আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শরীরের যত কলকব্জা (২)

জীবন অনেক দামী..কাজ প্রচুর...সময় কম।

গত পর্বে তিনটা সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এখন দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বেই অবশিষ্ট প্রায় সব সিস্টেম নিয়েই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। Gastro Intestinal ( পরিপাক তন্ত্র ) সেই যে একটা ছোটদের গল্প ছিল, হাত পা মুখ সব একদিন মিটিং এ বসল এই কারনে যে সব খাবার তো খায় পেটে অথচ কাজ করি আমরা।

সুতরাং সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল, আজ থেকে সবাই হরতাল করবে। হাত খাবার তুলে দেবে না, মুখও সেটা গিলবে না, পা খাবারের ত্রিসীমানায় ও যাবে না। কদিন পর দেখা গেল, হাত আর মুঠিও করতে পারছে না, পা আর চলছে না, মুখের সব বকবক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন এরা সবাই বুঝতে পারলো আসলে পেট একাই খাবার খেত না, সবাই সেই খাবারের ভাগীদার ছিল । সত্যিকার অর্থেই, আমরা তো মজার মজার খাবার খেয়েই খালাস।

অথচ জানাও নেই এরপর কত শত mechanism কাজ শুরু করে দিচ্ছে। প্রথমেই ধরা যাক saliva বা লালার কথা। খাবার দেখলেই এমনকি খাবারের কথা চিন্তা করার সাথে সাথেই লালার production বেড়ে যাচ্ছে, এমনকি পেটের মধ্যে পাচক রস (Gastric juices) নিঃসরন (secretion) হতে শুরু করে। প্রধানতঃ যেটা নিঃসরন হয় তা হোল হাইড্রোক্লরিক এসিড যা প্রোটিন হজমে কাজ করে। এছাড়াও আরও কিছু পাচক রস (Gastric juices) নিঃসরন (secretion) হয় আলাদা আলাদা ভাবে চর্বি (fat) এবং শর্করা (carbohydrate) হজমের জন্য।

সাধারন ভাবে হজম বলতে সাধারন মানুষ যা বুঝে থাকে তা আসলে Digestion (?বিপাক) এবং Absorption (শোষন) এই দুইটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথমে খাবার মুখের মধ্যে লালার মাধ্যমে পিচ্ছিল হয়ে যায় এবং গিলতেও সাহায্য করে। গলাধঃকরন পর্যন্ত তো আমরা সহজেই বুঝি কিন্তু এরপর আমাদের আর কোন নিয়ন্ত্রন থাকে না। শুরু হয়ে যায় peristalsis নামে এক চলমান প্রক্রিয়া যা খাবার কে গলা থেকে নামিয়ে পেট পর্যন্ত নিয়ে যায়। এরপর সেই হাইড্রোক্লরিক এসিড কাজ শুরু করে, এবং কাজ শেষ করে খাবার কে সামনে ঠেলে দেয়।

সাধারনতঃ পেট থেকে এই খাবার বের হতে ৩ ঘন্টা সময় লাগে। পেট থেকে খাবার প্রবেশ করে অন্ত্রে ( Intestine)। এই Intestine কে small ও Large দুই ভাগে ভাগ করা হয়। Small Intestine ৬ মিটার এবং Large Intestine ১.৫ মিটার লম্বা। Large Intestine ই মূলতঃ Colon নামে পরিচিত।

আমরা গরু-খাশী জবাইয়ের পর পেটের মধ্যে এধরনের জিলাপীর প্যাচ হয়তো দেখে থাকতে পারি। এভাবে একজন ৫-৬ ফুট লম্বা মানুষের পেটে প্রায় ২৫ ফুট লম্বা জিলাপীর প্যাচ খাদ্য digest এবং absorption এর কাজে নিয়োজিত থাকে। এবং এই ২৫ ফুট লম্বা intestine এর মোট surface area হচ্ছে একটা টেনিস কোর্টের সমান। Digest হচ্ছে খাদ্যকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দলাই মলাই করে নির্যাসে পরিনত করা এরপর absorption বা শোষন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অংশটুকু রক্তে প্রবেশ করে আর বাড়তি অংশটুকু শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে থাকে যা Rectum এ জমা থাকে। Digestion এর কাজে আরও যারা অংশগ্রহন করে তারা হলো Pancreas, Gall Bladder ।

