অর্থ উপার্জনের উপায় ও সহায়তা পেতে www.webincoming.blogspot.com (ইংরেজি) । সংবিধান একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন। এ আইন লিখিত কিংবা অলিখিত হতে পারে। সংবিধানের সাথে জড়িত অনেক মতবাদের মধ্যে একটি মতবাদ হল মৌলিক কাঠামো মতবাদ।
মৌলিক কাঠামো মতবাদ অনুসারে, “সংবিধান কিছু আদর্শ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত।
এ আদর্শ ও উদ্দেশ্য হল সংবিধানের মৌলিক গঠন। সংসদ যেহেতু সংবিধান দ্বারা গঠিত এবং সীমিত ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং সংসদের কোন অধিকার নেই সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংশোধন করার”।
এ মতবাদের পিছনে যুক্তিসমূহঃ
মুহম্মদ হাবিবুর রহমান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বনাম বাংলাদেশ মামলায় বলেন, “এ মতবাদটি এমন এক পরিবেশে গড়ে উঠেছে যেখানে নির্বাহী বিভাগ, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রভাব দ্বারা কোন সবুজ পত্র বা শ্বেতপত্র ব্যতিরেকে, জনমত যাচাই ব্যতিরেকে, বিলটি কমিটিতে প্রেরণ ব্যতিরেকে এবং সংসদ সদস্যদের আলোচনার পর্যাপ্ত সময় দান ব্যতিরেকে সংবিধানের হুট করে কোন সংশোধন করে নেয়। ”
বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী এ রকম একটি সংশোধনী যাতে হঠাৎ করে বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা সংসদীয় প্রকৃতি থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রকৃতিতে পরিবর্তন করা হয়।
দ্বিতীয়ত, সাংবিধানিক প্রাধান্য যে সকল সংবিধানে স্বীকৃত, সে সকল সংবিধানের মৌলিক গঠন পরিবর্তন করার অধিকার সংসদের নেই। সেসব দেশে সংসদ সংবিধান দ্বারা তৈরী এবং সংসদকে সাংবিধানিক সীমার মধ্যে তার ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। যদি সংসদ এটি পরর্বিতন করতে পারে তবে তা সংসদীয় প্রাধান্য হয়ে যাব। ে
তৃতীয়ত, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সাংবিধানিক প্রাধান্য প্রয়োজন। সাংবিধানিক প্রাধান্য নিশ্চিত করতে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন সংসদের ক্ষমতার বাইরে থাকতে হব।
ে অন্যথায় আইনরে শাসনরে পরর্বিতে সাংসদদরে শাসন প্রতষ্ঠিতি হব। ে
চতুর্থত, সংবিধান প্রণীত হয় জনগণের দ্বারা নির্বাচিত ব্যক্তিগণ দ্বারা যারা এ কাজের জন্য নির্বাচিত, এজন্য সংবিদানে জনগণের আশা প্রতিফলিত হয়। পক্ষান্তরে, সংসদের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংবিধান প্রণয়নকারীদের মত অতটুকু মর্যাদার অধিকারী নয়।
পঞ্চমত, সুশাসনের জন্য রাষ্ট্রের আইন, নির্বাহী ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ জরুরী। সংবিধান এ পৃথকীকরণ করে থাকে।
আইনসভা যদি নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করতে পারে, তাহলে অন্যান্য বিভাগের উপর তার হস্তক্ষেপ করা হবে।
এ সকল যুক্তি দ্বারা সংবধিানরে মৌলকি কাঠামোর গুরুত্ব বলা হয়ছে। ে এগুলো অস্বীকার করার কছিু নইে। মৌলকি কাঠামো রক্ষা করা গুরুত্বর্পূণ, তবে অসংশোধনীয় হবে না নম্মিে উল্লখিতি কারণ। ে
কোনগুলো মৌলিক কাঠামোঃ
সংবিধানের কোন অংশগুলো মৌলিক কাঠামো তা নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন মত দিয়েছেন।
ভারতে Kesavananda Bharati মামলায় Sikri ৫টি এবং Shelat ৬টি, Minerva Mills মামলায় বিচারক ৪টি, বাংলাদেশে আনোয়ার হোসেন মামলায় বি, এইচ, চৌধুরী ২১টি, সাহাবুদ্দিন ৬টি বিষয়কে মৌলিক কাঠামো বলে উল্লেখ করেছেন। র্অথাৎ, বচিারকদরে মধ্যে একজন যে বধিানকে মৌলকি কাঠামো বলছেনে, অন্যজন সটেকিে মৌলকি কাঠামো বলনেন। ি
