অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা
জলদি আয় ফারুক আসছে- মুঠো ফোনের বার্তা পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটছি ময়না ভাইয়ের দোকানে। ৬ মাস স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা কাউকে হঠাৎ পাওয়ার খবর পেলে সে মানুষটা অবশ্যই দ্রষ্টব্য হয়ে উঠে। এমনটাই নিয়ম বোধ হয়, আর ফারুককে আমরা যারা নিয়মিত আড্ডায় পাচ্ছিলাম না তাদের জন্য ফারুক সোনার ডুমুর ফুল।
সবার মতো আমার ভেতরেও চাপা কৌতুহল, সে কৌতুহলের নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আজকে ময়না ভাইয়ের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হবে না। আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর চাই।
ময়না ভাইয়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অবশ্য ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম, মানে ফারুককে খুঁজে পাচ্ছি না কোথাও। নান্টুকে দেখা যাচ্ছে, নান্নু আর মারুফও আছে। যে থাকে না কখনও, মানে নিয়মিত না, রাশেদ, ও আছে, চায়ের কাপে আয়েশ করে চুমুক দিচ্ছে, কিন্তু ফারুক?
পাশের একটা বেঞ্চে একাকী একজন বসে আছে, বিশাল বপু, আমাদের তিনজনকে জোড়া দিলেও সেটার কণামাত্র পুরণ হবে না টাইপ মানুষটার চেহারা পরিচিত লাগছে কিন্তু.....................
ঐ মোটা চাঁদপনা শরীরের কোথাও থেকে গায়েবী আওয়াজ আসলো কি রে ব্যাটা হাঁ করে কি দেখতেছিস, মাছি ঢুকে যাবে।
আমি ভালো করে তাকিয়ে বুঝলাম ওটাই ফারুক, মাত্র ৬ মাসে ও মানুষ থেকে বাওয়াব গাছ হয়ে যাবে এমনটা আশা করি নি, কিংবা মানুষের এমন আকৃতি হতে পারে এমনটাও ধারণা ছিলো না বলেই হতভম্ব ভাবটা কাটছে না।
বস এইখানে আসে, হাঁ করে দাঁড়ায়া আছিস কেন?
আমি অতিআনন্দে বসতে গিয়েও থেমে গেলাম, বেঞ্চটা এমনিতেই নড়বরে, তার উপরে এই বিশাল বপুর চাপ, এবং আমার সামান্য ভরে হয়তো নিরীহ জড় পদার্থের কষ্টের ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না , কিন্তু এমনও হতে পারে বসা মাত্রই সেটা ভেঙে দুখান হয়ে গেলো।
তাহলে আমি লজ্জিত হবো।
না রে একটু তোকে দেখি। তোর এই ছবি দিয়া বিজ্ঞাপন হইতে পারে।
কিসের বিজ্ঞাপন? নান্নুর নিরীহ প্রশ্ন।
গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের বিজ্ঞাপন।
শালা ফুলছে কি রকম সেইটা দেখ। এইচ এম স্লিমিং পয়েন্টে ওর এখনকার ছবি আর আগেকার ছবি দিলে ওরা লুফে নিবে- ব্যবহারের আগে ও পরে।
শুধু সময়টা উল্টা লিখবে এই যা।
ফারুক অন্য সময় হলে হয়তো কিছু একটা করে ফেলতো, কিন্তু এই সময়ে ওর সে সামর্থ্য কিংবা আগ্রহ কিছুই দেখা গেলো না। শুধু মিনমিন করে বললো, খুব বেশী মোটা হয়ে গেছি না রে?
মারুফ মিটমিট হাসছিলো, ও হাসি থামিয়ে গম্ভীর মুখে বললো, নাহ তুই মোটা হইস নাই।
মোটা হওয়ার কোনো নিয়মের ভিতরে তুই পরিস না, ইন্দুর যদি জলহস্তি হয়ে যায় তখন সেইটাকে মোটা হওয়া বলে না। সেই মিরাকল আল্লার কুদরত।
ফারুকের চোখ মুখ শুকিয়ে যায় মারুফের মন্তব্যে- আমরা তেমন একটা গা করি না। ৬ মাস লুকিয়ে থাকবার পরে কেউ যখন এমন পরিবর্তিত হয়ে আসে তখন তাকে নিয়ে কিছুটা কটু রসিকতা মনে হয় না তেমন আপত্তিকর।
ক্ষিধা লাগছে-
নান্নুর চোয়াল ঝুলে পড়তে দেখি নি এ রকম আগে কখনই।
ও প্রায় ধ্বসে যাওয়া চোয়ালের ফাঁক দিয়ে বললো, তুই না একটু আগে এক হালি কলা খাইলি, সাথে ২টা বন। কই গেলো এইগুলা? তুই কি এক্সট্রা স্টমাক লাগাইয়া নিছিস না কি। গরুর মতো জাবর কাটবি পরে রাইতে ঘুমানোর সময়?
