থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
কপি-পেস্ট করতে বাধ্য হলাম।
মূল লেখা Click This Link
সরকার ভারতকে খুশী করার জন্য বলছে তারা ধর্মনিরপেক্ষ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- দেশে ফসল ভাল হয়েছে তার মা দূর্গার কল্যাণে। মা দূর্গা সদয় হয়েছিলেন, তিনি হাতিতে চড়ে এসেছিলেন বলেই বাম্পার ফলন হয়েছে।
বাংলাদেশে এখন সরকারি উদ্যোগে তোড়জোড় চলছে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠার।
ভারতকে খুশী করার জন্য নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সংবিধান থেকে ইসলামকে বাদ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু ভারতের অত্যন্ত উগ্র ধর্মীয় দল হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি । যারা আগে ক্ষমতায় ছিল, বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল ; যাদের একটি বড় কম্পোনেন্ট অংশ হচ্ছে শিব সেনা - যারা মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিল। তারা মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করেছিলো এই কারণে যে তিনি পরমতসহিষ্ণু ছিলেন।
হিন্দু-মুসলিম সকলের মতের প্রাধান্যের কথা বলতেন। কিন্তু শিব সেনাদের সেটি সহ্য হয়নি; ফলে তাকে হত্যা করা হয়।
ভারতের মত দেশে বিজেপির মতো উগ্র রাজনৈতিক দল রয়েছে, যারা ক্ষমতায় ছিল এবং খুব সম্ভবতঃ আবার তারা আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসবে।
অথচ বাংলাদেশের সরকার সেই ভারতকে খুশী করার জন্য বাংলাদেশের অনেককে মৌলবাদী বলছে। অনেককে সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে।
সন্ত্রাস দমনের নামে বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা চলছে। আর সরকার যত বেশী মা দূর্গা দূর্গা করবে, রামকৃষ্ণ মিশন সৃষ্টি করতে চাইবে এবং উগ্র সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠা করতে চইবে- বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তত বেশী ক্ষুব্ধ হবে। কারণ, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অত্যন্ত ধর্মভীরু। তাদের ধর্মের ওপর যদি কোন আঘাত আসে তবে তারা কোনমতে সহ্য করবে না।
১৯৭৩~৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে টলিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিল মতিয়া-ইনু-মেননরা। তাদের এক নেত্রী এখন সরকারের মন্ত্রী। সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে ফাঁসিতে প্রাণ দিয়েছিলেন আবু তাহের -- তিনি এখন একজন জাতীয় বীর।
যদি ভারতের ইতিহাস এই দেশে পুনরাবৃত্তি হয়, তা হলে বলতে হবে যে মৌলবাদী যাদের বলা হচ্ছে আজকে, তারাই এক সময়ে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর সাথে হাসি মুখে ছবি তোলার জন্য "পোজ" দিবে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।