কবি এখন নষ্ট মানুষ
যখন যা খুশি তাই করো, কে বুঝে তোমার লীলা?
তাই তো নিজেই প্রেমের মশাল জ্বেলে
তার উজ্জ্বল আলোয় উৎসুক,
চেয়ে থাকো।
তোমার ভালবাসা উজ্জ্বল-নক্ষত্র আকাশের বুকে মিটিমিটি
জ্বলে। সহস্র্র কোটি বছর ধরে
কোন এক অদৃশ্যজগতে
যখন আদম তোমার
বিস্তৃত জলকণা আর শান্তমাটির আঁধারে
ঘুমিয়ে আছে।
তোমার ভালবাসার আদরে আদরে
পৃথিবী আজ এতো সুন্দর, আর আমি পৃথ্বিরাজ।
তোমাকে বুঝতে পারি এমন সাধ্য কি আমার আছ, বলো?
প্রতিক্ষনে তুমি নতুনত্বের আঁচলে
বিরাজমান ঘোর প্রহেলিকা।
অনন্তজমন ধরে রহস্যের যবনিকা
টেনে মিশে আছ খুব কাছে।
অতি সন্তর্পনে পূন্যাত্মায় জ্বালাও যায়তুন রশ্মি।
তার আলোয় তোমার প্রেমিকগন স্পষ্ট দেখে,
তুমি শুধুই তুমি,
তোমার উপমার কোথায় তুলনা।
তাদের শঙখচিল বা আধুনিক কোন দ্রুতবাহন
পৌছুতে পারেনি তোমার রুপের লীলাভূমি।
তখন তোমার রহস্যঘেরা ঠুটে হাসির এক ঔজ্জ্বল দ্যুাতি
ছড়িয়ে যায়।
আর তোমার শান্ত চাহনির ভঙ্গিমা বলে যায়
“তোমাদের প্রেম কাহিনী আমার রুপ-সায়রে
খড় কুটোর মতে ভেসে যায়।
লিখ আরো বেশি, এ্যাপিকাল স্টাইলে বিশাল
পান্ডলিপির আয়োজন করেও শেষ করতে পারবেনা”
তুমি সুন্দর প্রেমিক, তাইতো সুন্দর কে ভালবেসেছ।
পৃথিবীর অর্ধসুন্দরে যেই ইউসুফ সৃষ্টি,
জুলেখার অন্তরাত্মা তাইতে উশৃঙ্খল-
বাঁধনহীন-মুনিব, বার বার লুটিয়ে পরে দাসের চরণে।
সখিদের উচাটন মন হঠাৎ স্থির,
তাঁর রুপের কর-কমলে আনার বদলে আঙ্গুল
কেটে নজরানা দেয়।
কিন্তু তারা তো দেখিনি পূর্নসুন্দর,
তারা শুধু দেখেছে ঝিনুক, চিরে দেখেনি কোথায়
তার জলমল মুক্তার দানা।
যদি তার দেখা পেতো, তবে তাঁর রুপ বৈদগ্ধ্যের অথই
জলে আঙ্গুল নয়, অন্তর কেটে ভাসিয়ে দিতো।
তুমি ভালবাসো এমন মহামানবে
আমিও বাসবো; দাও একটু ভাগ আমাকে
তোমার তো অনেক আছে,
কিন্তু, আমি যে নিঃস্ব
তোমার ভালবাসাকে ভালবেসে ধনী
হব। এই বিশ্বসভায় না পাওয়ার মাঝে
এটাই যে আমার পরম পাওয়া।
সরকার অহিদ
১১/১১/১১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।