আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাতটা ভালোভাবেই পুড়েছে!

না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ] ১৯ জানুয়ারি ২০১২ বৃহস্পতিবার রাত্র ১০:১৩ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা প্রিয় মৃন্ময়ী, চরম বিরক্ত। বাসার সামনে মাদ্রাসা + এতিমখানা।

সেখানে মাহফিল চলছে। বিকট আওয়াজ। কান একদম ঝালাপালা। মাইকের শব্দই বিরক্তিকর। উফফ! একই যন্ত্রণা যখন আমাদের বাসার পাশের মসজিদে আযান দেয়।

আমি ছোটোবেলা থেকেই আযান পছন্দ করি। বিশেষ করে দাদুর বাসায় ঘুমানোর সময় ফজরের আযান প্রচন্ড ভালো লাগত। কিন্তু বাসার পাশের মসজিদে যিনি আযান দেন, তার আযান মোটেই শ্রুতিমুধর নয়। মাইকের আওয়াজ চরম কর্কশ। ২. একটি অদ্ভুত ব্যাপার হলো, পরাপর তিনটি বছর আমাদের রেজাল্ট মার্ক শীট তখনই দেয়া হয়েছে যখনই মিমকে নিয়ে আসতে অথবা পৌঁছে দেবার জন্য বনানী আর্মি স্টেডিয়াম গিয়েছি।

প্রতিবারই কামাল আমার মার্ক জেনে তারপর জানিয়েছে। মোহনাও একবার জানিয়েছিল। অনার্স ফাইনালের মার্ক শীট দিয়েছে আজকে। আমি মিমকে পৌঁছে দিতে আর্মি স্টেডিয়ামে যাওয়ায় ডিপার্টমেন্টে যেতে পারিনি। কামাল জানালো আমি নাকি ১২৩৫ মার্কস পেয়েছি।

অর্থাৎ ৫৩.৭০% মার্কস। কামাল পেয়েছে ১২৭৫ মার্কস। ওর মার্কস ৫৫% এর উপর। মোহনা পেয়েছে ১২৩৭ মার্কস। চতুর্থ বর্ষে মোহনা পেয়েছে ৩৪২ আর কামাল পেয়েছে ৩৩৮।

অথচ আমি নাকি পেয়েছি মাত্র ৩১৫! অবশ্য এই প্রাপ্তিই বোধহয় অনেক বেশি যেহেতু তিনটি পরীক্ষায় প্রায় ৩টি প্রশ্ন আমি ছেড়ে আসছি। হাতটা খুব ভালোভাবেই পুড়ল। চরম বাজে রেজাল্ট যদিও এটাই প্রত্যাশিত। রুহিনের মার্কও ৫৫% এর উপর। আমারটা একদম বেশি বাজে হয়ে গেল! ৩. মিম আজকে চলে গেল।

আম্মু-ভাইয়া ১৫ জানুয়ারি গেছেন। বাসায় এখন আবার একা। মন-মেজাজ বিক্ষিপ্ত। কী করব, বুঝে উঠতে পারি না। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, অধিকাংশ সময় আমি মৃত্যু নিয়ে ভাবি।

বারংবার শুধু মনে হয় আমার মৃত্যু হবে এক সময়! অবধারিত মৃত্যু! এজন্য জন্মকেই এক আজন্ম পাপ মনে হয়! যে পাপের শাস্তি অবধারিত মৃত্যু। বয়স ২৫ চলছে। অথচ এখনো তেমন কিছু করে উঠতে পারলাম না। স্রষ্টা, তুমি আমার সহায় হও। অন্তত হতাশা যেন আমাকে গ্রাস না করে! অবশ্য এরকম হবার একটা বড় কারণ সম্ভবত একা-একা থাকা।

সারাক্ষণই একা-একা থাকি। ক্যাম্পাসটুকু বাদ দিলে পুরোটা সময় বাসাতেই কাটাই। একাকী। একটা কথা আছে না! অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। ৪. দেশের অবস্থা বেশি ভালো না।

দেশের সার্বিক অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাজনৈতিক অবস্থাও আস্তে আস্তে উত্তপ্ত হচ্ছে। এদিকে আজকে তো বোমাফাটানো সংবাদ ব্রিফিং করেছে সেনাবাহিনী। বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য সেনাবাহিনীর কয়েকজন সাবেক এবং বর্তমান কর্মকর্তা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর হাইকমান্ড ব্যাপারটা আগেই জানতে পেরে পুরো প্রক্রিয়া নস্যাৎ করে দেয়।

দুজন সাবেক কর্মকর্তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বর্তমানে একজন মেজর পলাতক আছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথম এ ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন করা হলো যেখানে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার বিষয় জনগণের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। নি:সন্দেহে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।