~~ বাটপার "প্রথম কালো"তে তাজউদ্দিন আহমদের নাতিকে পিটানোর খবর পড়ে আবেগাক্রান্ত বাংলাদেশ ~~
প্রথম আলো আসলেই সেরা, তারা জানে কিভাবে নাটকটা জমাতে হয়। খবর শুরু করেছে এভাবে- "তুই সোহেল তাজের ভাগনে, এমন শিক্ষা দিব যে জীবনেও ভুলবি না—এই কথা বলেই একজন পুলিশ কর্মকর্তা .....। " সাথে আছে হাসপাতালের বেডে মাসুম শিশুটির বাঁকা হয়ে থাকা ছবি।
কি অন্যায়! কি অন্যায়! রুদ্ধশ্বাসে খাড়া হয়ে যাবে পাঠককূল, ঘটে যাবে কয়েকজনের হার্ট এটাক। তাজউদ্দিনের নাতি আর সোহেল তাজের ভাগ্নে বলেই না এমন অত্যাচার!
এরপর প্রথম আলোর রিপোর্ট পড়ে বাংলা ব্লগগুলোতে ঘটলো 'তুলপাড়'।
----------------------------------------------
► এখন আসুন সঠিক ঘটনাটি কি তা জানি-
----------------------------------------------
- ইংলিশ মিডিয়ামের এ-লেভেল পড়ুয়া ১৯ বছরের তরুন যুবক।
- সন্ধ্যায় গুলশানে ক্রমাগত আড্ডা। সাথে অন্যান্য কিছু সেবন।
- সাথে থাকা মেয়েদের কাছে নিজের পৌরুষত্ব দেখানোর চিন্তায় কার রেসিং এর আইডিয়া। তেরো টা গাড়ির দুইটাতে মেয়ে ড্রাইভারও ছিলেন বটে।
সাবাস বাংলাদেশ !!!
- ফার্ষ্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিনেমা দেখে শেখা ষ্টাইল, এক গাড়িতে এক ড্রাইভার আর এক মেয়ে।
- রেসিং শুরু।
- আড়ং পার হয়ে একটু সামনেই পুলিশ আটকে দিলো।
- সামনের গাড়ি থেকে বললো, তিন নাম্বার গাড়িতে বস আছে, ওনার সাথে কথা বলেন।
- গাড়ি থেকে মাথা বের করে 'আমি সোহেল তাজের ভাগ্নে, সরে যা' বলে আলতো হুংকার।
- পুলিশ অফিসারের ঘাড়ে একটাই মাথা, সে ওয়ারলেসে কথা বললো উপরের সাথে, তারপর বললো 'স্যার, আপনাদেরকে থানায় যেতে হবে'।
- পাশে বসা মেয়ের সামনে অপমানিত বোধ করাতে, বের হয়ে সপাটে এক চড় পুলিশ অফিসারের গালে।
- সাথে থাকা অবাক কনষ্টেবলের লাঠিটা হঠাৎ করে নিয়ে ছুড়ে ফেললো মাসুম ছেলেটা, আরেকটু বাহাদুরি দেখালো, হুহুহু।
- পুলিশ কর্মকর্তা গালে চোপার খেয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারালো, পুলিশ এমনিতেই রাস্তার বাদশা যারে ইচ্ছা তারে যা খুশি করে, সেই পুলিশের গায়ে হাত??
- সে পরে বসের কাছে স্বীকার করেছে সে এটাও মনে করেছিলো যে এর মত গাঞ্জাখোর পোলা সত্যি সত্যি সোহেল তাজের ভাগ্নে হতে পারেনা, হয়তো একটু দূর সম্পর্কের আত্মীয়, যেইরকম রাস্তাঘাটে সবাই রেফারেন্স দেয়। পুলিশদেরকে এইরকম রেফারেন্স প্রতি ঘণ্টায় দশ বারোটা শুনতে হয়।
তাই দিসে কয়েকটা লাত্থি।
- তারপর থানায় তার মা লীগ নেত্রী সিমিন হোসেন রিমি গিয়ে নিয়ে আসলো।
- চর্বি মাখনে জমানো পুলা, কয়টা লাথিতেই ভর্তি হইসে ইউনাইটেড হসপিটালে। আর চব্বিশ ঘনটা ধৈরা বিএসএফ এর ল্যাঙটা মাইর খাওয়া হাবিব কোন চিকিৎসা পায় না। জয় বাংলা।
-পরদিন প্রথম আলোয় আবেগাকুল রিপোর্ট, তাজউদ্দিন আহমদের নাতির পায়ের পাতা চেটে পরিস্কার করে দেয়নি পুলিশ।
- দেশের মানুষ উদ্বেগাক্রান্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলূণ্ঠিত হলো, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বানচাল করার ষড়যন্ত্রে পুলিশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
- গাণ্ডু কোথাকার।
এগুলো সবই উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে সেদিন রাতেই জানা। প্রতিদিন এমন অনেক ঘটনা ঘটছে, তবু মানুষ চোখ বুজে পত্রিকা পড়ে সেটাই বিশ্বাস করে আর লাফাতে থাকে।
উনারা মহান, রেসিং দিবেন এটা স্বাভাবিক। তাদের রেসিং এর বিকট শব্দে আমরা ভয় পেলেই আমাদের জীবন স্বার্থক হবে। আমাদের বাচ্চাটা কিংবা রাস্তার পাশের বৃদ্ধা ভিক্ষুকটা গাড়ির নীচে চাপা পরে মরলে স্বার্থক হয়ে সোজা স্স্বর্গে যাবে ।
মূল লিংক: Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।