নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই [জামায়াতে ইসলামী দাবী করে তারা বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অথচ তাদের অনেক কার্যক্রম সরাসরি ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক (অন্তত আমার কাছে মনে হয়েছে)। সেই বিষয়গুলিই আমি তুলে আনার চেষ্টা করেছি। আশা করি এ বিষয়ে সবাই সঠিক মতামত দিবেন। ]
জামায়াতে ইসলামী সাধারন জনগনের কাছে যে প্রশ্নের সম্মুখিন সবচেয়ে বেশি হয় এবং যে উত্তর দিতে তাদেরকে বেশি বেগ পেতে হয় তা হলো মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবস্থান।
কোথায় পড়েছি ঠিক মনে নেই তবে একজন জাময়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ৭১ এ জামায়াতের অবস্থান এভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছে যে বঙ্গবন্ধুর বাকশাল কায়েম যেমন বঙ্গবন্ধুর একটি রাজনৈতিক ভুল তেমনি ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান জামায়াতের একটি রাজনৈতিক ভুল, যদিও তারা মনে করে তাদের এ অবস্থানের পেছনে যৌক্তিক কারন ছিলো।
এ সম্পর্কে আমার অবস্থান-
জামায়াতের একটি ধারনা বা আশংকা ছিলো যে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গেলে বাংলাদেশ ফুটন্ত তেলের কড়াই থেকে বাচার জন্য লাফিয়ে জ্বলন্ত চুলায় পড়বে। কথাটি অনেকাংশেই ঠিক, যা বর্তমান ভারতের কার্যক্রমে আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু এটিও ঠিক বাঘের লেজ হওয়া অপেক্ষা বিড়ালের মাথা হওয়া ভালো। একটি বৃহত দেশের লেজ হিসেবে থাকার চেয়ে ক্ষুদ্র একটি স্বাধিন দেশ হাজার গুনে ভালো।
যেখানে দেশের সিংহভাগ জনগন দেশের স্বাধিনতার জন্য লড়ে যাচ্ছে সেখানে জামায়াত তার অবস্থান বিপরতিমুখি করে মুলত এই সিংহভাগ জনগনকেই অবজ্ঞা করেছে। আর স্বাধিনতা পরবর্তী সময়ে পূর্বের অবস্থান ব্যাখ্যা না করা বা ক্ষমা না চাওয়া তাদের মুর্খতা এবং গোড়ামী বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। বিষয়টি এমন আমরা যা করেছি ঠিক করেছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।