আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাবির ভিসিকে চায়ের দাওয়াত করুন

একদিন জন্মের চিৎকারে পৃথিবীতে এসেছিলাম। আবার একদিন কিছু চিৎকারের মাঝ দিয়েই চলে যাব। (................................) ধরে নিন ব্র্যাকেটবন্ধী আছে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ গালি গুলো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি তার প্রিয় (?) ছাত্রদের কাছ থেকে এই গালিগুলোই হজম করেছেন। গতকাল মৌন মিছিলের সময় ছাত্ররা যখন রেজিস্টার বিল্ডিংয়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তারা সম্মিলিতভাবে থুতু নিক্ষেপ করে ভিসির প্রতি তাদের ঘৃণা জানিয়েছে।

এই ঘটনার পরও যদি কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি স্বপদে বহাল থাকার আকাঙ্খা পোষণ করে, তবে তাকে আর যাই হোক সুস্থ মানুষ বলা যায় না। আমাদের দেশে পদত্যাগের কোন ঘটনা নেই। গত তত্ত্ববধায়ক আমলে যারা পদত্যাগ করেছিলেন তারা ছিলেন রাষ্ট্রপতির চায়ের দাওয়াত ফেরত। এর অর্থ নিশ্চয়ই সবাই বুঝেন। সম্ভবত সেই সকল চায়ের দাওয়াতে সেনাবাহিনীর একটি করে বন্দুকের নলও ছিল।

মাননীয় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী পদত্যাগ করতে রাজি ছিলেন না। তিনি এই ক্ষেত্রে যে কোন অপমান মেনে নিতেও প্রস্তুত ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পরিবর্তন করে দিয়েও তার ব্যর্থতা বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনি আমাদের ভিসিকেও চায়ের দাওয়াত করুন। সাধারণ ছাত্রদের কোন বন্দুকের নল নেই।

কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলে সেই চায়ের দাওয়াতে সেনাবাহিনীর একটি বন্দুকের নলও রাখতে পারেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যুবায়ের নিহত হওয়ার ঘটনা দিন কয়েক আগের। এর মাঝে কিছু গ্রেফতার এবং কিছু বহিস্কারের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম দিনে ভিসি তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিস্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে আজীবন বহিস্কারাদেশ দিয়েছেন।

এর কিছুদিন আগে তিনি এক ছাত্রকে মাছ ধরার অভিযোগে বহিস্কার করেছিলেন ছয় মাসের জন্য। তার আগের সিদ্ধান্তের আলোকে যদি বিচার করি, তবে দুই বার মাছ ধরার সমান অপরাধ একজন মানুষকে হত্যা করা। জীবন যদি এতটা সস্তাই হয়ে যায় বাংলাদেশে, তবে এখানে বসবাস করাই তো বৃথা। নিরাপত্তাহীনতা আজ বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি কেবল এর প্রতীক মাত্র।

সারা দেশে যে ঘটনা গুলো প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে, তার এতটা আলোচনা কখনোই হয়নি (সম্ভবত তারা ছাত্র নয় বলেই)। আমরা জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনাটিরই কেবল বিচার চাইছি না, সকল অন্যায়েরও বিচার চাইছি। এর অন্যথা হলে, জনগণই কিন্ত বিচার করতে জানে। এর প্রমাণ তারা আগেও দিয়েছে। আর ছাত্রদের কথা বলছেন? প্রশাসন নিরব থাকলেও তারা নিরব থাকবে না।

এর প্রমাণ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পেয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা ছাত্ররা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তা যতটা তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করা যাবে ততই মঙ্গল। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.