আমার কিছু বলার ছিল পবর্তের কাছে একটি সমুদ্র নাকি সমুদ্রের কাছে একটি পবর্ত? কিভাবে বলব বুঝছি না। যাই হোক, প্রতিদিন সেই সমুদ্রের পানি রোদ্রের কারণে বাষ্প হয়। সেই বাষ্প ঠান্ডা হয়ে ছোট-ছোট জলকণা এবং তারপর তা হতে মেঘের সৃষ্টি হয়। এটা কমন কেইস। প্রতিনিয়তই এ ঘটনা ঘটে চলছে।
কিন্তু একদিন হল কি, একখন্ড মেঘের প্রতি রোদ্রের অনেক মায়া হল। সে তাকে বাতাসে ভেসে অন্যত্র যেতে দেবে না। সে যে ভালবেসে ফেলেছে তাকে! রোদ্র চায় না মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে যাক। সে মেঘকে খুলে বলে তার ভালবাসার কথা। সব শুনে মেঘও না করতে পারলো না।
দুজন হয়ে গেল দুজনার।
কিন্তু চলমান নিয়ম ভাঙ্গা কি এতোই সোজা! মেঘ হয়ে যে জন্ম নিয়েছে, তাকেতো ভেসে যেতেই হবে বাতাসের টানে! ঝড়ে পরতে হবে বৃষ্টি হয়ে।
আজ মেঘের ভেসে যাওয়ার দিন। সব শুনে রোদ্র বলল সে মেঘকে নিয়ে পালিয়ে যাবে। মেঘ যেন তার জন্য সেই পবর্তে উপর অপেক্ষা করে।
অপেক্ষা করতে করতে মেঘ জমে বরফ হয়ে গেল। অবশেষে রোদ্রের আসার সময় হল।
রোদ্র আসাতে তার তাপে মেঘ গলতে লাগলো। রোদ্র যত এগিয়ে আসছে মেঘ তত গলছে। এদেখে তাকে বাঁচাতে রোদ্র আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসতে লাগল।
ফলে মেঘ আরও দ্রুতগতিতে গলে ঝঢ়ণা হয়ে নেমে গেল তার জন্মস্থানে। মিলন হল না মেঘ-রোদ্রের!!!
হয়তোবা ভালবাসার পরিমানটা বেশি ছিল বলেই সহ্য করতে পারেনি মেঘ। ফিরে গিয়েছিল মাতৃগর্ভে। এই ভালবাসার সাক্ষী হয়ে আজও রয়েছে সমুদ্রের ধারের সেই পবর্ত হতে নেমে আসা ঝঢ়ণা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।