দৃশ্য শিকারের বন্দুক
১৭
মিথ্যাবাদী চাঁদ শুয়ে আছে দেখ! দিনে নাকি থাকে না কোথাও! দেখ, গাছের ছায়া খাওয়া চোর ক্যামেরায় ভরে নিয়েছে রূপ; রূপার মেডেল শুধু পড়ে আছে । কী দুর্বল বালির কচ্ছপ, মাথায় তুলেও ৪-৫হাতে আঁকড়ে আছে পৃথিবী! বোবাপ্রাণীদের বোকা জলরাশি অজগরের বাঁধন দিয়ে মাসব্যাপী শুয়ে আছে, শুয়ে শুয়ে দেখছে এসব। ঘুম যে যান্ত্রিকক্রুটি, স্বপ্ন ও আয়ু চুরির সিংহ দরোজা, একথা না জানিয়ে হাসি মুখে এতো দিন এড়িয়ে গেছে চাঁদ। ওকে ধরো, ও দেখেছে, অন্ধকার শুরু হয় পৃথিবীর কোন পাশ দিয়ে!
১৮
চাঁদকে অপমান করেছিলো বলে পৃথিবীতে জন্মেছিলো গাছ। গাছের পাতায় বাতাসের ফেনা মিশে জন্মেছে মানুষ আর মানুষ কেঁদে কেঁদে প্রসব করেছে এই নদী।
হায়, ডানাওয়ালা নদী, নৌকা দিয়ে বেঁধে কে তোমাকে আটকে রেখেছে ঘাটে!
১৯
দুর্বলের সহায় হও, সত্য; তুমি অস্ত্র হয়ে ওঠো। দাঁতভাঙা জবাব দাও। কান ধরে পুলিশ যেন বসিয়ে না দেয় ভ্যানে। সারারাত তসবীহ, তুমি ভক্তি না, শক্তি না, হয়ে ওঠো বন্দুকের গুলি। পুলিশ যেন প্যাঁচে ফেলে পাঁচ আঙুলে ঢুকিয়ে না দেয় সুই।
চোরা মন, কাঁপো ধীরে, বীরের মতো অধিকার করো বাড়ি। ধীরে চলো, যেন অনেক দূরে ভেবে দৌড়ে দৌড়ে তোমার সামনে চলে নিস্কর্ম পুলিশ।
২০
একেবারে তুলোধুনা করে বাষ্প বানিয়ে ছুড়ে দেব আকাশে। মেঘ হয়ে ভেসে ভেসে তুই বরফের ঠাণ্ডায় কাতরাবি আর অত উঁচু থেকে এত নিচু মাটিতে তাকালেই বুঝবি কাকে বলে ভয়! আর বিকেলে তোর পক্ষের উকিলের সাথে হেসে হেসে কথা বলে তাকাবো আকাশে। মনে রাখিস; কারণ তখনই তুই বুঝবি কোন আঘাতে আমার চোখে আসে না পানি।
২১
এবার সব্জি রেখে কাটো দেখি আমাকে। মাছ রেখে কাটো দেখি। হাত-পা-মাথা সব কাটো। আর সহজ সরল এক বালক মুড়ে রেখে দাও কাঁধ ব্যাগে। নো চিন্তা, নো টেনশন।
কোকিলের শব্দ থেকে বাঁচি, ফুলের সুঘ্রাণ থেকে বাঁচি। জীবন থেকেও বাঁচি, জীবনের ট্যাক্স থেকেও বাঁচি। মুক্তি চাইনি; মুক্তি দিয়ে কী করবো, কোথায় রাখবো। সেসব তোমার ব্যবহারের জন্য উপহার রাখি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।