আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাখিটা..

সাপের শরীর হয়ে আঁধারের গাছ/ কুয়াশার বন্যায় ডুবো দেবী মাছ! মনটা ভাল নেই। মাথায় কঠিন কঠিন সব কথা ঘোরে। আমার কাছের বন্ধুটন্ধু খুব কম। কম কারন মানুষ হিসেবে আমি খুব স্বার্থপর। বন্ধু হিসেবে আর যাই হোক কেউ স্বার্থপর কাউকে আপন করবেনা এটা জানা কথা।

সকাল বেলায় উঠেই কেমন যেন একটা সকালের মনমরা মুখ মনে পড়লো। লিখতে ইচ্ছে করলো। ''বন্ধ সকাল জন্মান্ধ নাগরিকের মত মনটাকে খারাপ করে। কাউন্ট ডাওন শুরু হলে দিন তার খাতা খুলে বসে। প্রেস ব্রিফিং এ সকাল জানায় গত রাত থেকে তার বনে চৈতালী হরিন।

ফড়িং সময়ের পাতা খসে একাকার। ভেতরে মুখ ঢুকিয়ে কুরকুর করে জল কুরে খায়। জলের রক্ত হাত ভরে মেহেদির মত মাখে! সকাল হাত নেড়ে জনতাকে দেখায় তার অবরোধ। উজবুক প্রেমিকের মত আর ভুল করবেনা বলে চোখ বুঁজে রাখে দিনমান। পেছন পেছন মাইক্রোফোন হাতে টিভি সাংবাদিকেরা নিউজের পিছে জীবন বাজী রাখছে।

ডিপোজিটে রাখা সকল মন্দবোধ! সকালের শখটা তুলোট মেঘের মত আলতো করে রাখা। কবে থেকে সে ভাবে, সংবাদপাঠিকার ঠোঁটে চুমু হবে। হবে হারমোনিকা!'' একেকটা দিন ঘটনা বহুল হবে এটাই স্বাভাবিক। আমি ঘটনা উপভোগ করি। যেদিন বাবু হারিয়ে গেল সেদিন হারিয়ে যাওয়া নিয়েই একটা গল্পের প্লট মাথায় ঢুকলো।

অস্বাভাবিক হয়ত এটা যে সে হারিয়ে গেছে, আমার ভেতর থেকে দুমড়ে মুচড়ে কান্না আসছে আমি কাঁদছি। চিৎকার করে স্বচ্ছ বলে ডাকছি। পাহাড়ে প্রতিধ্বনি হয়ে ওর নাম ফিরে আসছে আমার কানে । এতকিছুর মধ্যে আমি গল্প পাবার যে অন্যরকম আনন্দ সেটা অনুভব করছি। লেখাটা আমি মাথায় নিয়েই ঘুরি।

অপরাধ বোধ কাজ করে বলে লিখে ফেলতে পারিনা। আজ সন্ধ্যায় পাশের বাসায় মিলাদ ছিল। মৃত্যুর চল্লিশ দিন উপলক্ষ্য! এই মৃত্যুর কথা আমি ভাঙা পেন্সিলে লিখতে চেয়েছিলাম। উনি তখন একটা চরিত্র। আমি মৃত মানুষটার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

আনন্দে চোখ চকচক করছে। কারন এখানে একটা গল্প আছে। গল্পটি এইরকম যে মৃত্ মানুষটি ঘুমিয়ে আছে বলে তার সন্তান ঘরে এসে বারবার ঘুরে যাচ্ছে । এ সময় রোজ ঘুমায়। তার ওষুধ তার নরম খাবার রেডি।

সে ভাবলো অনেকক্ষন ঘুম হয়েছে। ওষুধ খেতে হবেতো! মিলাদ থেকে ফিরে এলাম। বাবু দরজা খুলেই আমাকে দেখে শুরু করলো কান্না। আমি বললাম কি হয়েছে। সে গেস্ট রুম দেখিয়ে বলে দেখো এ ঘরে কে আছে! আমি দরজা খোলার চেষ্টা করছি।

দেখি ভেতর থেকে লক। জোরে জোরে দরজায় দু তিনটা লাত্থি দিলাম। দরজা কেন খোলেনা! অসীম আমার ধাক্কাধাক্কির শব্দ পেয়ে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই বললাম দেখো তো ঘরে কে। সে কিছুক্ষন দরজা ঝাকালো। এই কে আছিস খোল! খুলতেই দেখি কেউ নাই।

বাবু কিন্তু তখনো কাঁদছে। আমি বললাম কই কেউ তো নাই। সে ঘরে ঢুকে দরজার কোনা দেখিয়ে বলে আছে আছে এই যে। দেখি কোনায় ১৪/১৫ বছরের একটা ছেলে! ওর কলার ধরে হিড়হিড় করে টেনে আনলো অসীম। আমি সাথে সাথে ওর হাতটা ধরসি।

হঠাৎ বেকুবের মত মনে হল যদি আত্মরক্ষার কথা ভেবে ছুরি টুরি বের করে! কি হবে তখন! আমি হাত ধরে আছি। অসীম তাকে জেরা করছে। সে বলে উল্টাপাল্টা! কে তুই। এখানে কেন! বলে আমি বেড়াইতে আসছি। আমি হাত ধরে আছি আর অসীম তারে মারতেছে।

আমি তার অপরাধের কথা ভাবছি বলেই হয়ত তখন আমার ভেতরটা শক্ত হয়ে গেছে! নিষ্ঠুরের মত তাকে মারতে দেখলাম। পরে শুনি কি সে এবনরমাল একজন। স্বাভাবিক বিকাশ হয়নি বয়স হওয়ার পরও। শরীর বেড়েছে শুধু! পাশের ফ্ল্যাটের এক মহিলার বোনের ছেলে। কিন্তু সে আমার বাসায় কেন আর দরজা ভেতর থেকে লাগালো কেন! আমার ল্যাপটপে বসে সে সাউন্ড কমায়া দিয়া ভিডিও ক্লিপ চালিয়েছে।

আমাকে আসতে দেখেই দরজা বন্ধ করেছে। ওফ কি সাংঘাতিক! বাবু তারে নিয়ে এসেছে আর আমারে দেখেই কান্না! এটা কি গাধামি নাকি ঢং ভাবছি। নিজেকে খুব অপরাধী লাগছে। একদিন বৃষ্টিধারার এবঙ বাবুটার জন্য এ ছড়াটা লিখেছিলাম। মন ভাল হয়ে যায় পড়লেই।

পড়লাম আর পড়লাম। আজকের দিন শেষ প্রায়! ভাল লাগছেনা এখনো। পাখিটাকে ফুলের মত লাগে মাঝে মাঝে তারা পাশাপাশি দুটো গাছ পাথর কি তাহারা! পাখিটাকে পাখির মত লাগে মাঝে মাঝে নদী পাশাপাশি দু পাহাড়ে উড়ে যায় যদি! পাখিটা উড়ে যায় পাখিটা হাসে পাখিটা হাসলেই রঙ... পাখিটা আমাদের এবং! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।