আবল তাবল ৬৯ জাপানের ইয়োকোহামা শহরে চালু হয়েছে শুধু মৃতদের জন্যই একটি আবাসিক হোটেল! ভাবছেন এমন আজব কাণ্ড করার কারণ কী_জাপানে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি। সরকারি রেকর্ড অনুসারে ২০১০ সালে এ দেশে মারা গেছে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ। এই সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ৫৫ হাজারেরও বেশি। সরকারি হিসাবে গত এক দশকে গড়ে প্রতিবছর ২৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে সে দেশে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০৪০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা গিয়ে পেঁৗছবে ১ দশমিক ৬৬ মিলিয়নে।
বছর বছর এত মানুষ মারা যাওয়ায় জাপানে মৃতদের সৎকার করাটাই খুব সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি মৃতদেহ সৎকারের জন্য আত্মীয়স্বজনকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে গড়ে কমপক্ষে চার দিন। তাদের এই দুর্ভোগের কমাতে এবং বিষয়টির ব্যবসায়িক দিক মাথায় রেখে অন্য রকমের এই হোটেলটি চালু করেছেন হিসায়োসি টিরামুরা। তিনি হোটেলটির নাম দিয়েছেন 'জাপানি পিশাচ হোটেল'।
পাঁচতারা মানের এই হোটেলের প্রতিটি রুমেই বসানো আছে একটি করে কফিন।
সুসজ্জিত কফিনগুলো দেখতে নরম পালকের বিছানার মতো মনে হলেও আসলে এগুলো একেকটি হিমায়িত চেম্বার। কেমন চলছে হোটেল_স্থানীয় এক পত্রিকার সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে টিরামুরা বলেন, 'না জেনে অনেক দম্পতি হোটেলে থাকার জন্য রুমের খোঁজ করেন। বাধ্য হয়ে তাঁদের বলতে হয়_আমার এখানে শুধু ঠাণ্ডা রুম আছে। ' সত্যিই এই হোটেলের প্রতিটি কক্ষের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় হিমায়িত কফিনে সুন্দর সেলাই করা জামা পরিয়ে সংরক্ষণ করা হয় মৃতদেহ।
হোটেলের প্রতিটি রুমের ভাড়া প্রতি রাতে ১৫৭ ইউএস ডলার বা ১২ হাজার ইয়েন। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি_মৃত মানুষটিকে ঠিক ঘরোয়া পরিবেশেই রাখা হয় এখানে। প্রিয়জনদের লাশটি যেন শান্তি পায় সে জন্য প্রতি সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনা সভার। মৃতের আত্মীয় বা বন্ধুরা যেকোনো সময় এসে তাঁকে দেখতে ও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন। তবে এ জন্য তাদের প্রবেশ করতে হয় একটি প্রদর্শনকক্ষে।
সজল সরকার ও নূরে জান্নাত
লিংক দিলাম-
Click The Title ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।