ক্ষিধা লাগলে কি করুম? না খায়া থাকবো?
তোর একদিন না, তোর পুরা বছর রোজা রাখা দরকার এখন। শালা।
আমি এখনও ঘোর কাটাইতে পারলাম না।
ময়না ভাই একটা সিগারেট লাগান জলদি। সাথে কড়া এক বালতি চা। না খাইলে জট কাটবে না।
ময়না ভাই কোনো কথা না বলে সিগারেট আর লাইটার এগিয়ে দিলেন। আমি নাকে মুখে ধোঁয়া টেনে বললাম একটু খোলাসা কইরা বল, তুই কি এডিক্টেড? কোনো হরমোন নিছিস? না কি এমনি এমনি ফুইলা গামলা হইয়া গেলি?
হীরা- ফারুক এইটুকু বলেই আবার কলার ছড়ার দিকে হাত বাড়ালো।
আমাদের সবার ভেতরেই একই রকম সংশয় মনে হয়, সবাই ফারুকের দিকে তাকিয়ে আছে, আর আড় চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে। মারুফ উঠে আমাকে এক পাশে টেনে নিয়ে বললো, আবারও তুই একই কাজ করলি।
আমি আরও বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম মারুফের কথাতে। কেনো আমি আবার কি করলাম?
ঐ একি প্রশ্নই তো করলি তুই ওকে। আমিও করছিলাম, ধর ১৫ মিনিট আগে।
ও হীরা বলে একটা চিক্কুর দিয়ে কলা খাইলো ৪টা সাথে ২টা বন।
কস কি তুই।
আমার বিষ্ময় চাপা থাকে না। আমাদের পূর্বপুরুষ বাঁদর ছিলো, সেটা ডারউইন বলবার আগে কেউ দাবি করে নি, কিন্তু এমন জলন্ত উদাহরণ দেখে ডারউইনের তত্ত্বকে অস্বীকার করবার সাহস পাচ্ছি না। কিন্তু রহস্যের মূল হলো হীরা।
এই হীরা কি কিংবা কে কিংবা কাহারা?
ওর কলা মুখে দেওয়ার মাঝামাঝি আমি আবারও প্রশ্নটা করলাম। তো হীরা কি?
আরে হীরা..... ফারুকের মুখ দিয়ে আর কথা বের হয় না।
হীরা তো বুঝলাম, কিন্তু কিসের হীরা? কই পাইলি।
আরে স্ট্যাট ২০৩এর হীরা, মনে পড়ছে?
রহস্যের সমাধানটা মনে হয় পেয়েই গেলাম। গত বছর ওর ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার পর একটা মোটামুটি ধাঁচের মেয়েকে দেখিয়ে ফারক বলেছিলো, ও হীরা।
আমার সাথে স্ট্যাট কোর্স করে। মেয়েটা অসম্ভব সুন্দরী না?
আমার কাছে মনে হয়েছিলো চলেবল কিন্তু "অসম্ভব সুন্দরী" জাতীয় কোনো বিশেষণ দেওয়ার উপযুক্ত মনে হয় নি। কিন্তু বন্ধুর মন ভাঙার ইচ্ছা না থাকায় বললাম তোর কি তাই মনে হয়?
ফারুকের ভিতর থেকে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস বের হলো। আমি বুঝলাম ওর স্ট্যাট ক্রাশ কেউ ঠেকাতে পারবে না। কিন্তু সেই মেয়ের সাথে যোগাযোগের জায়গাটা কোথায়?
ও গত বছর বেশ ব্যস্ত ছিলো।
নিয়মিত ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামে যেতো। একটু সেজে গুঁজে, কিন্তু তখনও ওর এমন অবস্থা চিন্তা করি নি। সুতরাং আরও একটু চেপে ভেতর থেকে সব বিষবাস্প বের করে ফেলতে হবে।
ওরে তো চিনলাম কিন্তু তোর লগে ওর কি হইলো।
কিছুই হইলো না।
সেমিস্টারের শেষের দিকে মাথা নষ্ট মতো হয়ে গেলো বুঝলি, চারপাশে ওর সেন্টের গন্ধ পাই। ওর চেহারা দেখি আয়নায়।
আমি ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকি ওর দিকে। ও আমাদের ভেতরে একটু বেশী রোমান্টিক ছিলো, নিয়মিত বিরতিতেই প্রেমে পড়তো, কিন্তু সামলে উঠতো প্রতিবারই। আমিও ভেবেছিলাম এমন কিছুই হবে হীরার ক্ষেত্রেও।
ঘটনার প্যাঁচ যা বুঝলাম, সেটা সংক্ষেপে এমনই। ও সেমিস্টার ফাইনেলের আগে আগে হীরাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। হীরা তেমন কিছুই বলে নি, ক্লাশ শেষ হওয়ার পর খুব জোরে হো হো করে হেসে সবাইকে জানিয়েছিলো ঐ তোরা শুনছিস, ফারুইক্যা আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিছে। আমি হাসুম না কান্দুম বুঝতেছি না।
তারপর কি হইলো?
