবাদটা পড়ে মনে হল, না, আমরা একদম নষ্ট হয়ে যাইনি।
১৭ কোটি মানুষকে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশী বলে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মত
হিরো এখনো আমাদের দেশে আছে ।
গত ৩ জানুয়ারি ভারতের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ২০১২ সালের জন্য বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য অ্যাওয়ার্ড পেতে যাচ্ছেন। এই খবরের পর বিহারের সরকারি মহলে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
২৪ জানুয়ারি ১১৭ জন মনোনীতের মধ্যে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। সবাইকে চমকে দিয়ে দেখা গেল: নীতিশ কুমার নন, ‘গেটস ভ্যাকসিন ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ নামের আড়াই লাখ মার্কিন ডলারের ওই পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের এক তরুণ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ এস এম আমজাদ। জেলা পর্যায়ে শিশুদের পোলিও টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে সফলতা পাওয়ায় তাঁকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
নাম ঘোষণার পর মেলিন্ডা গেটসের হাত থেকে পুরস্কার নিতে আমজাদ ছুটে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রে। সারা দুনিয়ার গণমাধ্যম উৎসুক হয়ে উঠল আমজাদ সম্পর্কে জানতে।
এই সবার মধ্য থেকে আমজাদকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে স্বয়ং বিল গেটস তাঁর ওয়েবসাইটে দেওয়া নোটে আমজাদকে পোলিওর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন, ১৯৯০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর হার ৬৫ শতাংশ কমেছে। এই সাফল্যের পেছনে আমজাদের মতো মাঠকর্মীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তাঁর দেখানো এই কৌশল বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রয়োগ করা যাবে বলেও মনে করেন মাইক্রোসফটের এই উদ্ভাবক।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কারটা পাবেন মনে করে বিহারের সরকারি মহলে আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিলো ।
আমজাদ না পেয়ে এই পুরস্কারটা যদি আমাদের দেশের কোন হোমরা চমরা পেত তাহলে হয়তো আমাদের দেশেও আনন্দের বন্যা বয়ে (?) যেত ।
আমজাদ বোধ হয় আমজনতার কাতারেই পড়ে ,তাইতো তার এই বিশাল অর্জন
পত্র পত্রিকা বা সংবাদ মাধ্যমে তেমন একটা কাভারেজ পায়না।
হায়, দেশের মানুষ হয়তো ভুলে বসে আছে ,“যে জাতি জ্ঞানীর কদর করতে জানে না,
সেই জাতিতে জ্ঞানীর জন্ম হয় না। ’’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।