এসো আবার চড়াই উৎড়ই.......... হুমায়ুন আজাদ স্যারের মৃত্যুটা আমাকে স্পর্শ করেনি সেই সময়টাতে। তবে তার কাজের সাথে যতই পরিচিত হয়েছি ততই কষ্ট লেগেছে যে, আমি কয়েকপাতা কুরআন পড়া বলদগুলার পেছনে দাড়িয়ে শৈশব ও কৈশোরে নামায পড়তে যেতাম বলে। তার পাক-সার-জমিন সাদ বাদ ছিল একজন ধর্মীয় গোঁড়াকে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ানোর অনবদ্য মুক্ত গদ্য। কিন্তু একটি ধর্মীয় গোষ্ঠির অজ্ঞতা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আমরা হারিয়েছি আমাদের একজন মহান মানুষকে।
অথচ তার শুভব্রত ও তার সম্পর্কিত সুসমাচারের জন্য এই ধর্মীয় গোষ্ঠি তাকে শুলে চড়াতে পারত। ভাগ্যিস তারা বুঝতে পারেনি, জানি ওদের এতোটা হিউমার কখনও ছিল না। তারা শুধুমাত্র তাদের সংগঠনকে বাচাঁতেই উৎসাহী। গত কয়েকদিনের ক্রমান্বিত পথগুলো দেখলে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠে, সেই কালো শক্তির থাবা, পুঁজিবাজারে ধ্বস্, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত শিবিরের শেষ ক্যান্টমেন্ট বেদখল ও প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে হাটহাজারীতে মন্দির ভাংচুর। সাংবাদিক দম্পত্তি হত্যার ঘটনায় তার জড়িত কিনা এখনও জানা যায়নি।
আর হালের এই সাইবার ওয়্যার নামক ঘটনা প্রবাহ। বলে রাখা ভালো হ্যাকিং এর নামে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা এমন আহমরি কোন হ্যাকিং নয়। বরঞ্চ টুলস্ ইউজ করে এ্যামেচার হ্যাকিং করা হচ্ছে, যা ১০-৬০ মি. এর মধ্যেই পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। সুতরাং যারা এসবের পিছনে পন্ডশ্রম করে বেড়াচ্ছেন এবং বিশেষ আকারের গর্বে আপ্লুত হয়ে বুক ফুলিয়ে চলছেন, তাদেরকে জানাচ্ছি মূল হ্যাকিং প্রক্রিয়া শিখতে হলে ওয়েভসাইট নয় সার্ভার হ্যাকিং শিখুন এবং তারপর বুক ফুলিয়ে চলুন। বাচ্চাদের হাত থেকে বল কেড়ে নিলেও বাচ্চার বাবা বা বড় ভাইড়া এসে আপনার বলটা কেড়ে নিবেই।
আর মিডিয়া ব্যক্তিদের সাথে সাথে দেশবাসীর দৃষ্টিকোনকে যে ভাবে ক্রমাগত পরিবর্তন করানো হচ্ছে তা আসলে আর কিছুই নয় আড়ালে ভালো কোন ধান্দা আছে বলেই মনে হচ্চে। বিস্তারিত বুঝতে পারলে পরে জানাবো কথা দিচ্ছি। আপাতত ওয়াচে রাখছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।