Pancreas এর কাজ মূলতঃ খাদ্য digestion এর জন্য কয়েক ধরনের পাচক রস (Gastric juices) তৈরী করা । Pancreas এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ insulin তৈরী করা। ইনসুলিন এর নাম শোনেনি এরকম কেউ বোধহয় নেই কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে এটা প্রত্যেকের শরীরেই তৈরী হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের যে ইনসুলিন দেয়া দেয়া হয় সেটা অবশ্য কৃত্রিমভাবে প্রস্তুতকৃত এবং এটা তখনই দেয়া হয় যখন রোগীর শরীরে এটা পর্যাপ্ত পরিমানে তৈরী হতে পারে না। ইনসুলিনের কাজ হোল খাবারের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্লুকোজ Liver এ জমা করে রাখা এবং প্রয়োজনে ( যেমন অভুক্ত অবস্থায়) এই গ্লুকোজ কে পুনরায় Liver থেকে বের করে শক্তির উৎস হিসাবে কাজে লাগান।

সুতরাং বোঝা যাচ্ছে Pancreas শরীরের খুবই প্রয়োজনীয় একটা অঙ্গ এবং এটি একটিই থাকে। Gall Bladder (পিত্ত থলি) ও একটি ই এবং এটি থাকে পেটের উপরিভাগের ডানদিকে পাজরের ঠিক নীচে। Liver ও একটিই, যার অবস্থান ও উপরে উল্লেখিত স্থানে। Gall Bladder এর মধ্যে পিত্তরস বা bile জমা থাকে। Bile এর কাজ হোল চর্বি কে টুকরো টুকরো করে Digestion এ সাহায্য করা।

Gall Bladder ফেলে দিলে তাই fatty খাবার খেলে কিছুটা অসুবিধা হয়। Kidney & Body Fluids (Renal System): খাদ্যের পানি বা জলীয় ভাগ Colon থেকে Blood এ শোষিত হয়ে যায়। এই রক্ত যেমনভাবে Lungs এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে অক্সিজেন মিশে যায় আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছেড়ে দেয়, Intestine এর পাশ দিয়ে যাবার সময়ে পুষ্টি উপাদান মিশে যায় এমনিভাবে Kidneyর পাশ দিয়ে যাবার সময়ে রক্ত পরিশোধন হয়ে জলীয় ভাগ বের করে দেয়। এই দূষিত জলীয় ভাগ প্রসাব হিসাবে দুই Kidney থেকে দুইটা Ureter দিয়ে Urinary Bladder নামে একটা থলিতে জমা হয় এবং আমাদের ইচ্ছামত বাইরে নির্গত হয়। Urinary Bladder এ প্রায় ১৫০ মিলি প্রসাব জমা হলে প্রসাবের একটা অনুভুতি সৃষ্টি হয় তবে প্রায় ৩৫০ মিলি পর্যন্ত এই থলি ধারন করে রাখতে পারে এরপর ব্যথা শুরু হয়ে যায়।

Kidneyর অবস্থান পেছনদিকে নাভি বরাবর দুইপাশে। Metabolism বা বিপাক ক্রিয়ায় দেহে প্রচুর পরিমানে দূষিত পদার্থ শরীরে সৃষ্টি হয় যেমন Factory তে পন্য উৎপাদনের সময়ে প্রচুর বর্জ্যপদার্থ উৎপন্ন হয়। রক্তের এই বর্জ্য অপসারনে Kidney filter এর কাজ করে। Kidneyর আরো গুরুত্বপূর্ন কিছু কাজ আছে যেমন শরীরের electrolytes বা লবন নিয়ন্ত্রন করা। শরীরের যাবতীয় কাজ Electrolytes এর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