বাসায় আসলাম, পৃথিবীর কিছুই ভালো লাগে না।
কয়েক দিন ঘর বন্ধ করে বইয়া থাকলাম। তাও ভালো লাগে না। শুধু খাইতে ইচ্ছা করে। ইচ্ছা মতো খাইছি এই কয় দিন।
কয়দিন মানে কি? তোর কোনো খেয়াল আছে এইটা কোন মাস?
জানি না।
পেপার পড়ি না, টিভি দেখি না,
তোর মা কিছু বলে নাই?
আম্মা জানলে তো কিছু বলবে? আম্মার সাথে আমার দেখা হয়?
এখন কি করবি ভাবতেছিস। রেজেস্ট্রেশন করছিলি এই সেমিস্টারে?
না এখনও করি নাই, করবো করবো ভাবতেছিলাম, সেইজন্যই তোদের সাথে দেখা করতে আসলাম। আর কয় দিন আছে?
সেমিস্টার শেষ হইতে না শুরু হইতে?
নান্নু গম্ভীর মুখে বললো।
মানে?
নাহ পরের সেমিস্টার শুরু হইতে এখনও ২ মাস বাকি।
ফারুক আসলেই কিছু বুঝতে পারে নাই, না কি ও ভান করলো কিছুই বুঝলাম না।
দেখলাম ও ময়না ভাইয়ের দোকানের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি বিষয়টা সরল করে বুঝানোর চেষ্টা করি ওকে। ও যখন সেমিস্টার ফাইনালের আগে আগে হীরাকে প্রোপোজ করেছিলো, সেটার পর সেমিস্টার ফাইনাল হয়ে গেছে, নতুন সেমিস্টার শুরু হয়ে আবার ফাইনালের সময় চলে এসেছে। সুতরাং আপাতত রেজিস্ট্রেশনের সময় নাই। ওকে পরের সেমিস্টারে শুরু করতে হবে আবার।
ফারুক বুকে হাত দিয়ে পড়ে যাওয়ার আগেই আমরা ক'জন ওকে গিয়ে ধরলাম। মুখে পানি ছিটানোর পর ধাতস্ত হয়ে বসলো ও। ময়না ভাই আমাদের কিছু বলছে না কিন্তু তাকে দেখে বুঝতে পারলাম ভয়ে তার কলিজা শুকায় শুকনা কাঠ হয়ে গেছে।
চল ওকে বাসায় দিয়ে আসি। আন্টির সাথেও কথা বলবো যদি দেখা হয়।
ওর বাসায় গিয়ে দেখলাম বাসায় কেউ নেই। এমনিতেই অবশ্য কেউ থাকে না তেমন। ওর ঘরে গিয়ে বসলাম।
বুয়া স্যান্ডউইচ দাও ওদেরকে। আমাকেও দিও।
দোস্তো তুই আবার খাবি?
হ, খাবো না ক্যান?
না মানে এরপর তো তোরে একটা রিকশায় তোলা যাইবো না, দুই ভাগ করে দুইটা রিকশায় তুলতে হবে।
আমি ইশারায় মানা করলাম এই নিয়ে কোনো কথা খরচ না করতে।
তোর কি করতে ইচ্ছা করে, মানে খাওয়া ছাড়া।
কিছুই করতে ইচ্ছা করে না দোস্তো, হীরার মতো কুৎসিত হাসি আমি আর কাউকে হাসতে দেখি নি, বাংলা সিনেমার ভিলেনের মতো হাসিটা এখনও ঘরের ভিতরে ঘুরতেছে। হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ।
কি ভয়ানক হাসি। আমি ক্লাশ থেকে ছিটকে পালিয়ে আসলাম। ভাবছিলাম তোদের ওখানে যাবো, কিন্তু ভাবলাম তোদের এই কথা বললে তোরাও হাসবি, তাই আর যাওয়ার সাহস পাই নি।
শালা কাপুরুষ, গিধর, নান্নু শুরু করলো গালির সাইক্লোন, বোকাচোদা এক মাইয়া খাইতে না পাইরা কি তুই দুনিয়া পেটের ভিতরে সান্ধাইবি? সব খায়া ফেলবি দুনিয়ার? আবুলের আবুল, শালা মাইয়া মানুষ আইবো যাইবো। এইগুলারে নিয়া বেশী পাত্তা দেওয়া ঠিক না, যদি বেশী কষ্ট হয় ওর চেহারা মনে করে হাত মাইরা ফেলবি তিন বার, প্রেম ফ্রেম সব হাওয়া হইয়া যাবে।
তোরে নান্নু স্পেশ্যাল টেকনিক শিখায়া দেই, এই টেকনিক ফলো করলে জিন্দেগীতে এইসব বেকুবি করবি না। শালার উজবুক, এক মাইয়ার জন্য পুরা ৬ মাস নষ্ট করলি, তোর এই ৬ মাস কি জিন্দেগীতে ফেরত আসবে?
