আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শরীরের গান " খুল যা সিনসিন " অথবা স্বেচ্ছা নির্বাসনের পাসওয়ার্ড

পার্সোনাল লাইফ এর গোপনীয়তার দোহাই দিয়ে আসলে আমরা নিজেরায় নিজেদের কাছ থেকে লুকিয়ে ফেলছি " আমি যা , তুমি যা , আমরা যা , তোমরা যা , সে যা , ও যা অথবা কোন ব্যক্তি বিহীন একটি ব্যক্তির ছায়ার সমান খাঁচা সেই খাঁচাটা যা , তা সব লুকিয়ে ফেলছি নিজের ছায়ার নিচে আমরায় কবর দিয়ে ফেলছি আমাদের দক্ষিণ সমুদ্র বাতাসে ফুলে ওঠা কায়াটাকে সেই কায়া যাকে আমরা শরীর বলি সেই শরীরের ইতিহাস শেকলের ইতিহাস সেই কায়া হলো সেই শরীর যে শরীরের ইতিহাস রক্তের ইতিহাস যে শরীরের কাঁধে ক্রুশ এখন একটা বোঝা যে শরীরে প্রেম নিজেই পেরেক ঠুকে ঠুকে নিজেই আজ বামবুকের উপরে হয়ে আছে সমাধিফলক আর পুর্নিমার রাতে বুকের উপর নাবিকের লকেটের মত ঝুলে থাকে যেন এক ক্রুশচিনহ হয়ে তবু সেই শরীর শুধু যীশুর মত অন্য শরীরবিহীন নয় সেই শরীর মাংসের স্বাদ চায় সেই সরীর মাংসের ঘ্রান চায় সেই শরীর অন্য শরীরের অধিকার চায় নিজে অধিকার চায় মানে শুরুতেই সেই সমর্পন করেছে তার নিজের দেহের অধিকার সেই শরীর যে শরীরের ভেতর আগুন ঘেটে গর্ভে আনে অন্য শরীর যে শরীর দেব্দুতের মত নয়মাস ঘুমিয়ে থাকে মায়ের পেটের ইডেন আদম হাওয়ার কোলে যে শরীর পৃথিবীর আলোতে এসে নিজের ঝিনুকে প্রেম , কাটা , যন্ত্রনা বিচ্ছেদের বিষাক্ত বালুতে ফলাবে তার অবৈধ , অস্বীকৃত সন্তানের মত মুক্তো মুক্তো হাতে গভীর অন্ধকারে হয়তো সেই শরীর খুজে নেবে যে দেহের ইতিহাস সব বড় বীর আর জানোয়ারদের প্রিয় এই ভাবে প্রতিদিন শরীরের ঘর ঢেকে রাখো তুমি এবার আসছে তো ছুটির লম্বা শুক্রবার আমরা যাবো কোন দীর্ঘ সমুদ্রের নারিকেল আর ঢেউএর ছাউনিতে লজ্জায় লাল কাকড়ার মত বালুতে গা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকবো আমরা শরীরের ঘরের সব দরজা জানালা দক্ষিণ মুখে খুলে দিয়ে শরিরের নগ্নতাকে সুর্যের মত পবিত্র আর শিশুতোষ ভেবে দেখো আমি ঠিকই তোমার জন্য সুর্যাস্তে সুর্য ধরতে গিয়ে ডুবে গিয়ে দেখো ঠিকি আমি ফিরে আসবো তোমার দেহের বাতিঘরে সুর্যস্নানে তোমার চামড়া থেকে মুছে যাবে সব গোপনীয়তার দাগ পার্সোনাল লাইফের দোহাই দিয়ে আমি তোমার কাছ থেকে তুমি আমার কাছ থেকে যেভাবে নিজেকে লুকিয়েছিলে সেই সব আজ খোলাশা হয়ে যাবে সমুদ্রতীরের ঝকঝকে লম্বা শুক্রবারের ছুটিবার আমরা নতুন সুর্যের নিচে , এই সমুদ্র ঢেউইয়ের কাবিননামায় রোদের তিব্রতায় চিনে নেবে আমরা একে অপরকে যেভাবে সুর্য এসে রোজ ভোরে চিনে নেয় বঙ্গোপসাগর আর আমাদের পায়ের নিচে কবর হয়ে যাওয়া কায়াটাকে তুলে ছায়াটাকে কবরে রেখে সমাধিফলক না দিয়ে সেখানে দেবো গর্ভবতী সুর্যমুখী ফুলের গাছ কবর তখন যেন আর কোন কবর নয় মাটিতে ঊঠে থাকা সেই উচু ঢিবি যেন এক সাত মাসের পোয়াতি নারীর উচু হয়ে থাকা পেট  

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।