আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"পাখিটা বন্দী আছে দেহের খাঁচায়" (১)

জীবন গঠনে নিজেস্ব প্রতিক্রিয়ার দায় বেশি, ঘটে যাওয়া ঘটনার ভূমিকা সামান্য।

ইদানিং বাউলা গান খুব ভালো লাগছে। আইপডে রিপিটে দিয়ে 'তুই যদি আমার হইতি রে' কিংবা 'মরিলে কান্দিস না' শুনছি। হঠাৎ মনে পড়লো মাটির ময়নার গানগুলো ভালো লেগেছিল। ডিভিডি ঘেটে শিরোনামের গানটা বের করলাম।

"পাখিটা বন্দী আছে দেহের খাঁচায়, ও তার ভবের বেড়ী পায়ে জড়ানো, উড়তে গেলে পড়িয়া যায়... পাখিটা... .... মাটির তৈরি ময়না বলে, 'তাইলে কেনে মনটা দিলে, না দিলে জোড় যদি ডানায়', পাখিটা বন্দী আছে দেহের খাঁচায়" ভীষণ ভালো লাগল গানটা। গানটা শুনতে শুনতেই নিউরোসাইন্টিস্ট আমার মাথায় এনাটমি আর ফিজিওলজি ঘুরছিল। দেহ খাঁচার কিছু নিয়ম আছে, যেগুলোর কাছে মন পাখি বরাবর বন্দী। সেই আ-দি-ম যুগের, ফল মূল খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষের মনগুলো যেমন বন্দী ছিল, এখন ইন্টারনেটে চড়ে বেড়ানোর মানুষেরা মনও তেমন বন্দী। দেহ খাঁচাটা সব যুগে মন পাখিকে একই ভাবে খেলিয়ে বেড়ায়।

আগ বাড়িয়ে এমন সব মাতবরি করে, যাতে কখনও মন পাখিটা বেঁচে যায়, কখনও বিব্রত হয়, নিদারুণ লজ্জা পায়। এনাটমি পড়ার আগে এভাবে কখনও ভেবে দেখা হয় নি। গানটার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষন আমার খুব মনে ধরেছে, তাই ভাবলাম, একটু একটু করে ব্লগারদের কাছে ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দেই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।