বিমানবন্দরে লাগেজ চুরি করে রাজধানীতে বাড়ি করেছেন তিনি। চলেন দামি গাড়িতে। সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছেন লন্ডনে। কোটিপতি এই চোরের নাম জয়নাল আবেদীন (৫৪)। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক সংঘবদ্ধ চোরদের দলনেতা তিনি।
বিমানবন্দর থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা জয়নাল পুলিশের কাছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশের কাছে টিভি চুরি করে পালানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন জয়নাল। পুলিশ জানায়, বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে জয়নাল দীর্ঘদিন ধরেই যাত্রীদের মালামাল চুরি করে আসছিলেন। এর আগে তিনি গত বছরের ৯ জানুয়ারি চোরাই লাগেজসহ বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন। সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে আবারও আগের পেশায় নামেন।
আর্মড পুলিশের সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান জানান, বিমানবন্দরের পার্কিং এলাকায় আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে একটি সনি ভেগা টিভি ছিল। গ্রেফতারের সময় জয়নাল নিজেকে বাকশালের সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করেন। এ সংক্রান্ত একটি পরিচয়পত্রও তিনি পুলিশকে দেখান। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানার কাউলা বাজার এলাকার একটি বাড়িতে যৌথ অভিযান চালায় আর্মড পুলিশ ও দক্ষিণ খান থানা পুলিশ।
বাড়ির একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস, কম্বল, জামা-কাপড়, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। রাতভর অভিযান শেষে গতকাল বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে জয়নালকে সোপর্দ করা হয়েছে। থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জয়নাল বিমানবন্দরে চুরি করে বিপুল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। দক্ষিণ খানের নিজ বাড়িতে না থেকে তিনি কাউলায় ভাড়া থাকেন। তার কয়েকটি গাড়ি ভাড়ায় চলে।
নিজে চলেন দামি গাড়িতে। লন্ডনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার দুই সন্তান লেখাপড়া করছেন। তার নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধচক্র দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরের ভেতর থেকে যাত্রীদের লাগেজ চুরি করে আসছে। তিনি তার সহযোগী হিসেবে সিভিল এভিয়েশন ও বিমানবন্দরের বেশ কয়েকজন কর্মচারীর নাম বলেছেন। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামসুদ্দীন সালেহ আহমেদ জানান, আর্মড পুলিশ এ ব্যাপারে মামলা করেছে।
জয়নালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।