আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোধোদয় হোক সৌদি রাজপরিবারের

খুবই সাধারন.সহজ, সরলএকটা মানুষ আমি.....তবুও বারে বারে কেন জানি ছন্দ হারিয়ে ফেলি। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরবে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রাজতন্ত্র। রাজা আসে রাজা যায়। কিন্তু নীতির কোন পরিবর্তন হয় না। আর এই সুযোগে পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের স্বার্থ আদায় করতে সখ্য গড়ে তোলেছে সৌদি রাজপরিবারের সাথে।

অদূরদর্শী শাসকগন এটাকে কল্যান মনে করে যেভাবে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তা হয়তো তাদের ক্ষমতার জন্য খুবই দরকারী কিন্তু মুসলমানদের স্বার্থের জন্য যে তা কতবড় ক্ষতির কারন তা একটিবারও ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করে না এরা। ক্ষমতা আর অর্থের লালসা এদেরকে এতোটাই মগ্ন করে রেখেছে যে, এরা শুনতে পায়না ফিলিস্তিনি শিশুর কান্না, এরা অনুভব করতে পারে না নিরীহ ইরাকীদের বেদনা। উল্টো আরো আমেরিকা আর ইসরাইলের তাবেদারী করার মধ্যেই যেন তাদের স্বর্গসুখ লুকিয়ে আছে। কত বড় নির্বোধ হলে এরা পবিত্র আরবের মাটি রক্ষার দায়িত্ব ইহুদি-খ্রিস্টানদের হাতে তুলে দিতে পারে? এই শাসকগোষ্ঠীর এখনই আত্মউপলব্দি করা উচিত মার্কিনীদের তাবেদারী করে শেষ পর্যন্ত কেউই ক্ষমতার মসনদে থাকতে পারেনি। স্বৈরশাসক শাহ, হোসনি মোবারক, বেন আলী এদের কারোরই পতনটা সুখের হয়নি।

কাজেই মার্কিনীদের তাবেদারী করলেই যে আখের ভালো যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আরব বসন্তের হাওয়া একদিন আগে হোক পরে হোক সৌদে আরবে লাগবেই। এবং সেটা প্রবলভাবে। সেদিন আর মার্কিনীদের এই তাবেদারী কোন কাজে লাগবে না। বরঞ্চ এই মার্কিন প্রভুরাই সেদিন সৌদি শাসকদেরকে বেওয়ারিশ কুকুরের মত তাড়িয়ে দেবে।

এখনো সময় আছে মার্কিনীদের সঙ্গ ত্যাগ করার। সে বোধটাই উদয় হোক সৌদি রাজপরিবারের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।