এই electrolytes গুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন হোল Sodium, Potassium, Chloride, Bicarbonate, Calcium, Magnesium. এছাড়া আরো কিছু electrolytes আমাদের শারীরবৃত্তীয় কাজে জরূরী ভূমিকা রাখে। সোডিয়াম , পটাসিয়াম যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সেটা কিন্তু সবচেয়ে সুলভ ও বটে। খাবার লবনের মাধ্যমেই এগুলোর যোগান নিশ্চিত হয়ে থাকে। একটা লক্ষনীয় বিষয় হোল, বিভিন্ন জাতিগোষ্টীর খাদ্যতালিকায় রুচিভেদে অনেক বাছবিচার দেখা যায়। যাবতীয় মশলা (হলুদ, মরিচ, ইত্যাদি ইত্যাদি) এই উপমহাদেশ ছাড়া এত জনপ্রিয় আর কোথাও নয়।

কিন্তু লবন খায়না এরকম কোন জাতিগোষ্ঠী পাওয়া যাবে না। এমনকি পশুরা পর্যন্ত লবন ছাড়া খেতে পারে না। অনেক সময় বন্যপ্রানীরা লবন আলাদা চেটে চেটে খায়। যাই হোক, Kidney শরীরের বর্জ্য রক্ত থেকে বের করে দেয় অপরদিকে পানি, লবন এগুলোর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন করে। অর্থাৎ কোন সময়ে পানিস্বল্পতা দেখা দিলে প্রসাবের পরিমান কমিয়ে দেয় যেন electrolytes এবং পানি যতটা সম্ভব আটকে রাখা যায়।

Kidney failure এ Dialysis এর মাধ্যমে এই ছাকনির কাজটাই করার চেষ্টা করা হয়। যদিও Kidneyর আরো অনেকগূলো কাজ Dialysis করেও পূরন হয় না। Hormone (Endocrine) / হরমোনঃ শরীরের আরেকটা গুরুত্বপূর্ন সিস্টেম হচ্ছে Endocrine System অর্থাৎ হরমোন। ইনসুলিন ও একটা হরমোন যার কাজ আগেই বলা হয়েছে। এরকম আরো প্রায় ১৫-২০টা হরমোন শরীরে কাজ করে।

এদের মধ্যে Thyroid মানূষের কাছে সবচেয়ে পরিচিত কারন এটির রোগই সবচেয়ে বেশী হয়। থাইরয়েড হরমোন একই সাথে খুবই গুরুত্বপূর্নও বটে ( যদিও দেহের কোনটি নয়?) । থাইরয়েড gland টা অবস্থান করে গলার উচু জায়গাটার দুই পাশ জূড়ে । এই হরমোনের ঘাটতিতে বুদ্ধির স্বল্পতা দেখা যায়, কাজে কর্মেও ধীরগতি চলে আসে। এই হরমোনের আধিক্যে বুক ধড়ফড় করে এবং আরো অনেক রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে।

শরীরের মধ্যে আরো যে সমস্ত হরমোন কাজ করে তার মধ্যে Testosterone একটি যা মূলতঃ ছেলেদের থাকে (নারী দেহেও কম মাত্রায় থাকে) যার প্রভাবে আক্রমনাত্বক ভাব, প্রবৃত্তি, শক্তি প্রকাশ পায়। মেয়েদের কোমলতা, লাবন্য, এগুলো হয়ে থাকে estrogen নামক hormone এর কারনে। MusculoSkeletal System (মাংশপেশী এবং অস্থি) শরীরে মাংসপেশী মোট ওজনের একটা বড় অংশ দখল করে থাকে । এই মাংসপেশী হাতে পায়ে যেমন আছে যা voluntary muscle অর্থাৎ আমরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রন করতে পারি। এমনি ভাবে involuntary muscle ও ছড়িয়ে আছে intestine, heart এবং আর কিছু জায়গায় যেগুলো নিয়ন্ত্রন মানূষের ক্ষমতার বাইরে।

