জামাতে ইসলামী ৭১ এ রাজাকারি করেছে আমরা তা জানি, আমরা এও জানি জামাতের বাইরেও অগণিত রাজাকার রয়েছে। তবে এ কথা সত্য যারা মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট রাজনীতি করেছে তারাই গনিমতের অংশীদার হওয়ার লোভ সামলাতে পারেনি!!! এই দেশে মাদ্রাসা আবার দু কিছিমের (১) আলিয়া মাদ্রাসা যা সাধারণ শিক্ষা মানের আর এর ছাত্ররা ৯৯% জামাত পন্থি। (২য়) টি হল খারেজি/দেওবন্দি বা কওমি মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসার ছাত্র হল ফজলুল হক আমিনি ইনি ইসলামী মোরচা'র প্রতিস্থাতা প্রধান ও ইসলামী ঐক্য জোটের একাংশের প্রধান, সাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক খেলাফত মজলিসের প্রধান ও ইসলামী ঐক্য জোটের মূল অংসের প্রধান যা বর্তমানে আমিনির চাপে দুর্বল, বর্তমান চরমুনায়ের পির ও ইসলামী আন্দলনের আমির ফয়জুল করিম। ৭১ পরবর্তী সময়ে তাদেরও রাজনীতি বন্ধ ছিল, গণতন্ত্র কুফর এই নিয়ে ফেঁকড়াও ছিল।
তারপর হাফেজ্জি হুজুরের হাত ধরে এরশাদ সাহেবের আমলে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতির প্রকাশ বিকাশ শুরু । এরা সাধারণত জামাত ও আওয়ামী লিগ বিরধি। জামাতের সাথে তাদের ইসলামের ব্যাখ্যা নিয়ে আর লিগের সাথে ৭১ নিয়ে। এই পাকিস্তান ছিল কওমি মাদ্রাসার কাছে 'হাম কেয়া চাহতে হেই? আজাদি ! আজাদি কি মতলব কেয়া ?লা ইলাহা ইল্লাল্লা' র দাবি বাস্তবায়নের স্থান। কিন্তু পাকিস্তান হওয়ার পরে এই দেওবন্দি/কওমি মাদ্রাসা ওয়ালারা হতাশ হয়ে পরে কারন পাকিস্তানে ইসলাম হয়ে গেল 'দিল্লি বহুত দূর আস্ত'।
আর যখন ৭১ শুরু হল তখন তাদের মাথায় শরিয়তি বাজ পড়লো! হায়! আজাদির মতলব তো নাই এখন বুঝি ইমান ও গেল। তখন তাদের শুরু হল বাংগালি হয়েও বাঙালি মুসলিমের বিরুদ্ধে গনিমত গনিমত খেলা। এই কওমি মাদ্রাসার মৌলভিরা এখনো ৭১ এর পাকিস্তানি ব্যাখ্যায় বিশ্বাস করে। জাতিও সঙ্গীত কে মালাউনি সঙ্গীত বলে। জাতিও দিবস গুলো ইসলামী ঐক্য বিরধি তাই স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে তারা যথারীতি ক্লাস চালু রাখে।
তবে বর্তমানের তরুণ মাদ্রাসা ছাত্ররা এই লাল সবুজের পতাকাকে কৌশলী ভাবে স্পর্শ করেছে, তারা এই পতাকাতেই 'ইসলামী চাঁদ তারা' বসাতে চায়। কিভাবে? হরকাতুল জিহাদ ও জেএমবি তার নমুনা। আর জামাত মানেই রাজাকার অন্য কোন মতের ও পথের কেউ রাজাকার ছিলনা এমন একটা বাতাস ছড়িয়ে দেয়ার দায় আওয়ামী লিগ ও শেখ হাসিনা এরাতে পারেনা। আর জামাত বাদে রাজাকার খুজতে গেলে কি লীগ ও হাসিনা ফেসে যেতে পারে? কিন্তু কি ভাবে? আসুন আমরা দাবি তুলি 'এক এক করে সব রাজাকার খুজে ফাসিতে ঝুলাও' দেখবেন এতে অনেকেই অস্বস্তিতে পরবে। আসলে হাসিনা শুধু মাত্র রাজাকার বলে জামাত নিধন না করে জামাত কে দুর্বল করতে চায়।
এতে বুঝা যায় হাসিনা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে বেস পটু! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।