আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাত শিবিরের তান্ডব নিয়ে ব্যস্ত সবাই। কিন্তু বাংলাদেশের সামুদ্রিক ইতিহাস ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে কারো চিন্তার সময়টাও নেই!!

চাচা চৌধুরীর মগজ কম্পুটারের চেয়েও প্রখর ভিডিও লিংক- View this link কি ছবি দেখে ভাবছেন ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের কালরাত্রির? নাহ এই ছবি স্বাধীন বাংলাদেশের। ছবিটি ৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাত্রির না হলেও ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঘটে যাওয়া নির্মম এক ঘটনার স্বাক্ষি। অপারেশন সার্চ লাইটের মত এদিন বাঁশখালী ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী আলী আকবর ডেইল নামক এলাকা থেকে বাংলাদেশের ৩১ জেলেকে ধরে নিয়ে দস্যুরা তাদের মাছ, মাছ ধরার ট্রলার এবং অন্যান্য সামগ্রী লুট করে পৈশাচিক ভাবে হত্যা করা হয়। তাদের প্রত্যেককে পিছমোড়া করে হাত-পা বেধে গভীর সাগরে নিক্ষেপ করা হয় যাতে সাঁতরে বাঁচতে না পারে। জেলেদের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ২৬ মার্চ দৈনিক আমার দেশ প্রথম রিপোর্ট করে।

কিন্তু তাতে কেউ কর্নপাত করেনি। হয়ত আমার দেশ না করে প্রথম আলো করলে প্রশাসনের টনক নড়তো। ঘটনার প্রায় ১ সাপ্তাহ পার হলেও বাংলাদেশের নৌ সীমা পাহাড়ার দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ড ঘুমিয়ে ছিল। তাদের জানায় ছিলনা এই তথ্য। পরবর্তীতে অন্যান্য মিডিয়ায় জেলে নিখোজ নিয়ে প্রতিবেদন শুরু করলে কোস্টগার্ড এবং প্রশাসনের টনক নড়ে।

কিন্তু ততদিনে নিরীহ এই জেলেদের শরীর পঁচে-গলে বঙ্গোপসাগরের মাছের খাবারে পরিনত হয়েছে। আজকে যখন আমরা কুতুবদিয়া বাতিঘর থেকে প্রায় ৬ নটিকাল মাইল পশ্চিমে গভীর বঙ্গোপসাগরে যায় তখন সেখানে এসব লাশ দেখতে পায়। আঁতকে উঠেছিলাম। হয়ত দুর্বল হার্টের হলে মারাই যেতাম। উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ বাঁশখালী থেকে আল্লারদান-১, আল্লারদান-২ ও মোক্তার ফিশিং নামের ৩টি ট্রলারে করে মোট ৩১ মাঝি সমুদ্রে মাছ ধরতে যান।

একদিন মাছ ধরার পর ২৬ মার্চ গভীর রাত থেকে ট্রলার তিনটি নিখোঁজ হয়। চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী আলী আকবর ডেইল নামক এলাকার পশ্চিম-উত্তর বঙ্গোপসাগরের ৬০ কিলোমিটার গভীর থেকে প্রথমে তিন জেলের লাশ উদ্ধার করা হয় সোমবার। এর একদিন পরই একই এলাকা থেকে জলদস্যুদের হত্যাকাণ্ডের শিকার আরও ১৭ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। এ নিয়ে উদ্ধার করা লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। এখন পর্যন্ত ১১ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, “এ অঞ্চলে রহিমা ডাকাতের মুক্তাঞ্চলের ঘটনা এলাকায় ওপেন সিক্রেট। তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জল ডাকাত বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। অথচ কেউই মুখ খোলার সাহস পর্যন্ত পান না। ” তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এ কাজে সহায়তা করে পুলিশ। কুতুবখালীতে একটি পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না।

” সুত্র- View this link ভিডিও লিংক- Click This Link  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.