আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তব্দা পার্ট ৩

কিচ কিচ কুচ কুচ কাচ কাচ কোচ কোচ!!! এইটা তব্দা সিরিজের তিন নাম্বার লেখা ঠিক আছে কিন্তু তার মানে এই না যে আগেরগুলা পড়তেই হবে। তিনটা আলাদা। এইটা ভালো লাগলে আগেরগুলা পড়বেন। অনেকটা মেডিকেল ফান টাইপ সিরিজ এই তব্দা। তব্দা পার্ট ১ তব্দা পার্ট ২ থার্ড টার্ম ফার্মা পরীক্ষার রিটেন চলছে।

গাদা গাদা ড্রাগের indication আর adverse effect মাথার মধ্যে জট পাকিয়ে আছে। মেট্রোনিডাজল পেনিসিলিন কুত্তা ছাগল বিলাই সব এক মনে হচ্ছে। ফার্মার একটা সুনাম আছে, যা ইচ্ছা তাই লিখে আসলেও রিটেনে নাকি ফেল হয় না। সুতরাং তেমন কিছু না পারলেও ছেড়ে তো আর আসতে পারি না! একেকটা প্রশ্নের উত্তরে যা ইচ্ছা তাই লিখছি, কি লিখলাম সেটা নিয়ে আর মাথা ঘামানোরও টাইম নাই। প্রথম যে কোশ্চেনে পুরোপুরিই বেঁধে গেলাম সেটা হচ্ছে, Name some anti cancer drugs. এই রে! এইটা আবার কি? এইটা তো জীবনেও পড়ি নাই! এখন কি হবে? পাশে তাকাইলাম।

দেখি আমার জনৈক প্রমীলা ক্লাসমেট গভীর মনোযোগ দিয়ে লিখছে। এই মেয়ের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মিষ্টিকুমড়ার সাথে তার আকৃতিগত পার্থক্য খুবই কম, শুধু তার হাত পা আছে, মিষ্টিকুমড়ার নাই। আমি লজ্জার মাথা খেয়ে ওকে জিজ্ঞেস করলাম, anti cancer drug পারো? মেয়ে কটমট করে আমার দিকে তাকাল। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, anti cancer drug কি কি আছে? মেয়েটা বলল, সাইকেল... (আর বুঝি নাই) আমি বললাম, কি? সাইকেল? মেয়েটা বলল, মিথো... আমি বললাম, কি? মিথো কি? এই রে, ভুলেই গিয়েছিলাম। এই মেয়ে তো যা বলে তার অর্ধেক মুখে মধ্যেই থাকে।

কেউ তার উচ্চারিত শব্দের দ্বিতীয় অর্ধেক বুঝতে পেরেছে এরকম রেকর্ড খুবই কম। আমি বললাম, প্লিজ একটু স্পষ্ট কইরা বল। মেয়ে এবার কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে একটু জোরেই বলে উঠল, মালফেলান। আমি তব্দা খেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কি ফেলব? মেয়ে রেগেমেগে জোরে বলে উঠল, মাল! মাল ফেলান!! হায় হায়! মেয়ে বলে কি? ভয়ে আমার তখন কাপাকাপি লেগে গেছে! নিশ্চয়ই কোন ভুল হচ্ছে ভেবে আবার জিজ্ঞেস করলাম, কি ফেলব? মেয়ে এবার ছোটখাট চিৎকার দিয়ে বলল, মাল!!! মালফেলান!!! আমি ভয়ে আমার তৎকালীন মাল, মানে আমার হাতের কলমটা হাত থেকে ফেলে দিলাম। *** বাইরে এসে এক আঁতেলকে বললাম, দোস্ত কাহিনী তো ঘইটা গেসে।

কুমড়ি আমাকে মাল ফালাইতে বলসে। মানে?? আঁতেল অবাক। তখন আমি পুরো ঘটনা তাকে সবিস্তারে বললাম। সে তখন সামান্য হেসে বলল, আবে হালা, মাইয়া তো ঠিকই কইছে। তুই যেইটা সাইকেল শুনছস সেইটা হচ্ছে cyclophosphamide, যেইটা মিথো শুনছস সেইটা methotrexate, আর যেইটা মাল ফেলান শুনছস সেইটা আসলেই melphalan।

ঠিক আছে?? তব্দা খাইলাম। টাসকি খাইলাম। আঁতেল হাসিমুখে গাইড বের করে পরের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।