কথাটা যে কিভাবে নীলাকে বলা যায়! নীলা রুবেলের ছাত্রী। রুবেল সপ্তায় তিনদিন নীলাদের বাড়িতে নীলাকে পড়াতে আসে। ক্লাস ইলেভেন এ পড়ে সে। তার বাবা শহরের অন্যতম বিত্তশালী এক ব্যবসায়ী। তবে নীলার যে পরিচয়টা ছাপিয়ে গেছে আর সব কিছুকে সেটা হলো সে দারুণ রূপবতী।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার রূপ যেন দিনদিন খোলতাই হচ্ছে। পাড়ার সব ছেলেরাই বিকেল হলে ভিড় জমায় নীলাদের বাসার আশেপাশে। শুধু নীলাকে একটিবার দেখার আশায়। অপোয় থাকে কখন নীলা ছাদে উঠবে। এরকম সুন্দরী নীলাকে কিভাবে কথাটা বলা যায় তাই পাঁচ মিনিট ধরে ভাবছে রুবেল।
কূল-কিনারা পাচ্ছেনা কোনো। নীলা হয়তোবা খুবই স্বাভাবিকভাবে নিবে কথাটাকে। কিন্তু...! কিন্তু রুবেলের সংকোচ তো আর কাটে না। আবার না বলেও থাকা যায় না। কতক্ষণ চেপে রাখা যাবে ব্যাপারটা? রুবেলের অস্বস্তি বাড়তেই থাকে।
নীলাকে কথাটা বললে সে যদি হেসে উঠে। এই অল্পদিনেরই নীলা রুবেলের সাথে বেশ সহজ হয়ে গেছে। প্রায়ই এটা সেটা নিয়ে রুবেলকে খেপাতে চায়। রুবেল যে জোরে শব্দ করে চা খায় এমন প্রসঙ্গ তোলেও নীলা খুব হেসেছে। তাই রুবেল নীলার সামনে আসলেই কিছুটা নার্ভাস হয়ে যায়।
এই নার্ভাসনেসের জন্যই কথাটা বলতে গিয়েও বারবার আটকে যাচ্ছে সে। নীলা আড়চোখে তাকায় রুবেলের দিকে। কি ভাববে নীলা রুবেলকে এভাবে উসখুস করতে দেখে?
রুবেলের বন্ধুরা সব হিংসে করে রুবেলকে। আর যা পাচ্ছে না শত চেষ্টা করেও, রুবেল কিনা অনায়াসে তা পেয়ে যাচ্ছে। রুবেল সপ্তায় অন্তত তিন ঘন্টা করে নীলার সঙ্গ পাচ্ছে, নীলার সাথে কথা বলতে পারছে।
রুবেল অবশ্য মাঝেমধ্যে এর ও বেশিকিছু পাবার সম্ভাবনায় দ্বার দেখতে পায় নীলার চোখে। সে ঠিকই অনুমান করে নীলা ওকে কিছু বলতে চায়। রুবেলের কাছ থেকে কোনো ধরণের সহযোগিতা পায়না বলেই হয়তোবা সে কথাটি বলা হয়ে উঠেনা। সে যাবগে। রুবেল এখন কি করবে? সে কি এই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য চলে যাবে? সে কি করে হয়! পড়াতে এসে সাথে সাথে উঠে যাওয়াটা কেমন জানি লাগে।
সে কি করবে তবে? কথাটা কি বলেই ফেলবে? অবশেষে নীলাই প্রসঙ্গটা তুলে। স্যার, আপনি নিশ্চয়ই কিছু একটা বলতে যাচ্ছেন আমাকে। বলে ফেলুন স্যার। অমন উসখুস করছেন কেন? বলুননা স্যার। বলে ফেলুন।
একথাগুলি বলার সময় নীলার চোখমুখ যেন মেন উজ্জ্বল হয়ে উঠে। রুবেলও কিছুটা আশ্বস্ত হয়। তারপর সাহস সঞ্চয় করে বলে উঠে, না, মানে বলতে চাচ্ছিলাম, তোমাদের বাথরুমটা কোন দিকে?
নীলার মুখের উজ্জ্বলতার আভাটি কি, মলিন হয়ে গেল কিছুটা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।