আমারো পরান যা হা চায়....... লানকাউই তে নেমে দেখি পুরা আমাদের কক্সবাজারের মতই শুনশান,শান্ত দুপুর এখানেও। নিরব রাস্তার দুপাশে ২/১ টা দোকানপাট খোলা। সেখানেও কক্সবাজারের মতই টুপি,প্যন্ট,লুজ শার্ট এসব পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের হোটেলের নাম ছিলো বেস্ট ওয়ে রিসো্র্ট। ঠিক বিচের উপরেই।
এত সুন্দর জায়গা। আমরা গেলাম ১০টা না ১১টায় ওখানে বলে কিনা ৩টায় রুম পাব !!!কি অবস্থা!! এতক্ষন কি করব?সারারাতের জার্নির পর ভেবেছিলাম রুমে ঢুকে ফ্রেশ ট্রেশ হয়ে একটু ঘুরব!!!হোটেল লবিতে বসে থাকলাম কিছুক্সন তারপর পাশেই একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট সেখানে খেলাম। খায়ে টেয়ে একটু আশেপাশে ঘুরাফিরা করে যখন ফিরলাম তখন আরো কিছুক্ষন বসে থাকলে তারপর ওরা বললো রুম খালি হয়েছে আমরা যেতে পারি রুমে। উফ শান্তি!!!রুমটা সুন্দর। এখানে সব রুমের উপরেই কিবলাহ লেখা চিন্হ দেয়া থাকে মানে পস্চিম দিক কোনটা বুঝতে সুবিধা হয়।
গত বছরই আমি সিলেটের শ্রিমংগলে গিয়েছিলাম। সেখানকার টি রিসোর্টে ছিলাম । ওখানে পশ্চিম যে কোনদিকে !!একেকবার একেকদিকে নামায পরেছি। আর সেই ব্রিটিশ আমলের ঐ বাংলোগুলোতে বাথরুমও পশ্চিমে ছিলো। বাংালিরা ঠিক ও করেনি এত বছরেও।
সে যাই হোক রুমের জানালা খুললেই সাগর দেখা যায়,বিস্তীর্ন জলরাশি আর বাতাস.......... মন ভালো হয়ে যায়।
একটু ফ্রেশ হয়ে গোসল করে দিলাম ঘুম। ঘুম থেকে উঠে খেয়ে দেয়ে বের হয়েছি। উদ্দেশ্য হলো কেবল কার। কিন্তু হটাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি।
বৃষ্টিতে কেবলকার বন্ধ থাকে। আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম। কারন কেবলকারে উঠার কোনো ইচ্ছাই আমার নাই ,আমি পারলে উল্টা দিকে হাটা দিই।
কিন্তু বৃষ্টি কিছুখন করই থেমে গেলো
আর কেবলকারের ঐখানে ফোন করে জানা গেলো কেবলকার চলবে (না..................এ হতে পারে না!!!!) কি আর করা একটা টেক্সিক্যব ভাড়া করে যাওয়া ধরলাম।
পৌছে গেলাম কেবল কারের জায়গায়।
অনেক উচুতে স্টশন কেবলকারের। উফ!!!অন্যকেবলকার গুলো তো হরাইজন্টাল থাকে এটা ভার্টিকালি একদম উপরে উঠে যায়।
কেবলকারের নীচের জায়গাটা থেকে উপরে মেঘ দেখা যায়। ঐ যে মেঘ........
কেবলকারের যতকাছে যাচ্ছি ততই হার্টবিড বাড়ছে। কিন্তু কি আর করা যাবে! মনে আছে আমি নন্দনের কেবলকারেই যা ভয় পাইছিলাম!!!! মনে অনেক সাহস সন্চয় করে উঠে বসলাম কেবলকারে।
এস ইউসাল ছবি তললো আমাদের। হাস্যোেজ্ঝল ছবি তুলে রওনা দিলাম।
আরে আরে দরজা লাগেনা কেন!! হায়হায় পড়ে যাব তো!!!! উফ একটু পরে দরজা লাগলো।
তারপর উঠতেই আছে উঠতেই আছে। কে তাকায় নীচের দিকে।
তবে আমার একটু উন্ণতি হয়েছে এইবার চোখ খোলা রেখেছি। নীচে শুঢু পাহার আর সবুজ গাছ। সগরও দএখা যাচ্ছে দুরে।
কতক্সন কাটলো মনে হয় পাচ মিনিট কিন্ত আমার কাছে যেন অনন্ত কাল........। ঘটাস করে শব্দ করে কেবলকার থামলো মাঝামাঝি স্টেশনে।
ভেবেছিলাম শেষ বুঝি। কিয়েরকি। আরেকটা স্টেশন বাকি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
টুরিস্টরা সব ঘোরাঘুরি করছে ছবি তুলছএ।
আমিও ভিডিও করা ধরলাম ছবি তুললাম। দুরবীন দিয়ে দএখলাম নীচে।
কত উপরে আছি আমরা!!!!সেখানেই স্কাই ব্রীজ। একটা ঝুল্নত ব্রিজ। বাতসে দোলে ব্রিজটা। ভাগ্যিস সেটা বৃেস্টির জন্য বনধ ছিলো। বেচে গেছি।
কিনতু আবার আরেকটা স্টেশন তাও কত দুড়ে!!!!!!ইচ্ছা করছিলো ফিরে যাই। চড়লাম তো আর কত। কিনতউ যেতে তো হবেই। দএখি কত পিচ্চি কাচচা গিয়েছে ওদেরকে দেখে সাহস সন্চয়ের চেস্ঠা নিলাম। ফি আমানিল্লাহ বলে দিলাম রওনা।
একতু পরেই সবচেয়ে উচু পাহাড়ে পৌছে গেলাম। এখান থেকে পুরো লানকাউই দেখা যায়।
দারুন ভিউ। আরো কিছুক্সন ঘুরাফিরা করে ফিরে আসলাম। আমাদের সাথে আরেকটা মালয় ফ্যমিলি উঠেছিলো।
কত সিম্পল ওরা কিনতু ওদের ডেশ টাকে কত সুনদর করে রেখেছে। ভেবে হিংসা হচ্ছিলো। আমাডের কক্সবাজারের মতই একটা জায়গা ,ছোট্ট একটা বীচ ওদের কিন্তু কি নেই ওখানে?? আর আমাদের যাও একটা বিশ্বের সর্বববৃহৎ বীচ ছিলো সব রিয়েল েস্টেট কোম্পানিরা সেটা ছিড়ে টুকরা টুকরা করে ফেলছে!!!কে্য দেখছেনা। ওদের সাথে কথা বলতে বলতে কখন নীচে চলে আসলাম টেরই পেলামনা। মজাই লাগলো ।
ভয় আর মজা....................(চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।