ফ্রান্সের সংবিধানের ৮৯ ধারায় বলা আছে, “প্রজাতন্ত্র চরিত্র সংশোধনের বিষয় হবে না”। র্অথাৎ একটি বশৈষ্ট্যি অসংশোধনীয়। অনুরূপভাবে, জার্মানির সংবিধানেও নির্দিষ্টভাবে ৩ টি অসংশোধনীয় বিধান আছে ৭৯ ধারায়।
ফ্রান্স এবং র্জামানরি সংবধিানে উপরে র্বণতি মামলায় মৌলিক কাঠামো বলে বিবেচনা করা হয়ছেে এমন অনেক ধারাকে অসংশোধনীয় বলা হয় নি।
কাজেই কোনগুলো মৌলিক কাঠামো তার সঠকি চিত্র এখনও হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আন্তর্জাতিক কোন সম্মেলনে আইনজ্ঞরা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো নির্ধারনে একমত হবেন।
মৌলিক কাঠামো কি অসংশোধনীয়ঃ
সকল সংবিধানের মৌলিক কাঠামো রয়েছে। সন্দেহ নেই, মৌলিক কাঠামো খুব গুরুত্বপূর্ণ জনগণরে অধকিার সুরক্ষা এবং আইনরে শাসন নশ্চিতি করার জন্য।
মুহম্মদ হাবিবুর রহমান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বনাম বাংলাদেশ মামলায় যর্থাথ বলছেনে। এটিতে যেন আইনসভা জনগণরে র্স্বাথ এবং প্রয়োজন ববিচেনা না করে কবেল নজিদেরে র্স্বাথসদ্ধিরি জন্য সংশোধন না করতে পারে তার ব্যবস্থা রাখতে হব। ে কিন্তু, মৌলিক কাঠামো অসংশোধনীয় হবে - তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ একটি জাতির আদর্শে পরিবর্তন হয়ে থাকে। উদাহরনত, তুরস্করে সংবিধানে ‘পার্থিবতা’ কে অসংশোধনীয় উল্লেখ করা হয়ছে।
ে একটি সময়ে এ রাষ্ট্রের ৯০% মানুষ ইসলামী সরকার চাইল। তাহলে সেখানে ‘পার্থিবতা’ বহাল রাখা হবে কোন যুক্তিতে।
দ্বিতীয়ত, সংবিধান রচিত হয় জনগণের আদর্শ ও প্রয়োজনকে মানদন্ড রেখে। এক্ষেত্রে সংবিধানের প্রাধান্যের ভিত্তি হল জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা। অতএব, সেদেশের জনগণ যদি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিবর্তন চান, তাহলে তা অসংশোধনীয় হবে কোন যুক্তিতে।
কারণ, এখানে সংবিধানের প্রাধান্যের ভিত্তিই চাচ্ছে মৌলিক কাঠামোর পরিবর্তন। এরপরও সংবধিান অসংশোধনীয় বলার অর্থ হল সংবিধান প্রণেতাদের প্রাধান্য ঘোষণা করা।
তৃতীয়ত, মানুষরে পক্ষে ভবষ্যিতরে পরস্থিতিি দখো সম্ভব নয়। র্বতমানরে রাষ্ট্রব্যবস্থা, র্অথনতৈকি ব্যবস্থা ইত্যাদি সংক্রান্ত বধিান ভবষ্যিতে উপযোগী না হওয়া অস্বাভাবকি নয়। ইতহিাস সাক্ষ্য দয়ে, আইন সবসময় এক রকম ছলি না, প্রয়োজন ও বাস্তবতার উপর নর্ভির করে আইন পরর্বিতন হয়ে থাক।
ে
অতএব, সংবিধানে অসংশোধনীয় বিধান অযৌক্তিক। মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের বিধিটি এমনভাবে রাখতে হবে যাতে আইনসভার সদস্যরা নিজের র্স্বাথরে জন্য জনস্বার্থবিরোধী সংশোধন করতে না পারে। এর জন্য যা করা যেতে পারে, তা হলঃ
১. সংবধিান সংশোধনরে বলিে সাংসদগণ নিজ দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোট দিতে বাধ্য থাকবে না। র্অথাৎ ধহঃর ফবভবপঃরড়হ আইনরে প্রয়োগ থাকবে না।
২. সংশোধন দুই-তৃতীংশ বা তিন-চতুর্থাংশ দ্বারা পাশ হতে হবে।
পৃথবিীর অনকে দশেে দুই – তৃতীয়াংশ দ্বারা সংশোধন করা হয়।
৩. সবচয়েে উত্তম পদ্ধতি হল গণভোটের দ্বারা সংশোধন করা যেতে পারে।
৪. এছাড়াও রাজনীতবিদি, আইনজ্ঞরা একত্র হয়ে উত্তম কোন বধিানরে প্রস্তাব করতে পার। ে
ইতোমধ্যে, ভারত এবং বাংলাদেশের মতো কিছু দেশে বিচার বিভাগ সংবিধানের মৌলিক গঠনকে অপরিবর্তনীয় ঘোষণা দিয়ে আইনসভার অনেক সংশোধন বাতিল করে দিয়েছে, সেসব দেশে সংবিধানকে অসংশোধনীয় অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য আইনজ্ঞ, এবং সাংসদ একত্র সভা আহ্বান করে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো এবং তা সংশোধনের একটি জটিল বিধি স্থরি করতে হবে।
সংবিধানের অসংশোধনীয়তার এ দুরবস্থা থেকে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।