বুয়া একটু পরেই ফিরে আসলো, ট্রে ভর্তি স্যান্ডউইচ।
কি রে তুই তো পুরা সেনাবাহিনীকে খাওয়ানোর জন্য স্যান্ড উইচ আইনা ফেলাইলি। কে খাইবো এত?
আমরা সবাই।
হ আমরা সবাই মিল্যা এই জিনিষ শেষ করতে পারলে তো।
প্লেটের এক কোণে আম কাটা আছে। আমরা সবাই মনোযোগ দিলাম আমের বাটিতে।
বুঝলি ফলের সব পুষ্টি কিন্তু ওর খোসায়। খোসা ছাড়ায়া খাইতে হয় না এই জন্য ফল।
নান্টুর কথায় ভীষণ রকম ক্ষেপে গেলো মারুফ।
তো আমি এখন আমের খোসা খাবো?
নাহ আমের কথা আলাদা। ঐটার খোসায় কিছু নাই।
তাহলে ধর লিচু? লিচুর খোসায় পুষ্টি আছে?
নাহ লিচু বাদ দে।
তাহলে ধর কাঁঠাল। বেশী পুষ্টিকর বলে কাঁঠালের খোসা খাবো, শালা রাম ছাগল তুই খা কাঁঠালের খোসা।
খাইয়া দেখ তোর শিঙ বাহির হয় না কি।
ফারুক হাসতে হাসতে বললো তাহলে ধর নারকোল। ঐটার খোসাও কিন্তু অনেক পুষ্টিকর।
রাশেদ মুখ খুললো এতক্ষণ পরে। আসলে নারকোল বলে আমরা যা খাই ওটাতো ফল না।
ওটা হলো বীজ, ফল হলো বীজের আবরণ। বীজের পুষ্ঠির জন্য, নিরাপত্তার জন্য একটা আবরণ লাগে। সেইটা যখন সরস হয়, সেইটাকে আমরা ফল হিসাবে খাই।
তোর জ্ঞান তোর ইয়ে দিয়ে ভরে দিবো শালা। তো ফল কোনগুলা।
ফুল থেকে যা হয় সবই ফুল। গাছের ফুল থেকে বীজ হওয়ার সময় যা হয় সেইটাই ফল। সেই হিসাবে নারকোল আর চালের মধ্যে কিন্তু কোনো তফাত নাই। দুইটাই বীজ।
ফলের ফলত্বক থাকে, ফলত্বকের ভিতরে থাকে ফলের রসালো অংশ, সেই রসালো অংশেই মূলত পুষ্টি উপাদান থাকে, তবে সবচেয়ে বেশী থাকে বীজে।
বীজের ভিতরে গাছ সবচেয়ে বেশী পুষ্টিউপাদান রাখে।
তার মানে ফল খাওয়ার চেয়ে বীজ খাওয়া ভালো। আমরা লিচু খাওয়া ছেড়ে লিচুর বীচি খাবো , কাঁঠাল খাবো না, কাঁঠালের বীচি খাবো?
তোর দুইজন কি শুরু করলি? একজন বললি ফলের খোসা খাইতে হবে, একজন বললি বীজ খাইতে হবে। আমরা যা খাইতাছি সেইটা আমরা খাই।
নান্টু আজকে বাসায় যাওয়ার সময় ময়না ভাইকে বলবো কলার খোসাগুলা ড্রেনে না ফেলায়া যেনো আলাদা একটা বালতিতে জমায়, তুই প্রতিদিন সন্ধ্যায় গিয়ে অনেক পুষ্টিউপাদান খাইয়া আড্ডা দিস।
আর রাশেদ, তোর জন্য আমি বিজ টোকায়া রাখবো। সামনের বাস যখন আসবি তখন খাইতে দিবো। এখন আমাগোরে অপুষ্টিকর জিনিষ খাইতে দে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।