দেয়ালের একমাত্র ছোট জানালা দিয়ে আমি বাইরে তাকালে বড় ক্যানভাসটি দেখা যায়। এর শুরু কোথায়, কিম্বা শেষ কোথায় ঠিক বুঝে উঠা যায়না। ক্যানভাসটি ফাঁকা ছিলনা!
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো কিছু নেই, একদিন, ঠিক আমার মতো একজনকে দেখতে পেলাম- একটা মানুষ!
আমি তাকে জন্ম নিতে দেখলাম, তার জীবন দেখলাম! একসময় তার মৃত্যুও! আমার মধ্যে যদিও কোন অনুভুতি জাগেনি তার (অথবা আমার) মৃত্যু দেখে।
তারপর, আমি দেখলাম জীবনের মিছিল! একের পর এক, সাথে মৃত্যুরও!
সব এক নির্দিষ্ট ধাঁচে- জন্ম, শৈশবের টানাপোড়ন, যৌবনের একাকিত্ত্ব, পৌঢ়তার প্রাণপন যুদ্ধ , অবশেষে জীবনের অবসান!!
আমি প্রেরিত পুরুষদের দেখলাম! যারা মৃত্যুকে জয় করতে চেয়েছিল!!
সত্যের সন্ধানে তাদের অসমাপ্ত খোঁজ, যে সত্যের সন্ধান তারা কখনো পায়নি!
আমি অসীম মহাকাশের জন্ম দেখলাম, তাদের মহাকালের ভেতরে ছুটে যাওয়া! আমি কোন বিকার অনুভব করিনি!
তারপর একদিন সে আসলো।
অমরদের একজন।
আমার অস্তিত্য থেকেও প্রাচীন।
সে আমাকে তার মুক্তির স্বপ্নের কথা বল্লো। খুব সহসাই হয়তো।
কিন্তু আমি জানি, সে নিজেই তা বিশ্বাস করছে না!
এবার আমি করুণা বোধ করলাম! না। তার জন্যে নয়!
সেই ক্যানভাসটির জন্যে, এত্তগুলি স্বপ্ন ভঙ্গের যে ছিল নীরব সাক্ষী।
মনে জিঙ্জাসা জাগলো, এই ক্যানভাসটাই কি তবে ঈশ্বর?!!
কিন্তু আমি জানি এ সম্ভব নয়! কারন, ঈশ্বর অবস্থান করেন, তার সৃষ্টির বাইরে! যেখানে কখনো কোন কিছু হয়নি, ঘটেনি।
এক অর্থে বিধাতা নিজেই নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ!!
তার সৃষ্টিকে তিনি তার অনন্তে কখনো আনতে পারবেন না!
কারন, তা করতে গেলে, সৃষ্টিকে বিলুপ্ত করে, করতে হবে অস্তিত্যহীন।
তিনি তো অস্তিত্য সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, যা ছিলোনা। যা ওনার নেই!!
কারণ সৃষ্টিকর্তার মানেই হচ্ছে- যে নিজে কখনো সৃষ্টি হয়নি, অস্তিত্যহীন একজন!! সেই জন্যই তিনিই ঈশ্বর, সৃষ্টি কর্তা!!!
তাহলে কে আমি?!! আমি এর কোনো সমাধান খুঁজে পাইনি!
আর কেনইবা আমি এই সব কিছু থেকে আলাদা?!! কেন আমি অন্যরকম?!
কেনইবা আমি এখনও অমর নই আবার আমি অবিনশ্বরও নই?!
কেন আমি এখনও এই বদ্ধরুমের ভেতরে?!
কেনই বা আমাকে সইতে হচ্ছে এই সৃষ্টির যন্ত্রণা কিম্বা ঈশ্বরের যন্ত্রণা?!!
ক্যানভাস প্রতিদিন বদলে যেতে থাকে!
আমি দেখি সেই সব সমীকরণ যা মানুষের প্রতি নিক্ষেপ করা হয় তীব্র বিদ্রুপে!! যা বোঝার ক্ষমতা শুধু আমারই আছে!
এই বিদ্রুপ আমাকে করা হয়নি, কারন তা আমার জানার ভেতরেই আছে।
আমি দেখি মানুষ বৃথা চেষ্টা করতে থাকে এই সবের অর্থ খুঁজে বের করার আশায়!! নিজেদের তৈরি কারাগারে নিজেরাই দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে!
এভাবেই চলতে থাকে সময়, কিন্তু আমি আমার চুড়ান্ত মুক্তির দিকে একটুও এগুতে পারিনা! কারন, একসময় কোন কিছুই আমাকে আর স্পর্শ করতে পারেনা!! কষ্ট দিতে পারেনা!!
তারপর একদিন-
একদিন আমি বুঝতে পারলাম সৃষ্টির জন্য কিম্বা স্রষ্টার জন্য আমার কোন দুঃখবোধ নেই! কোনো যন্ত্রণা নেই!!
সেটাই ছিল আমার চিরমুক্তি!!! চির পরিত্রাণ!!
(এনামুল আজিম রানা[১৯৭৬-২০০৩])
Through the little and only window on my room, I saw the big canvas
outside, not knowing where it began and where it ended. It was not empty.
At first I thought it to be empty, but then one day I saw a man like
me, I saw his birth ,his life ,and in the end his death .I felt no remorse
when he died, even as it was I .Then I had to see endless lives,
in the same recurring pattern, birth , agony of childhood ,loneliness
of manhood, desperation of age and the inevitable death.
I saw the prophets, who tried to overcome deaths, their endless
search for truth, the truth that can never be found.
I saw the birth of endless universes, and their pathless journey
towards final oblivion, I felt no remorse.
Then one day I saw an Immortal, a being ancient than my coming,
he told me of his hope of attaining salvation in the distant future,
I knew he himself did not believe that, this time I felt pity,
not for him, but for the canvas ,which had to see so many broken
dreams, I wondered whether the canvas was the God ,but I knew it
could not be, for God lives outside creation ,in a place where
nothing ever happens, in a way He was also bounded by a law ,
he could not manage to uplift his creation in his eternal place,
for doing it would mean abolishing it, making it non-existent.
He wanted to create existence, the only property he did not possess,
for being a God meant being nonexistent. That is why He was God.
Then who was I? I could not find the solution. Why I was outside
all of this? Why I was different? Why I was not immortal yet
could not die? Why I could not get out of this room yet had to
endure all the agony of whole creation even the agony of God?
The canvas changed each day. It showed me equations thrown
away to the humans in a mockery that only I could understand.
The mockery was not towards me for I knew the meaninglessness
of them, and I saw humans tried in vain to understand
their meaning .How they suffered in their own prison!
But days went and I could feel nothing towards my
human genesis for I became so much remote that their agony
no longer pained me. Then one day I found out that I could
not feel pain for the creation and the creator.
That was my salvation
(এনামের লেখালেখি থেকে; অনুবাদটা আমার)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।