অর্থাৎ এগুলোকে চালানোর দায়িত্বও আমাদের না, চাইলে আমরা এটাকে থামাতেও পারব না। খাবার গলাধঃকরনের সাথে সাথেই intestine এর muscle এটাকে সামনে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। Heart এর muscle অবিরতঃ pump করে যাচ্ছে যা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে যাবে। কারন যেমনটা আগেই বলেছি, Heart মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার অর্থাৎ ঘন্টায় প্রায় ৫ হাজার বার এবং দিনে ১ লক্ষ ২০ হাজার বার pump করে যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড বন্ধ থাকলেই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।

ঐচ্ছিক মাংসপেশী গুলো একেক টা জোড়া (joint) কে ঘিরে কাজ করে। উদ্দীপনা পায় Nerve থেকে যা Brain থেকে মেরুদণ্ড (Spinal Cord) দিয়ে নিচে নেমে আসে। Brain উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হলে (যেমন স্ট্রোকে) হাত পা নাড়ানো যায় না, Spinal Cord এ আঘাত বা রোগ হলেও তেমনি একই সমস্যা হতে পারে। আর Muscles রোগাক্রান্ত হলে (যা তূলনামূলকভাবে কম) এ সমস্যা হবে এটা তো বলাই বাহূল্য। Joint গুলোতে দুইটি ( কোন কোনটি দুইয়ের অধিক) bone পাশাপাশি আটকানো থাকে Ligament নামের দড়ির মত জিনিষ দিয়ে।

যদিও Joint এ দুইটা bone এর মাঝে lubrication বা পিচ্ছিল করার জন্য এক ধরনের fluid থাকে, Joint গুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য Shock Absorber জাতীয় Bursa বলে আরও কিছু জিনিষ Joint কে ঘিরে রাখে। তবে বেশী stress এ (যেমন খেলোয়াড়দের, অনেকসময় সাধারন মানুষেরও) এই Ligament মাঝে মাঝে ছিড়ে যায় যা সাধারন এক্সরে পরীক্ষায় নজরে আসে না। এই joint fluid এবং আশেপাশের সবকিছুতেই কিন্তু প্রতিনিয়তঃ রক্তের মাধ্যমে খাবার পৌছে যায়। Nervous System/Neurology/নিউরোলজি প্রায় সবকিছু নিয়ন্ত্রনের হেডকোয়ার্টার হলো Brain যা সুরক্ষিত থাকে Skull (খুলি) এর শক্ত কাঠামোয়। Brain এ কয়েক মিলিয়ন nerve cell থাকে যা শৈশবকাল পর্যন্তই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।

মস্তিষ্কের আরেকটা বিষয় হোল পূর্নবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের cell (কোষ) আর বাড়ে না। যা তৈরী হবার তা ভ্রুন এবং শৈশব অবস্থায়ই তৈরী হয়ে যায়। Brain এর একেকটা জায়গা একেক কাজে নিয়োজিত। যেমন সামনের অংশ আবেগ, স্মৃতি, পারিপার্শ্বিক সচেতনতা (social awareness যার কারনে একজন জনসমক্ষে প্রসাব করতে শুরু করে না ) এগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে। Brain এর ডান পাশ, শরীরের বাম পাশ কে নিয়ন্ত্রন করে আর বাম পাশ, নিয়ন্ত্রন করে শরীরের ডান পাশ কে।

