আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোধোদয়

আমিও সুরের মত মিলিয়ে যাবো। ততদিন পর্যন্ত পাওয়া যাবে paintlove@gmail.com এ...

পড়ালেখা শেষ করে বেকার ঘুরছি। কিন্তু আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মায়া ছাড়তে পারিনি। প্রতিদিনই নাটকের রিহার্সেলের প্রয়োজনে হোক বা রিহার্সেল না থাক, ক্যাম্পাসে যাওয়া চাই। রিহার্সেল শেষে শাহবাগে বসে আড্ডা আর রেগুলার গলা ফাঁটিয়ে গান করা তো অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে।

এই অবস্থা যখন চলছে তখন আমার এক বন্ধু প্ল্যান করেছে একটা প্রজেক্টে অংশ নিবে। এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আমি পুরোপুরি জানি না। কিন্তু সে প্রজেক্টের ব্যাপারে আমার সাহায্য চায়। আমি যেন ওর সাথে প্ল্যানিং এ থাকি। যাই হোক।

কোনোদিন বেচারাকে সময় দিতে পারি না। ঐ যে একটা কথা আছে না? ইজি কাজে বিজি..!! ঐরকম আর কি। তো একদিন সময় করে বসলাম। বন্ধুটি আমার সামনে তার পরিকল্পনা তুলে ধরলো। তার ইচ্ছা পরিবেশ বিষয়ক একটা মিউজিয়ামের মতো করা হবে।

যেখানে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে রিসার্চ করার সুবিধা পাওয়া যাবে। তার সাথে এসব আলাপ করতে গিয়ে নতুন করে বোধোদয় হলো। আমরা সবসময় গলা ফাটাই। অমুক করতে হবে, তমুক করতে হবে। পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।

ঢাকা শহর কে ময়লা আবর্জনা মুক্ত করবো। তার জন্য আটঘাট বেঁধে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাও। কিন্তু কাজের কাজ কতটুকু হয়?? আমি যতটুকু জানি..জাইকা এবং সিটি কর্পোরেশন মিলে ধানমন্ডি ও গুলশান এলাকায় বেশ কিছু বাড়িতে প্রত্যেকটিতে তিন প্রকারের কন্টেইনার দিয়েছে। যাতে প্রথম ধাপেই ময়লা পৃথক করা সম্ভব হয়। এই খানে জানিয়ে রাখি, জাপানে প্রায় ৬/৭ প্রকারের কন্টেইনারে মানুষ ময়লা ফেলে।

কোনটাতে প্লাস্টিক, কোনোটাতে কাঁচ, কোনোটাতে কাঁচা শাকসব্জির উচ্ছিষ্ট, কাগজ...এরকম বিভিন্ন প্রকারের ময়লা সংগ্রহ করা হয়। ফলে যেসব পচনশীল সেগুলো আলাদা করে রাখা যায়। আর যেগুলো অপচনশীল সেগুলোকে রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা সম্ভব হয়। জাইকা সেই জিনিসটাই ধীরে ধীরে চালু করতে চায় বাংলাদেশে। যারা জানেন না তাদের জানাই।

ঢাকার মাতুয়াইলে এখন সব ময়লা জড়ো হয়। যেখানে ধাপে ধাপে ময়লা মাটি চাঁপা দেয়া হয় যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়। এখান থেকে ভবিষ্যতে গ্যাস উৎপাদনও সম্ভব। জাইকার সহযোগিতায় রিসাইকেল করার চিন্তা ভাবনাও চলছে। কিন্তু গুলশান, ধানমন্ডি, বারিধারার এসব অভিজাত লোকজন দুইটা কন্টেইনার নিজের কাজে ব্যবহার করে আর ময়লা ফেলে চিরাচরিত ভাবে সেই একটা কন্টেইনারে।

হায়রে বাঙালী, মানুষ হইল না। এখন শিক্ষিত লোকজনের কাছে যদি এইরকম সাড়া পাওয়া যায় তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ দরিদ্র জনগনের কাছে আর কি আশা করবো। তারা তো শিক্ষাটুকুও পায়নি। তাই বোধোদয় হলো। বর্তমান যুগ হলো তারুন্যের যুগ।

তরুনরাই পারে পরিবর্তন আনতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেরই বা কি অবস্থা। আমরা যেখানে নিজেদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে পারিনা সেখানে পুরো দেশ নিয়ে কি ঘন্টা প্রজেক্ট প্ল্যান করবো?? নিজেদের শুরু করতে হবে। একটা ক্যাম্পাস যদি পরিষ্কার হয় তখন অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সেটা হবে দৃষ্টান্ত (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছি) আমরা অন্তত বুক ফুলিয়ে বলতে পারবো "আমাদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার, আপনার...??" ....বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন হয়ে গেল। থাক..... খুব একটা গুছিয়ে লিখতে পারলাম না।

স্বল্প সময়ে মনে যা আসছে লিখছি। পরে না হয় গুছিয়ে একটা পোস্ট দিবো...। কিন্তু ভাইয়া রা ও বোইনে রা... জায়গা মতো ময়লা ফেলেন আর না ফেলেন..খালি কন....আপনের ক্যাম্পাসটা কি পরিষ্কার?????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।