আমার অনুভব লেখনীতে নয়, রঙ এর ক্যানভাস এ আঁকা তারপর ও লিখতে চাই দৈত্যকার রুপে রুদ্র মহাসেনের রুপকথায় গত চারদিন ধরেই বিভোর আমরা। আজই তার পদধ্বনি দেওয়ার পড়ছে। গল্পাতুর আমরা আজ মন চাইছিলই না অফিস যাই। তবুও মহশাশুরকে বরণ করতে সরকারের চাকর বলে যেতেই হলো। অফিসেও তো একজন মহাসেন আছেন!
ঝুপ বৃষ্টিতে আধভেজায় হাওয়ার গান শুনতে শুনতে অর্থনীতির দোকান খুললাম।
উফ! সবাইতো ভয় পায়নি দেখি!ব্যাংকের কাছে পিঠের লোকজন দূরের কাজ বন্ধ বলে পিঠের কাজে উপস্থিত। শুরূ হলো।
স্বয়ং দেবদৈত্য সকালে আসছেন বিকালে পেরোবেন বলে দুপুর ও গড়িয়ে এল। ছুটি নেই। বাতাস উড়িয়ে নিচ্ছে না,বৃষ্টি ঝাঁপিয়ে পড়ছে না বলে ছুটি নেই।
খবরে দেখি,ফেসবুকে ফাঁকফোকড় খুঁজি,গুগলে তো মাইক্রোস্কপ চোখ দিয়ে দেখছি কোথায় গেল মহাসেন। আমাদের ফাঁকি দিয়েই পালালো নাকি জলের দৈত্য!নাহ! তিনি নেই,গুজবে কিছুটা রেহাই মিললো।
বিকেল নাগাদ দোকানের ঝাঁপি বন্ধ হলো। ঘরে ফিরছি। জনার্কীণ রাস্তা পুরোই খালি।
দু'একটা গাড়ি ছুটছে। হাওয়ায় মুদু তালের সুর। রিকশা নয়,হাঁটছি....মেঘের রাজ্যে এই পথ খুব আপন মনে হচ্ছে। হাঁটছি..বৃষ্টির ছাঁট নেই। কেমন যেন মাদকতায় হাওয়ার দোল।
মানুষের ভোরের আতংক ও দেখি ঘণ মেঘের মুগ্ধতায় রুপ নিয়েছে।
এখন কৃষ্ঞচূড়ার ভরা বর্ষা। পথে পথে সিঁদুর ফুল ছড়িয়ে আছে। বাতাসের তোড় ও বাড়ল কিছুটা,গাছের ফাঁকে..পাতার ফাঁকে আলোর ব্যঞ্জন। ইচ্ছে হচ্ছে হাওয়াকেই ক্যানভাস বানিয়ে ছবি এঁকে ফেলি।
মেঘে মাতাল বিকেল।
আজ কিছুতেই ঘরে ফেরার দিন নয়। আজ উতল হাওয়ার দিনে হারানোর দিন। আসুক জলের দৈত্য...................... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।