কথা বলার উদ্দীপনা তৈরী হয় যে জায়গা থেকে তা প্রায় ৯০% ক্ষেত্রে থাকে বাম পাশে। শ্রবন, ঘ্রান এবং অন্যান্য যাবতীয় কিছুর এভাবে আলাদা আলাদা জায়গা আছে এবং মস্তিষ্কে র ঐ জায়গা ক্ষতি হলে ঐ কাজ করার যোগ্যতা হারায়। আমরা চোখে যা দেখি তা চোখের লেন্সের (যেটা একটা convex লেন্স) মধ্য দিয়ে প্রথমে Retinaয় পড়ে। Retina থেকে তার একটা message, nerve বহন করে নিয়ে যায় Brain এর একেবারে পিছনে। প্রত্যেকটা অনুভুতি Brain এর একটা ছোট জায়গায় গিয়ে পৌছায় এবং ঠিক তার পাশের আরেকটা জায়গা পূর্ব্বের স্মৃতির সাথে মিলিয়ে এই অনুভুতি কে বোধগম্য করে।

অর্থাৎ একটা বই চোখে পড়লো, কিন্তু ততক্ষন পর্যন্ত এটা বোধগম্য হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না পূর্ব্বের স্মৃতিভাণ্ডার এটার পরিচয় তুলে ধরে। এমনিভাবে কানে কিছু শুনলে আমরা চোখ বন্ধ করেও বলে দিতে পারি এটা এর আওয়াজ, অমুকের কন্ঠস্বর, এমনকি তমুকের পদশব্দ। অনেকেই কিন্ত এটা পারবে না যার এই অংশগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। যেমন, স্ট্রোকের অনেক রোগীকে আমরা দেখি, কারুর দিকে ভাবলেশহীন তাকিয়ে থাকতে কিন্তু চিনতে পারে না। অথবা কলম দেখালে নিজে থেকে বলতে পারে না কথা বলার সহায়তা কেন্দ্র ক্ষতি হলে।

বলে দেয়ার পর কিন্তু সাথে সাথে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়। কারন তার শ্রবনকেন্দ্র,দৃষ্টিশক্তি এগুলো ঠিকই আছে। যাহোক এরকম হাজারো জটিল সূক্ষ্মাতিসূক্ষ কাজকারবার মস্তিষ্কে সর্বক্ষন ঘটে চলেছে। Brain তথা Nerve এবং Heart ও অন্যান্য muscles এর কাজকারবার এগুলোর সব কিছু কাজের জন্য Electrical activities এর উপর নির্ভর করে। Electricity Conduction এর মাধ্যমে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত Impulse বা উদ্দীপনা বয়ে চলে।

প্রত্যেকটা Signal পাঠিয়ে ই Brain বসে থাকে না, এগুলোর feedback নেয় ঠিকমত সম্পাদন হোল কিনা। এবং fine tuning এর মত adjust করে দেয় মস্তিষ্কের পশ্চাতে অবস্থানকারী cerebellum আরো কিছু অংশের সহায়তায়। প্রসাব-পায়খানা নিয়ন্ত্রন, দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রন, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন, পিপাসা তৈরী করে পানির ভারসাম্য অথবা ক্ষুধা দিয়ে খাবারের চাহিদা মেটানো এরকম শত শত mechanism শরীরে কাজ করে যাচ্ছে যা শুধু বিস্ময়করই নয় অফুরন্ত চিন্তার খোরাক। জরুরী প্রায় সব সিস্টেম নিয়েই আলোচনা করা হোল। যদিও এই অল্প পরিসরে এই বিশাল এবং জটিল মেশিনের কতটুকুই বা বর্ননা করা সম্ভব ! পাঠকদের আগ্রহ থাকলে পরবর্তীতে এক পোষ্টেই সবটুকু জুড়ে দিতে পারি।

প্রথম পর্ব শরীরের যত কলকব্জা (১) শেষ পর্ব শরীরের যত কলকব্জাঃ উপসংহার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।