আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেঘবালিকা

ক্লান্তি মোর ক্ষমা কর প্রভু

আমায় চিনতে পেরেছ? কি ব্যাপার, সবাই এমন ভ্রু কুঁচকে তাকাচ্ছ কেন?আরে আমি মেঘবালিকা। সেই মেঘবালিকা যে প্রতিদিন সকালে তোমাদের আকাশে ছোট বড় হাজারো মেঘের ভেলা ভাসিয়ে দিত। সূর্যটাকে ডেকে আনত তোমাদের আলো দিবার জন্যে। আর যদি কখনো সূর্যদেব রেগে আগুন ঢেলে ধরণীর সবকিছু পুড়াতে চাইত তবে তখন পাখা দিয়ে তোমাদের আড়াল করতাম আমি। দেখ, আমার গায়ে কত পোড়া দাগ।

তাও কোন দিন তোমাদের পুড়তে দেই নি। কি হল হাসছ যে খুব? আমার কথা বিশ্বাস হয় না বুঝি? আচ্ছা, তাহলে বলত, যখন সমস্ত পৃথিবী শুকনো খটখটে হয়ে যেত, একটু পানির জন্যে যখন সবার মাঝে হাহাকার দেখা দিত তখন কোথেকে আসত এই পানি? বৃষ্টি? আরে সে তো আমারই চোখের জল। তোমাদের কষ্ট দেখে যখন কেঁদে কেঁদে সূর্যদেবের কাছে মিনতি করতাম একটু নমনীয় হতে তখন আমার চোখের জলই বৃষ্টি হয়ে তোমাদের উপর ঝরত। আবার মনে কর গোধুলীর বেলায় নীল আকাশে এত রং কোথেকে আসত জানো? জান না বুঝি? আমার রঙের বক্সে একটু উকি দিয়ে আস জবাব পেয়ে যাবে। আমার কথায় খুব বিরক্ত হচ্ছ যে! খুব তাড়া বুঝি? হবেই তো, এখন যে আমার আর আগের সেই সৌন্দর্য নেই, সাদা মেঘের ভেলা বানিয়ে আকাশে ভাসিয়ে দিতে পারি না।

পারি না তারাদের মুঠোয় মুঠোয় ধরে এনে আকাশে ছড়িয়ে দিতে। আর সব না হয় ভুলেই গেলে কিন্তু আমার ক্যানভাসটার কথা কি করে ভুললে? ওইটা না তোমাদের খুব পছন্দ? কত কবিতা না লিখলে গোধূলীর রঙচ্ছটা নিয়ে। আজ তবে সময়ের ফেরে সব মিথ্যা হয়ে গেল? দাঁড়াও দাঁড়াও, সামনের হাটবারে আমি আরো রং কিনে নিয়ে আসব। আরো সুন্দর করে রাঙাব আকাশটাকে। তখন আর আমায় ভুলতে পারবে না।

তার আগে এই কয়টা দিন না হয় তোমাদের আকাশে আমাকে একটু ঠাঁই দাও। একটানা উড়ে উড়ে আমি বড় ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, এবার একটু বিশ্রাম নিতে দাও।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।