একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
ছমেদ চাচা খুবই সাহসী লোক। প্রতিদিনই বাজার থেকে বাড়িতে ফিরতে রাত হয়। বাড়িতে যাওয়ার মতো উনার কোন সঙ্গী থাকেনা। তাই তিনি একাই বাজার থেকে রাতে বাড়িতে যান।
আজকেও বাজার থেকে বের হতে হতে রাত বারোটা বেজে গেলো। ঘুটঘুটে অন্ধকার। এর মাঝে আবার আকাশে বিদ্যুত চমকাচ্ছে। ছমেদ চাচা লুঙ্গিটা কাছা মেরে আল্লাহর নাম নিয়ে বাড়িতে রওনা হলো।
ছোট ছেলেটার মুখটা আজকে অনেকবার চাচার মনে পড়েছে।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ডাইরিয়ায় ছেলেটা মারা গিয়েছিলো। ছেলের শোকে অনেকদিন ছেলের মা অসুস্থ ছিলো। ছমেদ চাচাও অনেকবার ছেলেটাকে স্বপ্ন দেখেছে। খুবই সুন্দর ছিলো ছেলেটা।
ছমেদ চাচা একটা বিড়ি ধরালো।
হাতের টর্চলাইট টা আজকে বেশী ব্যাবহার হইতেছে। একেতো বিকট অন্ধকার তারমাঝে আবার মাঝে মাঝে বিদ্যুত চমকানোতে দৃষ্টি বিভ্রাটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পরিষ্কার ধারনার জন্য বারবার টর্চলাইট টা ব্যাবহার করতে হচ্ছে। এই যেমন কিছুক্ষণ আগে বিদ্যুত চমকানোর আলোতে রাস্তার পাশে একটা মানুষের মতো কি একটা শুয়ে থাকতে দেখেছে। কিছুটা চমকে গিয়ে টর্চলাইট দিয়ে ভালো করে তাকিয়ে দেখে না একটা কলা গাছের ভগ্নাংশ পরে আছে।
কতবার চাচী নিষেধ করেছে এত রাত করতে। কিন্তু চাচা শোনেনা। চাচী ছমেদ চাচাকে বলে বাড়ির পাশটায় যেখানে বাঁশঝাড়ের নিচটার কবরস্থান সেখানে নাকি অনেকেই রাতে অনেককেই হাটতে দেখেছে। এইতো কিছুদিন আগে পাশের বাড়ির গফুর চাচারে কে জানি বাড়িতে ডাক দিলো?চাচা দরজা খুলতেই দেখে কিছুদূরে একজন আবছা আলোতে দাঁড়িয়ে আছে। চাচা উনার কাছে যাচ্ছে উনি পিছনে যেতে যেতে গোরস্থানের মাঝে চলে গেলো।
পরে গফুর চাচা নাকি অজ্ঞান হয়েগিয়েছিলো।
ছমেদ চাচাও বাঁশঝাড়টার নিচে এসে পড়েছে। ছমেদ চাচা এইসবকে থোরাই কেয়ার করে। আসলে চাচার দুর্দান্ত সাহস। বাড়ির দিকে মুখ করেও চাচা থমকে দাঁড়ালো।
দুমিনিট ভেবে চাচা গোরস্থানের দিকে রওনা দিলো। ভাবলো ছেলেটার কবরটা আজকে দেখে যাই। ছেলেটার কবরের কাছে যেতেই মনে হলো কি যেনো কবরের পাশে বসে আছে। ছমেদ চাচা ভাবলো শিয়াল হবে বুঝি। তাই হাতের টর্চলাইট টি মেরে হুশ করতেই দেখে তার ছেলে তার দিকে ভয়ার চোখে তাকিয়ে আছে।
ছমেদ চাচার শরীর বেয়ে ঘাম ছুঁটে গেলো। উনি সূরা-কালাম পড়া শুরু করলো। এবং টর্চলাইট টি ধরেই রাখলো। ছেলেটি এক দৌড়ে পাশে থাকা একটা তালগাছে বেয়ে উঠতে লাগলো। চাচা বুঝতে পারলো এবং পিছনে পিছনে যাওয়া শুরু করলো।
তারপর বাড়িতে চলে গিয়ে চাচীকে বলার পর চাচা অজ্ঞান হয়ে গেলো।
পরেরদিন সকালবেলা চাচা সুস্থ হওয়ার পর প্রতিজ্ঞা করলো আর কখনো গভীর রাতে একা একা বাড়ি ফিরবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।